আজ শনিবার | ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১১ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৭:০৮
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: ফুটফুটে দুই শিশু। বড়টির নাম সাজিম (৬), ছোটটির নাম সানি (৪ মাস)। যে মায়ের গর্ভে জন্ম নিয়ে পৃথিবীর আলো দেখেছিল, সেই মায়ের নিষ্ঠুরতায় জীবন-প্রদীপ নিভে গেলো!বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে দুই সন্তানকে হত্যার পর নিজেও ফ্যানের মধ্যে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করে শিশু দুটির মা শহিদা বেগম।রবিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে এমন ঘটনাই ঘটে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের পুনর্বাসন এলাকায়।শহিদা বেগম বর্তমানে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি উপজেলার ওই গ্রামের উপজেলা নিকরাইল ইউনিয়নের ১ নম্বর পুনর্বাসন এলাকার ইউসুফ মিয়ার স্ত্রী।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শহিদা তার দুই শিশু সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।বিকালে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।স্থানীয়রা জানান, রবিবার সকালে ঘরের দরজা বন্ধ করে দুই সন্তানকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন মা শহিদা বেগম। এরপর তিনি ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।দীর্ঘ সময় ঘরের দরজা বন্ধ দেখে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে তারা দরজা কেটে ঘরে ভেতরে প্রবেশ করে শিশু সন্তান দুটিকে মৃত অবস্থায় বিছানায় ও মা সাহিদা বেগমকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে।এসময় গুরুতর আহত অবস্থায় সাহিদা বেগমকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে।শিশুর নানী সুর্য ভানু বলেন, রাতে না খেয়েই রোজা রেখেছি। সকাল ১০টা বাজে, কারো কোনো সারা-শব্দ পাই না। পরে মেয়ে শহিদার ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে ডাকাডাকি করি কিন্তু শহিদা কোনো সারাশব্দ করে না। নাতি দুইটারও কোথাও দেখতে পাই না।পরে মেয়ের জামাই ইউসুফকে ফোন দেই। তুমি তাড়াতাড়ি বাড়িতে আসো, শহিদা ঘরের দরজা খুলতেছে না। পরে জামাই এসে ঘরের টিনের বেড়ে খুললে দেখি, নাতি দুইটা খাটে পড়ে আছে, মেয়ে খাটের পাশে রক্তমাখা শরীরে পড়ে আছে।তিনি আরও বলেন, কিভাবে কী হলো বুঝতে পারছি না। তবে গত কয়েকদিন ধরে আমার মেয়ের সাথে ও ইউসুফের সাথে সংসার চালানো নিয়ে ঝগড়া ও অশান্তি চলছিল।টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, পারিবারিক কলহের জেরে সংসারে অশান্তি ছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী তার সন্তানদের হত্যার কথা স্বীকার করেছেন এবং তিনি নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বর্তমানে তিনি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।শিশু দুটির মা জানিয়েছেন, তার ভাই-ভাবি সন্তানদের হত্যা করতে পারেন এমন আশঙ্কা থেকে আগেই তিনি তাদের হত্যা করে চলন্ত ফ্যানের মধ্যে মাথা দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।পুলিশ সুপার জানান, শ্বাসরোধে হত্যা করায় শিশুদের শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই। হত্যার ঘটনায় আসল কারণ জানার জন্য অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে। আশা করি, খুব তাড়াতাড়ি সঠিক কারণ জানা যাবে।
Dhaka, Bangladesh শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:30 PM |
Isha | 6:50 PM |