আজ সোমবার | ২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৩ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১৩ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৫:৪৯
বিডি দিনকাল ডেস্ক:বর্তমান সরকারের পরিণতি শ্রীলংকার চেয়েওে খারাপ হবে বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার দুপুরে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এরকম মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ শ্রীলংকার পরিস্থিতি থেকে এই সরকারের শিক্ষা নিয়ে লাভ হবে না। কারণ শিক্ষা নিতে জানে না তারা। তাহলে এই ১০ বছরে শিক্ষা নিতে পারতো। কোনো শিক্ষা নেয়নি ।”
‘‘ এদের(শ্রীলংকা) চেয়েও খারাপ অবস্থা হবে। শ্রীলংকাতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে না সব। দেখেন এরা বঙ্গোপসাগরে ঝাঁপিয়ে পড়বে।”
‘সব আসনে ইভিএম প্রধানমন্ত্রী কীভাবে বলেন’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘এখানে দেখেন প্রমাণিত হচ্ছে যে, এই সরকার যে পুরোপুরিভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত থাকে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে তার প্রমাণ হচ্ছে এটা – প্রধানমন্ত্রী কিভাবে করে তিন‘শ আসনে নির্বাচন হবে। যেটা দায়িত্বটা হচ্ছে সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের।”
‘‘এই থেকে প্রমাণিত হয় যে, সরকার সচেতনভাবে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা অর্থাত গণতন্ত্রকে ধবংস করছে।”
ইভিএম নিয়ে বিএনপির বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘ ইভিএম তো ইলেকশন কমিশনই জবাব দিয়ে দিয়েছে। আমার তো বলার আর কিছু আছে বলে মনে হয় না।”
নির্বাচনের বিষয়ে দলের অবস্থান পূনর্ব্যক্ত করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আমরা খুব স্পষ্টভাবে বলেছি যে, বর্তমান অবৈধ হাসিনা সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। এর মধ্যে এতটুকু ফাঁক-ফোকর কিচ্ছু নাই। এই সরকারকে যেতে হবে, ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করার পরে তবেই শুধুমাত্র একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে, পরিবেশ তৈরি হবে।”
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এর আগে দলের অঙ্গসংগঠনগুলোকে নিয়ে যৌথ সভা করেন বিএনপি মহাসচিব।
‘আন্দোলন প্রসঙ্গে’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আপনারা তো দেখছেন- আন্দোলন কিন্তু একটা আন্দোলন না। আপনারা কী বুঝেন জানি না। আমরা যারা আন্দোলন করি তারা বুঝি যে, আন্দোলন মানে জনগনকে নিয়ে নাড়াচাড়া করা, জনগনকে সঙ্গে নিয়ে আসা। আমাদের প্রত্যেকটি প্রোগ্রাম আন্দোলনের প্রোগ্রাম।”
‘‘ এই যে আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আগামী ১২ ও ১৪ মে কর্মসূচি দিলাম এটা আন্দোনের প্রোগ্রাম। এই যে শাহাদাত বার্ষিকী পালন করব্ এটাও আন্দোলনের প্রোগ্রাম। সবটাই সবখানে আসতেছে। আপনারা এতো অস্থির হবেন না।আপনারা যেটা দেখতে চান সেটা খুব শিগগিরই দেখতে পারবেন।”
সয়াবীনের তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কর্মসূচি আসবে কিনা প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যের ঊধর্বগতির প্রতিবাদে আমরা দেড় মাস আন্দোলন করেছি সারা দেশে। এই দফাতে আমরা করেছি। আমাদের দফা তো একটা না, দফা অনেকগুলো।”
‘‘ আমরা রাজনৈতিক দল, আমাদের রাজনীতির মূল্য লক্ষ্য হচ্ছে দে্শের রাজনীতিকে ঠিক করা। এটা ঠিক হলে তেলের দামও ঠিক হয়ে যাবে, সরকার পরিবর্তন হলে তেলের দামও ঠিক পর্যায় আসবে।”
‘খালেদার নেতৃত্বের ৩৮ বছর, দীর্ঘায়ু কামনা’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ এই ১০ মে আমাদের কাছে অত্যন্তু গুরুত্বপূর্ণ। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ১৯৮৪ সালের এই দিনে বিএনপির চেয়ারম্যানের পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব লাভ করেছিলেন। এর আগে তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলেন। এই দীর্ঘ ৩৮ বছর তিনি এই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।এর মধ্যে তিনি জনগনের সমর্থন নিয়ে, জনগনের ভালোবাসা নিয়ে জনগনের ভোটে তিন তিনবার দলকে তিনি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে নিয়ে এসেছেন। দুই বার বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করেছেন।”
‘‘ সারাটা জীবন ধরেই তিনি গণতন্ত্রের জন্য, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দেয়ার জন্য গণতন্ত্রের পক্ষে সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন।এখনো তিনি গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার জন্য বিগত কয়েকবছর ধরে কারা অন্তরীন আছেন। এখন তিনি গৃহবন্দি হয়ে আছেন। তারপরও তিনি গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে চলেছেন। আমরা আজকে এই সভায় তাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, অভিনন্দন জানাচ্ছি, দীর্ঘায়ু কামনা করছি।”
এক্ই সঙ্গে অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করার দাবিও জানান বিএনপি মহাসচিব।
সংবাদ সম্মেলনে গতকাল অনুষ্ঠিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তসমূহ তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল ।
এর আগে বেলা ১২টায় নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহাসচিবের সভাপতিত্বে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই যৌথ সভায় বিএনপির যৌথ সভায় বিএনপির রুহুল কবির রিজভী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল,খায়রুল কবির খোকন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, এবিএম মোশাররফ হোসেন,ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ,মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান, যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সাধারন সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারন সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেন, মঞ্জরুল ইসলাম মঞ্জু, কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাইদ আহমেদ খান, শফিকুল ইসলাম চৌধুরী মিলন, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মজিবুর রহমান, মতস্যজীবী দলের আবদুর রহিম, উলামা দলের নজরুল ইসলাম তালুকদার, সেলিম রেজা, জাসাসের লিয়াকত আলী, জাকির হোসেন রোকন, উলামা দলের মাওলানা, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল উপস্থিত ছিলেন।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:07 PM |
Asr | 3:11 PM |
Magrib | 5:32 PM |
Isha | 6:51 PM |