আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৩:০২
বিডি দিনকাল ডেস্ক :-ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে টানা অষ্টম দিনের মতো আন্দোলনের অংশ হিসেবে সাংস্কৃতিক সমাবেশ করেছে বাম দলগুলো। সোমবার জাতীয় জাদুঘরের সামনে তারা এ সাংস্কৃতিক সমাবেশ করেছে। এ সময় তারা প্রতিবাদী গান, নাচ, কবিতা আবৃত্তির আয়োজন করে।
আন্দোলন থেকে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন’ অধ্যাদেশের অনুমোদন যথেষ্ট নয় বলে প্রতিক্রিয়া জানায় আন্দোলনকারীরা।
ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড করে সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে মঙ্গলবার থেকে এটি কার্যকর করা হবে।
সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বিবিসিকে বলেন, ‘আগামীকালই (মঙ্গলবার) রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে এটি কার্যকর করা হবে।’
জানতে চাইলে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনিক রায় বলেন, ‘আমরা আমাদের কর্মসূচীতে অটল থাকব, শুধু একটি আইন হলেই ধর্ষণ কমানো সম্ভব না। তারা আইন অনুমোদন করেছে, কিন্তু আইনের ভেতর যে ফাঁক রয়েছে সেগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা করা হয়নি। বাংলাদেশের ধর্ষণের আইনে যা বোঝায় তা হলো, শুধু যৌন সঙ্গম হয় তাহলে ধর্ষণ বোঝায়, এ যে ধর্ষণের সংজ্ঞায় ভুল সে বিষয়গুলো আলোচনা করে আপনি জনগণের সামনে মূলা ঝোলালেন যে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড’।
তিনি বলেন, ‘এ আইনের অনুমোদন অপরাধ প্রবণতা আরো বাড়াবে বলে আমি মনে করি। কারণ যে ধর্ষণকারী সে মনে করবে আমি সাক্ষী রাখব কেন যাকে ধর্ষণ করেছি তাকে মেরেই ফেলি।’
আন্দোলন দমন করতে এ আইন অনুমোদন বলে তিনি মনে করেন।
কনডেম সেলে ১৮০০ ফাঁসির আসামি আছে যাদের ফাসি কার্যকর এখনো হচ্ছে না উল্লেখ করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স বলেন, আগেই আমাদেরে দেশে ধর্ষণের বিরেুদ্ধে আইন ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কিন্তু আপরাধ কমেছি , আসলে আমাদের দেখতে হবে বিচার প্রক্রিয়া কোনভাবে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ধর্ষণ মামলায় ২০০১ সাল থেকে ২০ সাল পর্যন্ত যে মামলা রুজু হয়েছে তার তিন শতাংশের বিচার হয়েছে। সুতরাং আমরা যেটা বলতে চাই একটা সুস্থ বিচার প্রক্রিয়ার কথা। যেখানে সাক্ষী সুরক্ষা দেয়া, ভুক্তভোগীদের সামাজিক নিরাপত্তা দেয়া, পাশাপাশি আমাদের দেশে যে ধর্ষণের মনস্তাত্ত্বিক কাঠামো গড়ে উঠেছে তা ভেঙে ফেলা।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের নয় দফা দাবিতে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছি নারীর প্রতি যে বৈষম্যমূলক আইন কয়েছে সেগুলো বিলোপ করার কথা আমরা বলেছি। সিনেমা, সাহিত্য, বিজ্ঞাপনে নারীদের পণ্য হিসেবে উপস্থাপনের বিষয়টি পরিহার করতে হবে, পাশাপাশি একটা সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
সাংস্কৃতিক সমাবেশে এসময় অংশগ্রহন করেন বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, সমগীত সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |