নাওডোবা কলম ঢালি কান্দি এলাকার সেলিম ঢালি ও রোকন ঢালি জানান, গত শনিবার দুপুরে নাওডোবা ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মাস্টার আঃ কাদির হাওলাদার (আনারস মার্কা) আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়ে ঘোড়া মার্কার প্রার্থী আলমগীর হোসেন ঢালিকে সমর্থন দেওয়ায় অপর প্রার্থী নাসির জমাদার (টেলিফোন মার্কা) এর সমর্থকরা ঈষান্বিত হয়ে রোববার সকালে জাজিরার নাওডোবা গোল চক্কর এলাকায় ঘোড়া মার্কার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে। এ সময় ঘোড়া মার্কার সমর্থক মোতাহার হোসেন ঢালি বাধা দিলে তার উপর টেলিফোন মার্কার সমর্থকরা হামলা করে। এখবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ঘোড়া মার্কার সমর্থকরা গোল চক্কর এলাকায় যায়। এসময় প্রতিপক্ষ টেলিফোন সমর্থক ৫০/৬০ জন সন্ত্রাসী লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘোড়া মার্কার সমর্থকদের ধাওয়া করে। এসময় সংঘর্ষে ঘোড়া মার্কার সমর্থক রেজাউল ঢালি, বকুল শেখ, শাহিন শেখ, বিপ্লব ঢালি আহত হয়। আর টেলিফোন মার্কার সমর্থক জাহিদ ঢালি, আনিছ ঢালি ও রনি আহত হয়। এরপর হামলাকারীরা কলম ঢালি কান্দি গ্রামের মানিক ঢালি ও মোতাহার ঢালির বাড়ি ঘরে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে ঘরের মালামাল তছনছ করে। তারা তাহছিনা বেগম, সিলভিয়া ও ছোট শিশু ছোয়াদ খানকে মারপিট করে আহত করে। এক পর্যায়ে এলাকার লোকজন তাদের ঘিরে ফেললে হামলাকারীরা একটি মোটর সাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদেরকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা সহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
এব্যাপারে ঘোড়া মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী আলমগীর হোসেন ঢালি বলেন, ঘটনার সময় আমি শরীয়তপুর শহরে ছিলাম। টেলিফোনের মাধ্যমে আমি বিষয়টি অবহিত হয়েছি। গত শনিবার চেয়ারম্যান প্রার্থী মাস্টার আঃ কাদির হাওলাদার আমাকে সমর্থন করে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান। এখবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী নাসির জমাদার ও তার সমর্থকরা আমাদের সমর্থকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। তারই বহিপ্রকাশ করতে গিয়ে রোববার সকালে গোল চক্কর গিয়ে আমার অফিস ভাংচুর করে। বাধা দেয়ায় আমার কর্মীদেরকে মারপিট করে। এরপর আমাদের বাড়ি বাড়িতে ঢুকে মহিলা, শিশু ও লোকজনদের মারপিট করে। ঘর দরজা ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ ঘটনায় আমার সমর্থক কমপক্ষে ৭ জন আহত হয়েছে। আমি এঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই ও প্রশাসনের নিকট সঠিক বিচার চাই।
এব্যাপারে টেলিফোন মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী নাসির জমাদার বলেন, আমার সমর্থক আনিছ ঢালি গোল চক্কর এলাকায় চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিল। এ সময় ঐ তিনি দোকানে থাকা ভোটার সাথে টেলিফোন মার্কার জন্য ভোট চায়। এ সময় ঘোড়া মার্কার সমর্থক মোতাহার ঢালি, শাহিন শেখ, রেজাউল, বকুল শেখ সহ ২৫/৩০ জন সেখানে গিয়ে লোকজন সহ হামলা করে আনিছ ঢালিকে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এ ঘটনার পর উত্তেজিত লোকজন ঘোড়ার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করেছে। ঘোড়ার সমর্থকরা আমার কর্মী জাহিদ ও রনিকে মারপিট করে আহত করেছে। তারা হাসপাতালে ভর্তি আছে। এ ঘটনায় হিরন ঢালি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এব্যাপারে জাজিরা থানার ওসি মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘটনার পর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিব।