আজ রবিবার | ২৮শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১২ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১২ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | দুপুর ১:৪৭
নজরুল ইসলাম মানিক, সাভার ও আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি ঃ আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল এলাকার বাইপাইল ত্রীমোড় সংলগ্ন বাস ষ্ট্যান্ড ও কাচাঁ, পাকা ও মাছের আড়ৎ জনসাধারণ চলাচলের ভয়ংকর ফাঁদ ও বানিজ্যিক হুমকীর মুখে। চলছে ছিনতাই, পকেট মার, চাদাঁবাজি আর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। নেই প্রশাসনের তদারকি। প্রতিনিয়ত সাধারণ ব্যবসায়ীদের পকেট খালি করে পকেট মারেরা নিঃস্ব করে দিচ্ছে। কোন প্রতিকার মিলছেনা জনসাধারনের নিরাপত্তা আর অর্থনৈতিক সংকটে পরছে এই বানিজ্যিক প্রান কেন্দ্রে আসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা গেছে, বাইপাইল ত্রীমোড় সংলগ্ন কাচাঁ, পাকা ও মাছের আড়ৎ বানিজ্যিক এলাকা ও তার আশপাশে রয়েছে প্রশাসনের বিভিন্ন সংস্থার গোয়েন্দা সদস্য, সরকার দলীয় প্রভাবশালী নেতারা। তারপরও চলছে ছিনতাই, পকেট মার, চাদাবাজি আর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পড়ছেনা নজরে প্রশাসনের বিভিন্ন সংস্থার গোয়েন্দা সদস্যদের। পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার ফুটপাতের ব্যবসায়ী আব্দূল ওহাব চোখে ছলছলে কান্না জড়িত অবস্থায় বলেন, মুই সকালে কাচা মাল কেনতে বাইপাইল কাচাঁ মালের আড়তে গেল্লাম। মোর পকেটটা ছাফ কইরগা দেল্লে পকেট মাইরে। পকেটে ছেলে সাড়ে ৪ হাজার টাহা। মুই কেস্তিতে ৫ হাজার টাহা উডাইয়া ব্যবসা শুরু হরছি। এহেনো মোর কেস্তিগুলা শুধ অইলেনা। মুই কোম্মে গোনে এতো টাহা আইনগা কেস্তি দিমু। মোর সংসার কে চালাইবে। মোর আতœহত্যা করা ছাড়া উফাই নাই সংবাদিক সাহেব। এভাবে গতকাল সকালে ওই ব্যবসায়ী কাদতে কাদতে চলে গেলো। এভাবে প্রতিনিয়ত নিঃস্ব হয়ে বাড়ি ফিরছে ব্যবসায়ী , ক্রেতা, বিক্রেতা আর যাত্রীরা। ছিনতাইকারী, পকেট মারদের ক্ষপ্পরে পরে। পাচ্ছেনা পুলিশের সহযোগিতা, মিলছেনো বাজার কর্তৃপক্ষের বিচার, নিরসন হচ্ছেনা গরিবের দুর্ভোগ। শহিদ নামক এক ব্যবসায়ী এব্যাপারে বলেন, সাংবাদিক সাহেব সহজে বলেন পুলিশকে জানাতে। পুলিশ কি টাকা ছাড়া কোন মানুষের সহযোগিতা করে ? পকেট মারছে ৫ হাজার টাকা আর পুলিশের সহযোগিতা নিতে লাগবে ৬ হাজার টাকা । পকেট মারে গেলো ৫ হাজার এতেই বাড়ি ফেরা ভালো কিন্তু পুলিশের সহযোগিতা নিতে গিয়ে ৬ হাজার টাকা দিতে পারবোনা ভাই। অরেকদিকে অন্যান্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, মালামাল ক্রয় করে গন্তব্য স্থানে নিতে গিয়ে কমিউনিটি পুলিশ আর ট্রাফিক পুলিশের অর্থনৈতিক নির্যাতন চলছে। ভ্যান গাড়ি ভর্তি করে মালামাল বহন করে নেওয়ার সময় তাদের চাদাঁ দিতে হয় অন্যথায় ১৫ থেকে ৩০ মিনিট তাদের নিকট আটক থাকতে হয়। ফলে লাগছে জানযট এতে তাদের কোন ক্ষতি নহে । তাদের দরকার টাকা। সড়কে যানযট লেগে জনদুর্ভোগ হলে প্রশাসনের কি আসে যায়।
বাইপাইল ত্রীমোড় সংলগ্ন কাচাঁ, পাকা মালের আড়ত গুলোর পরিচালনা কমিটির কয়েকজন কর্তৃপক্ষ বলেন, ছিনতাই, পকেট মার, চাদাবাজি আর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটনার জন্য দায়ভার পুলিশ প্রশাসনের আমাদের নহে। আমরা ব্যবসা করি কোন ব্যবসায়ী নিঃস্ব হচ্ছে আর কে কাকে নিঃস্ব করছে এটা দেখার বিষয় আমাদের নহে।
এ ব্যাপারে নাম না প্রকাশ করা শর্তে গোয়েন্দা সংস্থার একজন সদস্য বলেন, এটা একট জনবহুল এলাকা, প্রতিনিয়ত ক্রাইম চলছে। চলছে পকেট মার, ছিন্তাই, চাদাবাজী। তবে আগের চেয়ে অনেক কম। যদি একটা পকেট মারের সদস্য ধরা পরে তাহলে মামলার জটিলতার কারনে থানা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছেনা অপরাধিকে।
এ ব্যাপারে জানতে আশুলিয়া থানা পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুর রাশিদ বলেন, আমরা প্রতিনিদিন সকাল থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত বাইপাইল ত্রীমোড় এলাকায় টহল পার্টি রাখি যেখানে আড়তের সামনে কোন ক্রাইম না ঘটে, রাস্তায় যানজট মুক্ত করতে। তারপরও যদি কোন পকেট মার ছিন্তাইকারী ধরা পরে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করছি।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:07 PM |
Asr | 3:10 PM |
Magrib | 5:31 PM |
Isha | 6:50 PM |