আজ মঙ্গলবার | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৬:৪১
এম, এ কাশেম : উত্তর চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার ৪নং ধুম ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক, ইউনিয়ন বিএনপি’র সম্মানিত সদস্য ও স্থানীয় ইউপি সদস্য (সাবেক মেম্বার) মোঃ আজিজুল হক প্রকাশ আজিজ মেম্বার বিষাক্ত সাপের কামড়ে প্রাণ হারীয়েছেন। সূত্রে পাওয়া খবরে প্রকাশ: উক্ত বিএনপি নেতা আজিজ মেম্বার গতকাল সকালের দিকে গরুর জন্য বাড়ির অদুরে গিয়ে ঘাঁস কাটার সময় আছমকা তাকে একটি বিষধর সাপ কামড় দেয়। তার টিৎকারে আশ-পাশের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু ঘটে। উল্লেখ্য, মীরসরাই উপজেলায় অবস্থিত একমাত্র সরকারি স্বাস্থ কমপ্লেক্স ‘মস্তান নগর সরকারি হাসপাতাল’ এ বিষাক্ত সাপের কামড়ে মৃত্যু পথযাত্রী রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের নিমিত্তে প্রয়োগ করা প্রয়োজনিয় ঔষধ/ভ্যাকসিন না থাকায় প্রতি বার-ই সাপের কামড়ে রোগীদের মৃত্যু বরণ করতে হয়/হচ্ছে। সূত্র মতে-গ্রাম্য এলাকা থেকে চট্টগ্রাম শহরে অবস্থিত মেডিকেলে নিয়ে ঔষধ/ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য রোগীকে নিয়ে যেতে কম পক্ষে ৩/৪ ঘন্টা সময় লাগে। আর এই সময়ের মধ্যে রোগী প্রতিমধ্যে মৃত্যুর হিমশীতল তলে তলিয়ে যেতে বাধ্য হয়। সরকারি হাসপাতাল হিসেবে যদি মস্তান নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপের কামড়ে আক্রান্ত রোগীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে যথাযত ঔষধ/ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয় তাহলে নিদ্ধিধায় বলা যেতে পারে সাপের কামড়ে রোগীরা অবশ্য-ই বেঁচে যেতে পারেন। অবশ্য, যদি আল্লাহ্ তার হায়াত রাখেন আর কি। কিন্তু, মস্তান নগর সরকারি এই হাসপাতালটিতে বছরের বছর সাপের কামড়ে আক্রান্ত রোগীদের বাঁচিয়ে তুলতে চিকিৎসা-সেবা ও ঔষধ/ ভ্যাকসিন না পাওয়ায় এ ভাবেই ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে বয়স্করা পর্যন্ত মারা যাচ্ছে সাপের কামড়ে। অথচ, এই মীরসরাই উপজেলা থেকে বার বার মন্ত্রীত্বের দায়িত্ব ও পালন করেছেন স্থানীয় আওয়ামী দলীয় এম,পি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। বর্তমানে তিনি মন্ত্রীতে না থাকলে ও কিন্তু ক্ষমতাসীন দলীয় হাই কমান্ডের একজন নের্তৃত্বের লোক ছাড়া ও প্রতি মন্ত্রীর পদ মর্যাদা সম্পন্ন এক লোক ও বটেন। অথচ, এই মহা গুরত্বপূর্ন বিষয়টি নিয়ে তিনি অতিত সময় গুলোতে যেমনি তেমন একটা মাথা ঘামান নি, ঠিক্ তেমনি বর্তমান সময়তে ও উনার তেমন একটা মাথা ঘামানোর বিষয়ে কার্যকর কোনো প্রদক্ষেপ দেখা যাচ্ছেনা। ফলে, অকালে-ই বিষাক্ত সাপের কামড়ে ঝরে যাচ্ছে অনেক গুলো মহা মূল্যবান জীবন। মীরসরাইতে ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক অনেক নারী-পুরুষ ও ওই বিষাক্ত সাপের কামড়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার সচিত্র সংবাদ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ও উঠে এসেছে। কিন্তু, কারো নজরে আনতে সমর্থ হয়নি! প্রায় সব মৃত্যু-ই বেদনা দায়ক। তবে, বিষাক্ত সাপের কামড়ে মৃত্যুটি যেনো আরো বেশী বেদনা দায়ক হিসেবে সবাইকে ন্যাড়া দেয়। এর পর যদি সেই সাপের কামড়ে খেলনারত: ছোট্ট কোনো শিশুর মৃত্যু হয় তাহলে বিষয়টি ওই পরিবারের জন্য বেদনায় যেনো যে কতোটুকু ‘কলিজা’ ছিদ্র করে ফেলার অবস্থার সৃষ্টি করে তা একমাত্র ওই পরিবারটি-ই উপলব্দি করে যেতে পারেন বাট অন্য আর কারো নয়। তেমনি এক ঘটনায় ওই রকম ‘কলিজা ছিদ্রাবস্থায় দিন-রজনী পার করে যাচ্ছেন-মীরসরাই উপজেলার সর্বোত্র-ই সবার কাছে কম-বেশী পরিচিত ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ খ্যাত মোঃ আবদুল মতিন। তার ছোট্ট বাচ্চাটি খেলনা রতাবস্থায় বিষাক্ত সাপের কামড়ে মৃত্যু বরণ করার ঘটনা পুরো মীরসরাই ব্যাপী সর্ব শ্রেণী ও পেশার মানুষের মাঝে শোকের মাতম সৃষ্টি করে। কারন হিসেবে উল্লেখ করার মতো-উক্ত আবদুল মতিন একজন প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধা হয়ে নিজের রোজগারকৃত প্রায় অর্থ মীরসরাইয়ের অতি দরীদ্র/অভাবী পরিবারগুলোর মাঝে বিলিয়ে দেয়ার ঘটনার মাঝে মহামারি ‘করোনা’ ভাইরাস’র থাবায় মানুষজন যখন খাওয়া পরা নিয়ে দিশেহারা ঠিক্ সেই মুহুত্বে মানবতার দূত হিসেবে আবির্ভূত হন্ তিনি।
সারা মীরসরাই উপজেলা ব্যাপী যখন ‘করোনা’র থাবায় দরীদ্র-অভাবী পরিবারগুলোর মাঝে নিত্য খাদ্যের হাহাকার চলতে থাকে তখন তিনি তার সাধ্য ও সামর্থানুযায়ি খাদ্য সহায়তা নিয়ে উক্ত পরিবারগুলোর দোরগোড়ায় গিয়ে হাজির হন্। শুধু তা-ই নয়-গত রোজার সময তিনি ঘোষণা দিয়ে বলেন-যে কোনো পরিবারে যদি ভোর রাতে সেহরী খাওয়ার ব্যবস্থা না থাকে তাহলে তাকে ফোন করার জন্য। আর ফোন পেয়ে তিনি ওই রকম বেশ কয়েকটি পরিবারের দোরগোড়ায় গিয়ে ভোর রাতে ও খাবার পৌঁছে দিয়ে আসেন। এবং যাদের ইফতারির ও কোনো ব্যবস্থা ছিলোনা তিনি তাদের জন্য ইফতারের পূর্বক্ষণে গিয়ে ইফতারি ও পৌছে দেন্। আর সে কারনে-ই বিষাক্ত সাপের কামড়ে তার ছোট্ট বাচ্চাটির অকাল মৃত্যুতে মীরসরাইয়ের সর্বত্র-ই শোক বিরাজ করে। উল্লেখ্য, আবদুল মতিনের উক্ত ছোট্ট বাচ্চাটিকে যখন বিষাক্ত সাপে কামড় দেয় তখন সাথে সাথে-ই তাকে স্থানীয় সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মস্তান নগর হাসপাতাল নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত: ডাক্তার যথাযত ঔষধ/ ভ্যাকসিন না থাকায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যেতে পরামর্শ দেয়ায় শিশুটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার সময় সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। যে সমযতে ঔষধ/ভ্যাকসিন প্রয়োগের প্রয়োজন পড়ে সে সময়তে রোগীকে তা দিতে না পারার কারণ অনেক কে মৃত্যু বরণ করতে হয়/হচ্ছে। এর পর মাঝে আরো অনেক শিশু ও বয়স্ক নারী-পুরুষের ও মৃত্যু ঘটে ঠিক্ এক-ই পন্থায়। আর শেষান্তে গতকাল বিষাক্ত সাপের কামড়ে মৃত্যু বরণ করলো একজন সাবেক মেম্বার। সাপের কামড়ে গতকালের মৃত্যু বরণকারী মোঃ আজিজুল হক মেম্বারকে যদি সময়মতো চিকিৎসা-সেবা ঔষধ/ভ্যাকসিন দেয়া হতো তাহলে তার হায়াত থাকলে তিনি মৃত্যু বরণের হাত থেকে বেঁচে যেতেন বলে অভিজ্ঞজনরা তাদের মতামতব্যক্ত করেন। বিষাক্ত সাপের কামড় মৃত্যু বরণকারী উক্ত আজিজ মেম্বার মীরসরাইয়ের সরকার দলীয় নেতা/এম,পি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের নিজ গ্রাম্য বাড়ি এলাকার-ই। আর এ ঘটনায় তিনি অবশ্য-ই অনতি বিলম্ভে মীরসরাইয়ের একমাত্র সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মস্তান নগর হাসপাতালটির দিকে নজর দেবেন বলে অনেকে-ই মনে করেন। শুধু তাই নয়, বিষাক্ত সাপে কাটা রোগীদের দ্রুত সারিয়ে তুলতে হাসপাতালটিতে দায়িত্বরত: ডাক্তারদের যথাযত নির্দেশ প্রদান পূর্বক সরকারি ভাবে ঔষধ/ভ্যাকসিন এর ব্যবস্থা করে দিবেন বলে ও মীরসরাইয়ের দল-মত নির্বীশেষে সবার আশাবাদ।
Dhaka, Bangladesh মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:38 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |