- প্রচ্ছদ
-
- কুমিল্লা
- মুরাদনগর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
মুরাদনগর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১২:৪৮ অপরাহ্ণ
মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : মুরাদনগর উপজেলার ৮নং চাপিতলা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো.কাইয়ুম ভুইয়ার আত্মীয় পরিচয়ে প্রতারণামূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ৮নং চাপিতলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মামুনুর রশিদ ভুইয়া। মঙ্গলাবার সকালে উপজেলার একটি রেস্তোরাঁর হলরুমে এই সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কুলসুম আক্তার মর্জিনা নামে এক ব্যক্তিকে প্রতারক দাবি করে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়। একই সঙ্গে তার প্রতারণা থেকে মুক্তি পেতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো. মামুনুর রশিদ ভুইয়া বলেন, আমার চাচা মৃত গিয়াস উদ্দিন ভুইয়ার ২য় স্ত্রী স্বশিক্ষিত কুলসুম আক্তার মর্জিনা প্রয়াত চাচার অনুপস্থিতিতে বিভিন্ন মানুষের কুপরামর্শে আমার দাদা হাজী মর্তুজ আলী ভুইয়া এবং হাজী আক্তাব বানুর রেখে যাওয়া সহায় সম্পত্তি নিয়ে বিভিন্ন স্বরযন্ত্রে লিপ্ত আছেন। স্বরযন্ত্রের অংশ হিসাবে তিনি মৃত হাজী আক্তাব বানুকে দাতা দেখিয়ে তার নিজের মেয়েদের নামে প্রথমে ২টি দলিল সৃজন করেন। একই তফসিলে ২টি দলিল যার দলিল নং-১৭১৬ এবং ১৭১৭, তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০০০। অথচ মৃত্যু সনদে দেখা যায় হাজী আক্তাব বানু মৃত্যুবরন করেন ৩০ ডিসেম্বর ১৯৯৯ সালে। ডাক্তারী সনদেও একই তথ্য পাওয়া গেছে। বিশেষ করে আমার বাবা-চাচারা চার ভাই তিন বোন তার মধ্যে বিছানায় সায়িত মো. সহিদুল্লাহ ভুইয়া ছাড়া তিন ভাই ও দুই বোন ইন্তেকাল করেছেন। ফলে সহিদুল্লাহর স্ত্রী সাহানা মজুমদার ও মান্নান ভুইয়ার ২য় স্বশিক্ষিত স্ত্রী পারভীন আক্তার সম্পত্তির লোভে কুলসুম আক্তার মর্জিনার সাথে স্বরযন্ত্রের জাল বুনতে থাকেন। তারই ধারাবাহিকতায় কুলসুম আক্তার মর্জিনা বিগত ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১ এডিএম কোর্ট কুমিল্লায় পিআর মামলা নং ২৭৭/২১ রুজু করেন। যাহার তদন্তের জন্য ওসি বাঙ্গরা বাজারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওসি বাঙ্গরা বাজার তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা এবং বাস্তবতার আলোকে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনটি আদালতে যাওয়ার পর ২য় পক্ষ মো. মামুনুর রশিদ ভুইয়া ১০মার্চ ২০২১ তারিখে পি আর ভিত্তিতে আবেদন করিলে এডিএম মহোদয় ১০মার্চ ২০২১ একটি ফ্রেস আদেশ প্রদান করেন। পরবর্তিতে ১ম পক্ষ ১৮৮ ধারায় একটি আবেদন করিলে সহকারী কমিশনার মুরাদনগর (ভুমি) কে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেন। তারই আলোকে ভুমি অফিসের কানুনগো বিগত ১৩/০৯/২০২১ তারিখে উভয় পক্ষকে নোটিশের মাধ্যেমে ২০/০৯/২০২১ তারিখ সকাল ৯ ঘটিকায় সরেজমিনে তদন্ত করতে আসেন। কানুনগো ১ম পক্ষ কুলসুম আক্তার মর্জিনা কে একাধিক বার ফোন করেও উপস্থিত করাতে পারেনি। তবে তদন্তাধীন সময় স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গ উপস্থিত ছিলেন। কুলসুম আক্তার মর্জিনা কানুনগোর তদন্তে সহযোগিতা না করে মামলায় হেরে যাওয়ার ভয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান মো.কাইয়ুম ভুইয়ার সহযোগীতায় বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। হাস্যকর বিষয় হলো কানুনগো তদন্ত ও মামলার রুজুর সময় একই সময়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে যথাযথ কতৃপক্ষসহ কুমিল্লা-৩ মুরাদনগরের সংসদ সদস্যের মাধ্যমের নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান।
Please follow and like us:
20 20