আজ শনিবার | ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১১ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:১১
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:-টাঙ্গাইলের সখিপুরে বলসুন্দরী বড়ই চাষে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। সখিপুর উপজেলার কালমেঘা জয়বাংলা বাজারের দক্ষিন পাশে পাথার পাড়ায় তিন তরুণ উদ্যোক্তা মিলে ৩ একর জমি লিজ নিয়ে ২০২০ সালে ১২শত বলসুন্দরী বড়ই গাছের চারা রোপণ করেছেন। সখিপুর ও কালিদাসের ৩ যুবক জুয়েল,সবুজ ও রোমান মিলে এ বাগানটি করেছেন। এ বছর অর্থাৎ ২য় বছরেই বাগানে ফলন এসেছে। ব্যাপক বড়ই ধরেছে গাছে। একটি গাছ থেকে ১৫-২০ কেজি বড়ই সংগ্রহ করা যাচ্ছে। চারা রোপন কারর পর বিগত দুইবছরে বাগানে খরচ হয়েছে প্রায় ৫-৬ লাখ টাকা। এ বছর তারা বাগানের বড়ই বিক্রি করেই যা খরচের সব টাকা উঠে লাভের মুখ দেখবেন বলে তারা আশা করছেন।
সরেজমিনে বাগানে গিয়ে এ বিষয়ে জুয়েল মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান,আমরা যশোর থেকে ১১৭ টাকা করে প্রতিটি চারা সংগ্রহ করে এখানে রোপণ করি। ২জন কর্মচারী সারা বছরের জন্য রেখে কাজ করতে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সরকারী ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ বলসুন্দরী বড়ই চাষ করে এলাকার যুব ও বেকার সমাজ অবশ্যই লাভবান হবেন । সখিপুরের অনাবাদী সমতল টিলা লালমাটিতে এই মিষ্টি বলসুন্দরী বড়ই চাষ সঠিকভাবে করলে যে কোন বেকার কৃষি উদ্যোক্তা লাভের আশা করতে পারেন। তবে আমরা সখিপুর কৃষি অফিস থেকে তেমন কোন সাহায্য-সহযোগিতা পাই নাই।
সখিপুর কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ সাজ্জাদুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে বলসুন্দরী এবং টক বড়ই সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের সখিপুরে ৪৫-৫০হেক্টর জমিতে বর্তমানে বানিজ্যিক ভাবে বড়ই চাষ হচ্ছে, তবে টক বড়ই চাষে বেশ সাফল্য এসেছে। বলসুন্দরী ৪-৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। বলসুন্দরীও সাফল্য নিয়ে আসবে আশা করি। আমাদের সখিপুরে কৃষিতে যথেষ্ট পরিমাণ সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে মালটা, লেবু, পেয়ারা,বড়ই ও কলা চাষে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। বড়ই চাষীসহ যে কোন কৃষি উদ্যোক্তা ও সাধারণ কৃষক আমাদের কাছে পরামর্শ ও সহযোগিতা চাইলে তাদেরকে অবশ্যই সঠিক পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে থাকি।
Dhaka, Bangladesh শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:30 PM |
Isha | 6:50 PM |