আজ শনিবার | ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১১ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৬:৫৬
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, আগামী ২০২৩ সালের নির্বাচনে আবার গণতন্ত্রের পরীক্ষা হবে, চর্চা হবে। আমরা চাই আগামী নির্বাচন সুষ্ঠ, সুন্দর ও নিরপেক্ষ এবং নির্বাচনটি সকলের অংশ গ্রহণের মাধ্যমে হবে।মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। নিজস্ব স্বক্রীয়তা, আত্মমর্যাদা ও আন্তর্জাতিক রীতিনীতিকে অনুসরন করে পৃথিবীর বুকে মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে টিকে থাকতে চায়।তিনি বলেন, বর্তমান সরকারি দল আওয়ামী লীগ ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য এবং দেশের উন্নয়ন, কল্যাণে সকল আন্দোলন ও সংগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব দিয়েছে।সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আগামী নির্বাচনে কোন দেশীয় শক্তি, কোন চক্রান্তকারী, ষড়যন্ত্রকারী, বিদেশীদের যারা পা চাটে, বিদেশীদের উৎচ্চোষ্ঠী ভোগী এমন কেউ ষড়যন্ত্র করে নির্বাচনকে প্রভাবনিত্ব করতে পারবে না।তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করবো আন্তর্জাতিক বিশ্ব সেটা যত বড় শক্তিশালী দেশ হোক অর্থের দিক থেকে, সম্পদের দিক থেকে কিংবা সামরিক শক্তির দিক থেকে। তারা কোন ক্রমেই যেন বাংলাদেশের অভ্যান্তরীন বিষয়ে কোন রকম হস্তক্ষেপ না করে।মন্ত্রী আরও বলেন, গতকাল আপনারা দেখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে তারা কোন হস্তক্ষেপ ও কোন পক্ষপাতিত্ব করবে না। এটাই আমরা আশা করি। এটা নতুন কোন বক্তব্য নয়। এটাই আমাদের প্রত্যাশা। বাংলাদেশের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করলে যতশক্তিশালী দেশই হোক আমরা কোন ক্রমেই মেনে নিবো না। তার এই বক্তব্যকে আমি অভিনন্দন জানাই।বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, এখনও এই নির্বাচনকে ব্যাহত করে রাজনৈতিক অশ্লীলতা সৃষ্টি করে একটা সাংবিধানিক সরকারের পতন ঘটিয়ে তারা ক্ষমতায় আসতে চায়। কেউ এদেশে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে হবে।কৃষিমন্ত্রী বলেন, জনগণ সমস্ত ক্ষমতার উৎস ও এদেশের মালিক। সেই জনগনের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে হবে। যতই ষড়যন্ত্র আসুক, যতই আন্তর্জাতিক চক্রের ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে হাত মেলাক আমি মনে করি এ দেশের মানুষ সেটি মোকাবেলা করবে। এ দেশের মানুষ সুষ্ঠ সুন্দর নির্বাচন চাচ্ছে সেটি আমরা করবো।টাঙ্গাইলের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যাপারে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, টাঙ্গাইল হচ্ছে উত্তর ও পশ্চিমবঙ্গের গেটওয়ে। যে কারণে সকলের দাবি ও চিকিৎসার কথা বিবেচনা করে টাঙ্গাইলে ৫০০ বেডের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যার সুবিধা সকলেই ভোগ করতে পারবে। সারাদেশেই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সংকট রয়েছে।তিনি হাসপাতালের বিষয়ে আরও বলেন,
প্রধানন্ত্রীর সাথে টাঙ্গাইলের এমপিদের নিয়ে আলোচনা করে বিশেষ বিবেচনায় ডাক্তারের ব্যবস্থা করা হবে। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা শুরু হবে। পরে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সভাকক্ষে মত বিনিময় সভায় অংশ নেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের) এমপি, টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ছোট মনির, শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ আলী, জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ।
Dhaka, Bangladesh শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:30 PM |
Isha | 6:50 PM |