আজ রবিবার | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:১৯
এম, এ কাশেম : মানুষের জন্য রাজনীতি, রাজনীতির জন্য মানুষ নয়। কিন্তু আজ এই রাজনীতির জন্যই ব্যাহত হচ্ছে মানবতা। এই মানবতার মূল কথা হলো একজন মানুষের প্রতি আর একজন মানুষের দয়া বা মহানুভবতা। সকলেরই এই মহানুভবতা পাওয়া উচিত, যাকে সবাই মানবতা বলে থাকে। বর্তমানে প্রায় সবাই রাজনৈতিক বেড়াজালে আবদ্ধ। যে বেড়াজালে প্রায় সবার জীবন-ই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। যে মানুষটি সকালে জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হচ্ছে সেই মানুষটি তার জীবন নিয়ে ফিরতে পারবে কি না তার কোনো নিশ্চয়তা ও নেই বর্তমান সময়তে। অর্থাৎ দেশে এখন স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা/গ্যারান্টি টুকু ও নেই। মানবতা আজ বড়-ই বিপর্যস্থ।
ঠিক তেমনি বলতে গেলে আজ বাংলাদেশের প্রায় সব মানুষের কাছে সর্বাধিক জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা, দেশের বৃহত্তম: রাজনৈতিক দল বিএনপি’র সম্মানিত চেয়ারপার্সন ও সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, যিনি পর পর তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং বাংলাদেশের স্বৈরশাসন নির্মূলে যার অবদান অনস্বীকার্য তাঁর জীবন ও বিপর্যস্থ প্রায়!
আধুনিক বাংলাদেশ রূপান্তরে যাকে অন্যতম: পুরোধা বলা হয় সেই মানুষটি আজ হাসপাতালে অসুস্থ্যাবস্থায় এবং বন্দি অবস্থায় জীবন মৃত্যুর সন্দিক্ষণে অত্যন্ত বানবেতর ভাবে দিন-রজনী পার করে যেতে বাধ্য হচ্ছেন! বিদেশে উন্নত: চিকিৎসার জন্য যেতে পারছেন না শুধুমাত্র হিংসাত্মক রাজনীতির বলি হওয়ার কারণে।
অথচ, আজ তাঁর মতো একজন সিনিয়র সিটিজেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা নিয়ে যদি এতো রাজনীতি হয় তাহলে সাধারণ মানুষ কতটুকু নিরাপত্তা পাবে বর্তমান সময়তে সেটা এখন সবাই উপলব্ধি করতে পারছেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইদানিং একটা ব্যাপার বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। আর তা হলো- স¤প্রীতির অভাব। যেমন: উন্নত বিশ্বের কথা বাদ দিয়ে ও যদি চিন্তাা করা হয় প্রতিবেশী দেশ ভারতে ও এই স¤প্রীতি এখন ও দেখা যায়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ‘করোনা’ আক্রান্ত হয়েছিলেন। এতে বর্তমান সরকার প্রধান তার আশু রোগমুক্তির জন্য বার্তা প্রেরণ করেছেন। অথচ, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকলে ও কিন্তু, তার বিন্দুমাত্র লক্ষণ ও দেখা যায়নি।। সরকারের কোনো পর্যায় থেকে তাঁর জন্য কোনো কিছু বলা হয়নি বা করা ও হয়নি! এটাকে কি অবজ্ঞা কিংবা দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা চলছে বলে ধরে নিবে না কেউ?
এই গাফিলতির কারণে যদি কোনো অনভিপ্রেত অবস্থার সৃষ্টি হয়, তাহলে তার দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে এমন কথা ও বিএনপ’র পক্ষ থেকে বার বার বলা হয়েছে এবং হচ্ছে ও। আর সে কারনে সরকারের উচিত, একজন সাবেক সেনা বাহিনী প্রধান ও প্রেসিডেন্ট এবং দেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হলে ও অন্তত: বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য সহায়তা করা এবং সেটা যতো দ্রæত সম্ভব কার্যকর করে দেয়া সরকার জন্য মাইল পলক হয়ে থাকতো এবং থাকবে ও। বিএনপি’র পক্ষ থেকে বার বার অভিযোগ করে বলা হয়েছে- সরকার নিজেকে ডিজিটাল সরকার এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার দাবি করে। অথচ, বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা প্রাপ্তির জন্য যাওয়ার যে দরখাস্ত;র মাধ্যমে যে আবেদন করা হযেছে তা আঁটকিয়ে রেখে সেই আবেদন গ্রহণ করে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়ে মাইল পলক দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে ও সরকার হীনমন্যতার পরিচয দিয়ে যাচ্ছে। এ থেকে সন্দেহ হয় যে, এটি সরকার’র ইচ্ছাকৃত সব কিছু। এবং এ ভাবে কালক্ষেপণ করে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের হানি ঘটার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে তাকে মৃত্যুও দিকে ফেলে দেযা হচ্ছে।
বিএনপি’র পক্ষ থেকে প্রায়:শ-ই াবিযোগ করে বলা হয়ে আসছে- ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নির্বাচনের পূর্বে-ই বাংলাদেশের আপোসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপি’কে নির্বাচন হতে বিরত রাখার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন মিথ্যা একটি মামলায় নিম্ন আদালতে ফরমায়েশী রায়ের মাধ্যমে নির্বাচনের বছরে বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে কারাবন্দি করা হয়। জামিন পাওয়া বেগম খালেদা জিয়ার অধিকার থাকা সত্তে¡ও বার বার তিনি জামিন বঞ্চিত হয়েছেন। সরকারের নির্দেশ থাকায় উচ্চ আদালত থেকেও তিনি জামিন পাননি। যদিও দুই বছর কারাভোগের পর ২০২০ সালের মার্চ মাসে তাঁকে নিজ শর্ত সাপেক্ষে শুধুমাত্র বাসভবনে থাকার সুযোগ দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু, সেখানে ও তিনি ছিলেন গৃহবন্দীর মতো। বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার প্রয়োজন হলে ও তিনি চিকিৎসা নিতে পারেননি তখন।
বেগম খালেদা জিয়া মিথ্যা মামলায় সাজা প্রাপ্ত হয়ে প্রায় দুই বছর কারাবাসের পর মার্চ, ২০২০ হতে সাজাপ্রাপ্ত অবস্থায়ই তাঁর নিজ বাসভবনে বন্দি জীবন যাপন করছিলেন। বন্দি অবস্থার কারণে তিনি চাইলে ও তার পছন্দমতো পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা নিতে পারছিলেন না।
এর পর তিনি ‘করোনা’ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিলে ও মেডিকেল বোর্ড তাকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু, সরকার বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদন নাকচ করে দেয়ায় সে বার ও তিনি উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছিন।
উদার গণতন্ত্রের পরিবর্তে সর্বজনীন গণতন্ত্র, দলভিত্তিক আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের সরকার নিয়ে খুব ভাসা ভাসা কিছু চিন্তা দেখা যাচ্ছে দেশে। কিন্তু পারম্পর্য রক্ষা করে বিক্ষিপ্ত চিন্তা’কে চিন্তা ধারারূপে বিকশিত করার প্রচেষ্টা নেই। াএ ছাড়া-প্রচারমাধ্যম চলমান ধারাকে-ই অব্যাহত রাখতে সচেষ্ট।
সরকার দেশের মানুষের মুক্ত ও মত প্রকাশের যেভাবে বাধা তৈরি করছে এবং বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলায় যেভাবে হয়রানি করার প্রবণতা নিয়ে দেশ চালানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে তা জনমতে ব্যাপক ভাবে আক্রোশের জন্য দিয়েছে বলে ও মনে করছেন অপরাপর বিএনপি নেতারা। তারা মনে করেন, বর্তমান সময়তে দেশের আপামর জনষাধারণ যে ভাবে ফুঁসে উঠছে তা সরকার উপলব্ধি করতে ও পারছে না।
শুধু বিরোধী দল নয় এটা এখন সাধারণ মানুষের ও দাবি যে, বেগম খালেদা জিয়া এখন ও শংকামুক্ত নন্। দেশের অধিকাংশ মানুষ মনে করেন, সরকারের এই মুহূর্তে উচিত হবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খারেদা জিয়া’র চিকিৎসার ব্যাপারে আন্তরিক হওয়া এবং অবিলম্বে ও তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে দেশের বাইরে উন্নত: চিকিৎসারে জন্য নিয়ে যেতে সব রকম ব্যবস্থা করে দেশ এবং মানুষের ভাবমুর্তি রক্ষা করা।
এম, এ কাশেম চট্টগ্রাম :
মোবাইল-০১৭১২-৮৫৯২১২,
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |