বিডি দিনকাল ডেস্ক:- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শ্বশুর এবং সাবেক কৃষি ও যোগাযোগমন্ত্রী রিয়াল এডমিরাল মাহবুব আলী খানের নাম সিলেটের লামাকাজী এম এ খান সেতু থেকে নামফলক খুলে ফেলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল ও মধ্যপ্রাচ্য বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
এক যৌথ বিবৃতিতে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ সম্পাদক ও এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলীয় স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ডক্টর শাকিরুল ইসলাম খান শাকিল ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মধ্যপ্রাচ্য সাংগঠনিক সমন্বয়ক সৌদিআরব বিএনপির আহ্বায়ক আহমেদ আলী মুকিব বলেন রিয়ার এডমিরাল মাহবুব আলী খানের নাম সেতু থেকে মুছে দিলেও সিলেটবাসীর হৃদয় থেকে রিয়ার অ্যাডমিরাল এম এ খানের নাম মুছে ফেলা যাবে না।কিন্তু রিয়ার এডমিরাল মাহবুব আলী খান এত জনপ্রিয় ছিলেন সিলেটের মানুষের হৃদয় থেকে কখনোই মুছে ফেলা সম্ভব নয়। তিনি সিলেটের আমজনতার হৃদয়ে অবস্থান করছেন। আর সেই মানুষটির নাম একটা সেতু থেকে মুছে দিলেই কি মানুষের হৃদয় থেকে এম.এ খানের নাম মুছে ফেলা যাবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এশিয়া-প্যাসিফিক ও মধ্যপ্রাচ্য বিএনপির পক্ষ থেকে অবিলম্বে লামাকাজী সেতুতে রিয়ার এডমিরাল মাহবুব আলী খানের নামফলক পুনঃ স্থাপনের জোর দাবী জানান।
এদিকে কাতার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল হক সাজু বেলজিয়াম বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃআলম হোসেন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খান (এম এ খান) সিলেটের দক্ষিণ সুরমার জালালপুরের সন্তান। ১৯৮২ থেকে ১৯৮৪ সালের জুন পর্যন্ত সরকারের যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এম এ খান। ওই সময় সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে প্রথম সেতু নির্মাণকাজ শুরু হয়। ১৯৮৪ সালের ১ জানুয়ারি সেতুটির উদ্বোধন করা হয়। সেতু নির্মাণের আগে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের লামাকাজী এলাকায় ফেরি চলাচল ছিল। সেতুটি উদ্বোধনের প্রায় সাত মাসের মাথায় ১৯৮৪ সালের ৬ আগস্ট এম এ খান মারা যান। এরপর মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে লামাকাজী এলাকার সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের প্রথম সেতুর নাম এম এ খানের নামে করা হয়।সরকারি নথিপত্রে সেতুর নাম ‘রিয়ার অ্যাডমিরাল এম এ খান সেতু’ আছে ।