- প্রচ্ছদ
-
- জাতীয়
- মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্ট নিয়ে সরকারের পর্যালোচনা এখনো শেষ হয়নি:পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি
মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্ট নিয়ে সরকারের পর্যালোচনা এখনো শেষ হয়নি:পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি
প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল, ২০২২ ৬:৪৪ অপরাহ্ণ
বিডি দিনকাল ডেস্ক:- মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্ট নিয়ে সরকারের পর্যালোচনা এখনো শেষ হয়নি জানিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি বলেছেন, বিশ্বের অনেক দেশ রিপোর্টটি প্রত্যাখ্যান করেছে। অনেকে অবজ্ঞা করেছে। বাংলাদেশ তার কোনোটাই করছে না বরং রিপোর্টের অসঙ্গতিগুলো চিহ্নিত করতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আগামী দিনে আলোচনার জন্য খুঁটিনাটি পর্যালোচনা করছে। ওই রিপোর্টের যেসব ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে প্রাথমিক পর্যালোচনায় তাতে অনেক তথ্যে গরমিল ধরা পড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাগুলোর কাছেও আমরা এ সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছি। সেই সব তথ্য পেলে আমরা রিপোর্ট বিষয়ে চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়া জানাবো এবং এ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন লেভেলে আলোচনা করবো। গত বুধবার রিপোর্টটি প্রকাশের পর থেকে এ পর্যন্ত মার্কিন দূতাবাস বা রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে এ নিয়ে কোনো আলোচনা না হওয়ার কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভিন্ন ফর্মে সামনের দিনে অনেক অ্যানগেইজমেন্ট রয়েছে সেখানে রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হবে। তবে রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করা না হলেও বন্ধু রাষ্ট্রের কাছ থেকে এমন আচরণ হতাশাজনক বলে উল্লেখ করেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের রিপোর্টে হতাশ বা নাখোশ তা তো অস্বীকারের জো নেই।
প্রতিমন্ত্রী দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার যে যুগান্তরকারী ভিশন নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে তা ২০৪১ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অবস্থা নিয়ে বাংলাদেশও এমন রিপোর্ট প্রকাশ করবে।
দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো পছন্দ করবে না সরকার: এদিকে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী মিস্টার আলম বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি কোনো রাষ্ট্রের নাক গলানো আশা করে না সরকার। নিজের হতাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এই রিপোর্টে অনেক কিছু আছে, যা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না। রিপোর্টে সমকামিতা একটি অপরাধ এবং এ কারণে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এটি কখনো মেনে নেবে না। সামাজিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এটি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। ৫০ বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে গত এক দশকে অনেক উন্নতি হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে শ্রম খাত। কিন্তু গোটা রিপোর্টে এ সম্পর্কে ভালো মন্তব্য নেই বলে জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। র?্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের কোনো ভালো প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করে দেয়ার চেষ্টা সরকার ভালো চোখে দেখবে না। বাংলাদেশ জঙ্গিবাদের মূলোৎপাটন করেছে কিন্তু এখানেও সমস্যা তৈরি হতে পারে। এ কারণে র?্যাবের মতো জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিন্দা না করার অনুরোধ করেন তিনি। এই রিপোর্টটি যাচাই-বাছাই করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসবে সরকার বলে জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা তাদের কাছে জানতে চাইবো এই রিপোর্টে যেসব অসঙ্গতিপূর্ণ তথ্য এবং অন্যান্য তথ্য দেয়া হয়েছে সেগুলো কেন দেয়া হলো এবং যেখানে কাজ করার সুযোগ রয়েছে সেখানে আমরা তাদের সঙ্গে যুক্ত হবো।
নির্বাচন নিয়ে আমাদেরও কিছুটা খেদ আছে। কিন্তু সেটার জন্য রেসপন্সিবিলিটি আদৌ আমাদের কিনা; এক হাতে তো তালি বাজে না!
‘গ্রামে-গঞ্জে র্যাব ইজ আ ব্র্যান্ড নেম ফর পিস’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত মাসে শ্রম প্রতিমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী জেনেভায় গিয়েছিলেন, সেখানে আমরা ডকুমেন্ট হস্তান্তর করেছি। যে ক্ষেত্রেগুলোতে আমরা কাজ করছি, গোস উইদাউট সেইং বাংলাদেশের মানুষের ভোট এবং ভাতের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পূর্ববর্তী দুটি নির্বাচন নিয়ে আমাদেরও কিছুটা খেদ আছে। কিন্তু সেটার জন্য রেসপন্সিবিলিটি আদৌ আমাদের কিনা; এক হাতে তো তালি বাজে না! একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করতে গেলে যে আরও দল লাগে। ওগুলো তাদের (বর্জনকারী দলের) ব্যর্থতা। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা স্বপ্রণোদিত হয়ে শেখ হাসিনার সরকার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করেছে। মাত্র ৯১ বা ৯৬ থেকে বাংলাদেশে সত্যিকার সংসদীয় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু। এই যাত্রার স্বল্প সময়ে বাংলাদেশ যতদূর এসেছে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করেছে এটার কোনো অ্যাপ্রিসিয়েশন এই রিপোর্টে নেই। অতীতে গণমাধ্যমকর্মীরা মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে প্রশ্ন করেছিলেন, বাংলাদেশ লেবার স্ট্যান্ডার্ড ইমপ্রুভমেন্ট কতটুকু হয়েছে। তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, ৯৮ ভাগ ইম্প্রুভ হয়েছে আরও ২ ভাগ বাকি। এই রিপোর্টে কোনো রিফ্লেকশান নেই, আমরা যে এত পথ পাড়ি দিয়ে এতদূর এসেছি। যেসব সোর্স থেকে তথ্যগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে, এই সোর্সগুলো দুর্বল। যারা অপারেট করেন, আমরা নিকট অতীতে দেখেছি যে, অল হ্যাড ভেরি ক্লিয়ার পলিটিক্যাল এজেন্ডা। বাংলাদেশে প্রতিনিধিত্ব আছে যেসব রাষ্ট্রের তারা বাংলাদেশের নিকট অতীতের ইতিহাসটা ভালোভাবে জানবেন বলে আমরা আশা করি। এটা শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নয়, পৃথিবীর সব রাষ্ট্রের জন্য- বলেন তিনি। শাহরিয়ার আলম আরও বলেন, আমাদের নিকট অতীত ভুলে গেলে চলবে না। আমরা মিডিয়াতে দেখেছি, খুবই সেনসিটিভ ইস্যুতে খুবই দায়িত্ববান মানুষ ফেসবুকে এসে লাইভ করছেন, দাবি করছেন, রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে একটি রাজনৈতিক কার্যালয়ে আটকে রাখা হয়েছে। টর্চার করা হয়েছে। এই কারণে যখন তাকে ধরা হলো, তখন তার পক্ষে আবার নেমে গেল। বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনার পুরো দায়িত্ব বাংলাদেশের সরকারের। এই বিষয়গুলো নিয়ে কোনো ইন্টারভেনশন বাংলাদেশ প্রত্যাশা করে না কারও কাছ থেকে। র্যাব প্রতিষ্ঠান প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এই বিষয়গুলো বিবেচনা করার জন্য অতীতে বিভিন্ন দেশের সুপারিশে র্যাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের প্রশিক্ষণে র্যাব সুসংগঠিত ও শক্তিশালী হয়েছে। আমরা খুবই অল্প সময়ে; যদিও শেষ নয় এই যুদ্ধ, আমরা অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিতে জঙ্গিবাদকে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি এবং মোটামুটি বলা যায় মূলোৎপাটন করতে পেরেছি। বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রগুলো এ ধরনের সমস্যায় যেকোনো সময় পড়তে পারে। কারণ যে অঞ্চলে আমরা বসবাস করি, এ অঞ্চলের ইতিহাস ভালো না। এ অঞ্চলে বর্তমানও অনেক দেশে ভালো নয় এবং নিকট ভবিষ্যতও ভালো মনে হচ্ছে না। সেই জায়গায় বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে যারা দেখতে চান একটি শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র যেখানে মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত হবে, যেখানে সবার মতামত দেয়ার মতো পরিবেশ অব্যাহত থাকবে এই কাজগুলো করতে গেলে আমাদের জাতির গর্বের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনগুলোর সঙ্গে কাজ করতে হবে। শক্তিশালী করার পরিকল্পনা আগে ছিল, প্রশিক্ষণ দিয়েছেন, পয়সাও দিয়েছেন, এখন কোনো কারণে দিচ্ছেন না কিন্তু প্লিজ ডু নট ট্রাই মেলাইন দিস ইনস্টিটিউশন দ্যাট উই রিলাই আপঅন হেভিলি। গ্রামে-গঞ্জে যাবেন, র্যাব ইজ আ ব্র্যান্ড নেম ফর পিস। র্যাব ইজ আ ব্র্যান্ড নেম হোয়্যার ইউ গেট জাস্টিস। র্যাব ইজ আ ব্র্যান্ড নেম ফর অ্যান্টি টেরোরিজম এক্টিভিটিস। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা যে কাজগুলো করেছেন, সেখানে যে ব্যত্যয়গুলো হয়েছে সেই ব্যত্যয়গুলো নিয়েও আমরা কিন্তু এখন উই আর এনগেইজড, উই আর ওপেন। আমরা এগুলো সুরাহারও পথ খুঁজছি। ফোর্স অপারেট যারা আছেন তারা বাকিটুকু টেকনিক্যাল বিষয় যেগুলো আছে সেগুলো আমাদের এখতিয়ারভুক্ত বিষয় না; আমি নিশ্চিত, তারা সেগুলো রিভিউ করছেন বা করবেন। আমাদের এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করে দেয়ার কোনো অপচেষ্টা আমরা ভালোভাবে নিতে পারবো না, বলেন শাহরিয়ার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঝুঁকির প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গত যেকোনো সপ্তাহের যদি হিসাব নেন, গান রানিং-ড্রাগ ট্রফিকিং বেড়েছে। প্রতিনিয়ত তারা নিজেদের অন্তর্দ্বন্দ্বে নিহত হচ্ছেন। মুহিব উল্লাহ মতো একজন মিয়ানমারের নাগরিক তার জনগোষ্ঠীকে বোঝাতে ব্যস্ত ছিলেন যে, ‘আমাদের ফিরে যাওয়া উচিত’। আমরা ধরে নিচ্ছি, ফিরে যাবে না এ রকম একটি গ্রুপের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল; তাকে হত্যা করা হলো। সেখানে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কতটা চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়! এ রকম একাধিক রোহিঙ্গা নেতা আছেন যাদের আমাদের পুলিশ-র্যাবের সদস্যরা সেফটি-সিকিউরিটি দিয়ে থাকেন। বডি গার্ড হিসেবে কাজ করে থাকেন। আমি বলতে চাচ্ছি, উই আর অপারেটিং ইন আ ভেরি কমপ্লেক্স ওয়ার্ল্ড অ্যান্ড ইন আ ভেরি কমপ্লেক্স এনভায়রনমেন্ট। যেখানে এক্সটার্নাল ফ্যাক্টর ইনফ্লুয়েন্স করে আমাদের ইন্টারনাল অনেক ইস্যুতে অনেক সময়। এগুলো থেকে নিরাপদে রেখে রাষ্ট্রকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্টেডি একটি গ্রোথ ট্রাজেকটোরির মধ্যে দিয়ে আমরা উচ্চ আয়ের রাষ্ট্রে নিয়ে যেতে চাই ২০৪১ সালে। আমরা আশা করি, সব রাষ্ট্র বন্ধু হিসেবে সহযোগিতা করবে। তাদের কোনো সিদ্ধান্ত বা কর্মকাণ্ড বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। মানবাধিকার রিপোর্টের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এই রিপোর্টে কিছু উপাদান আছে যেটা আমরা-আপনারা ছোটবেলা থেকে যা শিখেছি, আমাদের ধর্ম যা শিখিয়েছে, আমাদের রাষ্ট্রের মানুষের যা প্রত্যাশা এর সরাসরি পরিপন্থি। রাষ্ট্র এই রিপোর্টটাকে রেখে দিয়েছে, অ্যাজ এ কান্ট্রি হু লাভস টু বি এনগেইজড উইথ আওয়ার ফ্রেন্ডস অ্যান্ড অ্যাজ এ রেসপন্সিবল নেশন; আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এটার প্রতিটি বিষয় নিয়ে আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কথা বলবো। আমরা ব্যাখ্যা চাইবো। যেগুলো বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে সরাসরি পরিপন্থি সেগুলো প্রত্যাহার করতে বলা হবে। কারণ এতে তাদের গ্রহণযোগ্যতা অন্যান্য ক্ষেত্রে ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে।
২০২১ সালে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদন গত ১২ই এপ্রিল প্রকাশ করা হয়েছে। ৭৪ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী ক্ষমতার অপব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা ইস্যু, বিচার বিভাগ, নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ তোলার পাশাপাশি বাংলাদেশের এলজিবিটিদের (লেসবিয়ান, সমকামী, রূপান্তরকামী) জন্য বাংলাদেশে আইন নেই এবং বাংলাদেশ তাদের প্রয়োজন মেটাতে পারছে না- এমন কথাও বলা হয়। উল্লেখ্য, এ নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গত বৃহস্পতিবার প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন প্রোপাগান্ডা মেশিনগুলো থেকে তথ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র রিপোর্টটি করেছে। বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্টে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দায়মুক্তি দেয়া হয় বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা নাকচ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, অতীতে সেভাবে দেয়া না হলেও র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কতজন সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, সে তথ্য বিস্তারিতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দিয়েছে বাংলাদেশ। সেদিন তিনি এ-ও বলেন, রিপোর্টটি কেবল প্রকাশিত হয়েছে। মার্কিন প্রশাসন এক বছরব্যাপী এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে, যেখানে তাদের অনেক রিসোর্স এতে খরচ হয়েছে। এমন একটি প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া কয়েক ঘণ্টায় দেয়া সম্ভব নয়। আমরা আগামী রোববারে এ নিয়ে বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া গণমাধ্যমে জানাবো। গতকাল প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা কথা দিয়েছিলাম বলে গতকাল গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছি। রিপোর্টে গুরুত্বের জন্য নয়। সামনে মার্কিন সরকারের বেশকিছু বৈঠক আছে, সেখানে এ বিষয়ে আলাদাভাবে কথা বলবো। এগুলোর প্রতিটি বিষয় নিয়ে তাদের কাছে জানতে চাইবো এবং আমাদের অবস্থান কোথায় কী আছে সেটাও তাদের জানাবো।সূত্র:মানবজমিন
Please follow and like us:
20 20