আজ বুধবার | ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৮:৪৩
‘বিডি দিনকাল’ চট্টগ্রাম : উত্তর চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের বায়ৈয়াঢালা-বড়তাকিয়া সামাজিক বনায়নের সরকারি গাছ কেটে সাবাড় করে নিয়ে যাচ্ছে সরকার দলীয় ক্যাডাররা। অথচ, আইন যেনো তাদের জন্য ভোঁতা হয়ে রয়েছে বলে অবস্থাদৃষ্টে তা-ই মনে হচ্ছে! সূত্র মতে, সংরক্ষিত পাহাড়ের রক্ষকের সহযোগিতায় এসব গাছ উপজেলার ১৫নং ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ওয়াহেদপুর এলাকার বাবলু ও টিটু দু’টি নামের সরকারদলীয় দু’ব্যাক্তির নির্দেশে তাদের সমর্থিতরা দু’গ্রæপে বিভক্ত হয়ে রাতের আঁধাওে ওই সব সরকারি গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। বায়ৈয়াঢালা-বড়তাকিয়া বিট কর্মকর্তারা চোরাই কাঠ উদ্ধার করলে ও রহস্যজনক কারণে ওই সব সরকারি গাছ কেটে নিয়ে যাওয়াদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়নি। গোপন সূত্রের বরাতে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, অভিযুক্তরা মধ্যে মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত সরকার দলীয় মোহাম্মদ মুন্না (২৭), নজরুল ইসলাম ভূইয়া বাবলু (৩২), সহযোগী মোঃ মানিক (৪৬), মোঃ হাকিম আলী (৩৪), মোহাম্মদ টিটু (৩৭)। তারা সবাই উপজেলার ১৫ নং ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ওয়াহেদপুর’র ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বারৈয়াঢালা রেঞ্জ অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকার ২০০৩-০৪ সালে স্থানীয়দের কাছে চুক্তির মাধ্যমে প্রতিজন উপকারভোগীর কাছে ১ একর করে পাহাড়ি জায়গা বরাদ্দ দেয়। সেখানে শাল গাছ, সেগুন, গামারী ও ইউক্লিপটাস সহ প্রায় ১ হাজার প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী তারা পাহাড়ি অংশে সরকার কর্তৃক তৈরিকৃত বাগানের গাছের পর্যবেক্ষণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। চুক্তির মেয়াদ শেষে সরকারি টেন্ডারের মাধ্যমে গাছ বিক্রি করে লাভের অংশ নিয়ে যাবে তারা। কিন্তু, সরকারি চুক্তিকে বৃদ্ধাঙ্গুগুলি প্রদর্শন করে তারা বনা লের গাছ পাহারা দেয়া তো দুরের কথা তাারা নিজেরাই ওই সব সরকারি গাছ কেটে নিয়ে সাবাড় করে ফেলছে! প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে মীরসরাই সদও থেকে ক’জন স্থানীয় সাংবাদিক মীরসরাইয়ের-বড়তাকিয়া বিটের অন্তর্গত মধ্যম ওয়াহেদপুর এলাকায় সরজমিন গিয়ে দেখতে পান্, শাল, সেগুন, গামারী ও ইউক্লিপটা সহ অন্যান্য প্রজাতীর প্রায় সব গাছ গুলো কেটে নিয়ে গেছে। শুধু গাছের নিচের অংশ পড়ে রয়েছে যথাস্থানে। খবর পেয়ে মীরসরাই থানা পুলিশ ও বারৈয়াঢালা বন বিটের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে কাউকে আটক করতে পারেনি। পরে বারৈয়াঢালা বিট কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নজরুল ইসলাম বাবুলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গামারি গাছ, সেগুন গাছ ও ইউক্লিপটাস গাছ সহ মোট ৪৮.৪৭ ঘন ফুট ২৪ টুকরো চোরাই কাঠ উদ্ধার করে বনবিভাগের হেফাজতে রেখেছেন। এমনতর: জঘন্য ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পর এখনা পর্যন্ত কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়নি বন বিভাগ। এই বিষয়ে নজরুল ইসলাম বাবুল স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘যারা গাছের ব্যবসা করে তারাই চোরাই গাছ কিনে, আমি একা না। গাছ নেয়া যদি আমার অপরাধ হয় তাহলে আইন অনুযায়ী যা হবার তাই হবে, আমি সেটার জন্য প্রস্তত। মুন্না ও মানিক আমার পরিচিত। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় আমার কাছে কিছু গাছ রেখে যায় তারা। পরবর্তীতে বন বিভাগের লোকজন ওই গাছ নিয়ে গেছে।’ টিটু বলেন, ‘আমি গাছ বেচা-কেনা ও কাটার সঙ্গে সম্পৃক্ত নই। শুনেছি রুহুল আমিন নামের এক ব্যক্তির বাগান থেকে ৩টা সেগুন গাছ কেটে নিয়ে গেছে, সেটা নিয়ে ঝামেলা হয়েছে।’ মীরসরাই থানার উপ-পরিদর্শক আতাউর রহমান বলেন, ‘তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রæত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বারৈয়াঢালা রেঞ্জ কর্মকর্তা একেএম আলতাফ হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’ কিন্তু, তা কবে এবং কখন তা নিয়ে ধু¤্রজাল সৃষ্টি হয়েছে! যাহা অতি রহস্যজনক হিসেবে অভিহিত করছেন এলাকার অনেকে-ই।
Dhaka, Bangladesh বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:38 AM |
Zuhr | 11:59 AM |
Asr | 2:59 PM |
Magrib | 5:19 PM |
Isha | 6:40 PM |