আজ শুক্রবার | ৩রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১৭ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৯:০২
বিডি দিনকাল ডেস্ক :- দীর্ঘদিন ধরেই অন্যান্য নিত্যপণ্যের সঙ্গে বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দামও চড়া। যদিও শীতের সবজি আসা শুরু হলে দাম কমবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। তবে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়লেও এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ সবজি। রাজধানীর বাজারগুলোতে দেখা গেছে, আগের চেয়ে কিছুটা কমলেও সবজির দাম এখনো চড়া। বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহে ঘাটতি নেই। তবুও কেন কমছে না সবজির দাম? এমন প্রশ্ন ক্রেতা সাধারণের। ওদিকে দাম বেড়ে কিছুদিন স্থিতিশীল থাকার পর আবারও বেড়েছে চালের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে মানভেদে চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা। চাল ছাড়াও ডাল, আটা, চিনি, তেল, মুরগিসহ অনেককিছুর দামই চড়া। রাজধানীর কাওরান বাজার ও মিরপুর এলাকার কয়েকটি বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর থেকেই বাজারে সব নিত্যপণ্যের দাম বাড়তি। তার জেরেই বাজারে সবজি, চালসহ এখনো সব প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলছে। জ¦ালানি তেলের দাম না কমলে দাম আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন তারা।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে ১লা জুলাই থেকে ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত দেশে সরকারি-বেসরকারিভাবে চাল আমদানি হয়েছে ৮ লাখ ২০ হাজার ৭৮০ টন। ফলে ১লা ডিসেম্বর পর্যন্ত চালের মজুতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২.৩৮ লাখ টনে। তবে পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরও খুচরা পর্যায়ে মিনিকেট চাল কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৪ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ৫৮ থেকে ৬২ টাকা। এছাড়া নাজিরশাইল চালের দাম ৩ থেকে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭৫ টাকা। যা আগে ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা।
ওদিকে, খুচরা বাজারে খোলা চিনির সর্বোচ্চ দর ৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বিক্রেতারা তা মানছেন না। এখন ৮০ থেকে ৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে চিনি। আর প্যাকেটজাত চিনি কিনতে হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। এছাড়া বাজারে ভারতীয় মসুর ডালের কেজি ৯০ থেকে ৯২ টাকায় বিক্রি হলেও দেশি মসুর ডাল কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। গত দুই সপ্তাহ ধরেই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে আটা-ময়দা। দুই কেজির প্যাকেটজাত আটার দাম ৮০ থেকে ৮২ আর খোলা আটার কেজি ৩৫ থেকে ৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খোলা ময়দার কেজি ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। খুচরায় খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে লিটারে ১৫০ থেকে ১৫৫ এবং পামতেল ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। আর বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫৩ থেকে ১৫৮ টাকায়।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতার বাইরে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা।ক্রেতারা বলেন, চালসহ সবকিছুরই দাম বাড়তি। এরমধ্যে সবকিছুর দাম এভাবে বাড়তে থাকলে আমাদের মতো মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষের অবস্থা খুবই শোচনীয় হয়ে পড়বে। সবকিছুর দাম বাড়ে কিন্তু আমাদের আয় তো বাড়ে না।
ওদিকে, বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম তেমন কমেনি। বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতের সবজির কোনো অভাব নেই। তবুও বাড়তি দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা। খুচরা বাজারে কেজিতে সিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এছাড়া কাঁচামরিচ ৯০ থেকে ১০০ টাকা, গাজর ৮০ টাকায়, করলা ৬০ টাকা, বাঁধা কপি প্রতি পিস ৪০ টাকা, ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা, নতুন আলু ৮০ টাকা, পুরান আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, শালগম ৬০ টাকায়, পটোল ৬০ টাকায়, পিয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় এবং ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়। বাজারে ডিম এবং ব্রয়লার মুরগির দামও বাড়তি। গত মাসে ব্রয়লার মুরগি ১৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হলেও শুক্রবার তা ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
Dhaka, Bangladesh শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:08 PM |
Asr | 3:13 PM |
Magrib | 5:34 PM |
Isha | 6:54 PM |