- প্রচ্ছদ
-
- ঢাকা
- শরীয়তপুরে নির্বাচনোত্তর সহিংস: পুনরায় নির্বাচন দাবী করে নৌকার পরাজিত ৫’প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন
শরীয়তপুরে নির্বাচনোত্তর সহিংস: পুনরায় নির্বাচন দাবী করে নৌকার পরাজিত ৫’প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন
প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর, ২০২১ ৫:০৩ অপরাহ্ণ
শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ- শরীয়তপুরে নির্বাচনোত্তর সহিংসতা ও দলীয়নেতাকর্মীদেও অসহযোগিতা ও প্রশাসনের বিরোপ আচরনের জন্য সংবাদ সম্মেলন করেছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের পরাজিত ৫ চেয়ারম্যান প্রার্থী । দ্বিতীয় ধাপে শরীয়তপুর সদর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় নেতাকর্মীদের দলের বিরুদ্ধে অবস্থান, পুলিশ প্রশাসনের বিরূপ আচরণ ও নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার বিরুদ্ধেঅভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের পরাজিত ৫ চেয়ারম্যান প্রার্থী। শনিবার দুপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করে ৫জন পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীই এ অভিযোগ করেছেন। এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আংগারিয়া ইউনিয়নের নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আসমা আকতার, ডোমসার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজান মোহাম্মদ খান, পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন দেওয়ান, শৌলপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আলমগীর হোসেন খান এবং মাহমুদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন হান্নান তালুকদার। এ সময় আসমা আকতার অভিযোগ করে বলেছেন, পুলিশ প্রশাসন তাদের নৌকার এজেন্ট ও সমর্থকদের সামান্যতম কোন সহায়তা করেনি। বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা অস্ত্র উপচিয়ে প্রকাশ্যে মোহরা দিয়ে নৌকার সমর্থকদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়েছে। বোমাবাজি করেছে। প্রকাশ্যে ভোট নিয়েছে। এসব ব্যাপারে তাদের’কে জানানো হলে ও কোন রকম ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। বিদ্রোহী প্রার্থী ও তার সমর্থকরা নৌকার সমর্থক পশ্চিম ভাষানচর গ্রামের জামাল সরদার, মোবার সরদার, খলিল সরদার শাহজামাল মোল্যা, কুদ্দুস হাওলাদার, দক্ষিন ভাষানচর গ্রামের আবু আলম খা, বিল্লাল জমাদ্দার, মোক্তার মাদবর, উত্তর ভাষানচর এলাকার আঃ খালেক বেপারী, খায়েরচর এলাকার সুলতান সিকদার, দিলু মোল্যা, চুন্নু বকশি, বিল্লাল তালুকদার, দরিচর দাদপুরের শাহাদাত সিকদার, মামুন বকশি, রবিউল বকশি, মালেক ফকির এর বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে তছনছ করেছে। তাদেরকে মারপিট করে আহত করেছে। নিয়ামতপুর এলাকার আনোয়ারহোসেন মাদবর এর থেকে ২ লাখ টাকা চাদা দাবী করেছে। সামচু পাঠানের কাছে ৩ লাখ টাকা চাদা দাবী করেছে। আঃ মান্নান মোড়লের কাছে ১০ লাখ টাকা চাদা দাবী করেছে। নৌকা সমর্থদের বাড়ি ঘর ঘেরাও করে রেখেছে। অনেক নেতাকর্মী বাড়ি থেকে পালিয়ে আংগারিয়া আশ্রয় নিয়েছে। আঃ রাজ্জাক মোল্যার অবস্থা আশংকা জনক। তাকে ঢাকায় আইসিও তে রাখা হয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থঅ প্রকাশ্যে সিল মেরে ভোট নিয়েছে। প্রশাসন কোন ভুমিকা নেয়নি। মামলা করতে গেলে ওসি মামলা নেয়নি। একই ভাবে ডোমসার, তুলাসার শৌলপাড়া, মাহমুদপুর ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন। তাদের অভিযোগ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক মেয়র আঃ রব মুন্সি, সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল, বর্তমান মেয়র পারভেজ রহমান জন, পাভেল মুন্সি, রুবেল মুন্সি, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারন সাধারন সম্পাদক শহীদ কোতোয়াল, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আজগর মুন্সি, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক আলী আকবর মুন্সি ও বাবুল ফকির সহ দলীয় নেতাকর্মীরা কোন সহায়তা না করে প্রকাশ্যে নৌকার বিরোধিতা করেছেন বলে প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন। নির্বাচনোত্তর এ সহিংসতার কারনে অনেক বাজারে দোকানপাট বন্ধ করে নৌকার সমর্থকরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এ ৫টি ইউনিয়নে পুনঃ নির্বাচন দাবী করেছেন প্রার্থীরা। বিশেষ করে আনোয়ার বাহিনী ও পাভেল বাহিনী এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। ডোমসার ইউনিয়নে নৌকার সমর্থক আরিফ কে শনিবার সকালে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করেছে। তাকে ঢাকায় প্রেরন বরেছে। তারা দলীয় নেতৃবৃন্দ সহ প্রশাসনের বিরোধিাতার জন্য তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন তারা।
Please follow and like us:
20 20