এসব সাফল্যের পিছনে আছে নানা সুখ দুঃখের কথা। কোন কোন পরিবারের জীবন কাহিনী বাস্তবতাকে হার মানায়।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার কয়তাহার গ্রামের হতদরিদ্র রিকসা চালক গোলাম মোস্তাফার মেয়ে শারমিন আক্তার সুমি।
পরিবারে অভাব অনটন লেগে থাকায় গোলাম মোস্তাফা মেয়েকে অল্প বয়সে বিয়ে দিয়েছিলেন। পিতা রিকসা চালক হওয়ায় খবর শুনে সুমিকে তালাক দেয় তার স্বামী।
বাবার বাড়িতে ফিরে এসে সুমি আবার পড়াশোনা শুরু করেন। খেয়ে না খেয়ে পাশ করেন উচ্চ মাধ্যমিক। বাড়িতেই প্রস্তুতি নিতে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার।
অর্থের অভাবে কোচিং করতে পারেন নি। তারপরও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ৭৭.০৫ স্কোর নিয়ে মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ চান্স পেয়েছে এই কৃতি শিক্ষার্থী ।
তার রিকসা চালক পিতার স্বপ্ন, আমার অর্থ উপার্জনের সম্বল এই রিকসা। শত কষ্ট হলেও মেয়েকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলবো।
আমরা আশা রাখি, সুমি সকল বাধা পেরিয়ে নিশ্চয়ই একদিন জয়িতার কাতারে স্থান করে নিবে।
মোবাইল, পিতা গোলাম মোস্তফা,