আজ শনিবার | ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৬শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৪:৩৫
ডেস্কঃ- খুনের পর লাশ গুমের মামলার ৫ বছর পর রকিবুজ্জামান রিপন (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুষ্টিয়ার একটি দল গাজীপুর থেকে তাকে উদ্ধার করেন গতকাল রিপনকে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
পিবিআই কুষ্টিয়ার পরিদর্শক মনিরুজ্জামান জানান, রকিবুজ্জামান রিপন (৩০) মেহেরপুর সদর উপজেলার গোভীপুর গ্রামের দত্তপাড়ার মনিরুল ইসলামের ছেলে। রিপন গাংনীর ভরাট গ্রামের আকবর হোসেনের মেয়ে শ্যামলী খাতুনকে বিয়ে করে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করছিল। তাদের ঘরে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ শুরু হওয়ায় ২০১৭ সালের ৮ই জুলাই নিরুদ্দেশ হন রকিবুজ্জামান রিপন। কোনো খোঁজখবর না পাওয়ায় এ ঘটনায় রিপনকে খুন করে লাশ গুম করা হয়েছে অভিযোগ তুলে তার বাবা মনিরুল ইসলাম, রিপনের স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়ি এবং চাচাশ্বশুরের বিরুদ্ধে মেহেরপুর আদালতে মামলা করেন। আদালতের নির্দেশনায় সদর থানা পুলিশ দীর্ঘদিন তদন্ত করে রিপনকে জীবিত অথবা মৃত কোনো ভাবেই উদ্ধার করতে না পেরে বিজ্ঞ আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত থানা পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে পুলিশ সুপার, পিবিআই কুষ্টিয়াকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।আদালতের নির্দেশনা পেয়ে পিবিআই কুষ্টিয়ার পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং সোর্স নিয়োগ করে খুঁজতে থাকে রিপনকে। কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রিপনের পরিবার ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে। অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রিপনের জীবিত থাকার বিষয় নিশ্চিত হওয়া যায়। পিবিআই’র এই কর্মকর্তা জানান, রিপন নিজের পরিচয় বদলে শরিফুল ইসলাম নাম ধারণ করে পাঁচ বছর ধরে গাজীপুরের একটি টেক্সটাইল মিলে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করছিলেন। সেখানে তিনি মোছাঃ শিমলা আক্তার নামের এক নারীকে বিয়ে করেন। এই সংসারে তাদের ৬ মাসের একটি ছেলে আছে।
রিপনকে হত্যা করে লাশ গুমের মামলায় গতকাল মেহেরপুর আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন রিপনের প্রথম স্ত্রী শ্যামলী খাতুন। তিনি বলেন, হঠাৎ করে বাড়ি থেকে টাকা ও সোনার গয়না নিয়ে উধাও হয়ে যান রিপন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। একদিনের জন্যও রিপন আমাদের সাথে যোগাযোগ করেননি।আমরা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।
রিপনের বাবা মনিরুল ইসলাম বলেন, পাঁচটি বছর ছেলে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। এ কারণে পরিবারের সবাই মনে করেছিলেন, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ছেলেকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলেছেন। এ কারণে মামলা করেছিলেন। এখন যখন ছেলেকে পাওয়া গেছে, তাই মামলাটি তুলে নেয়া হবে।
Dhaka, Bangladesh শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:18 AM |
Sunrise | 6:39 AM |
Zuhr | 12:00 PM |
Asr | 3:00 PM |
Magrib | 5:20 PM |
Isha | 6:41 PM |