আজ বুধবার | ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১২ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৪:১২
কামরুল হাসান বাবলু : গতকাল ৭ মার্চ ২০২৫ ইং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা তারেক রহমানের ১৯তম কারাবন্দি দিবস। এ উপলক্ষে আজ ৮ মার্চ শনিবার উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম জাতীয় প্রেস ক্লাবে আকরাম খাঁ হলে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে ।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৯তম কারাবন্দি দিবস এর আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক , বিএনপি মিডিয়া সেলের অন্যতম সদস্য ও সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন বলেছেন , স্বৈরাচারী ,ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের দোসর ১/ ১১ এর মঈন-ফখরুদ্দিন এর পোশাকধারী বাহিনী তুলে নিয়ে যায় । সেই দিন তারেক রহমান গেলেন হেটে । আর বের হলেন স্ট্রেচারে করে ।এর কারণ কি ? এমন প্রশ্ন রেখে আতিকুর রহমান রুমন বলেছেন , নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন জননেতা তারেক রহমান । পঙ্গু করে দেয়া হয়ে ছিল এই নেতাকে । আদৌ কি এই নির্যাতনের বিচার হয়েছে , না হয় নাই ।”হে” এখন সময় হয়েছে বিচারের । অবশ্যই বিচার হবে ,এই বাংলার মাটিতেই তাদের বিচার হবে ।
রুমন আরো বলেন , সেই সময় ছয় দফায় ১৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে অমানবিক শারিরীক নির্যাতনের পাশাপাশি মানসিক নির্যাতনও করা হয় জনাব তারেক রহমানকে। চাপ দেওয়া হয় দেশ ও রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার। দেশ ও দেশের জনগণের কথা ভেবে কুশীলবদের কোন প্রস্তাবেই রাজি হননি আজকের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ।
আজ প্রায় ১৭ বছর জিয়া পরিবারের জ্যেষ্ঠ সন্তান তারেক রহমান নির্বাসিত হয়ে প্রিয় জনগণ থেকে আছেন অনেক দূরে। তবে নির্বাসিত এই সময়ে নির্বাচন আন্দোলনসহ জনস্বার্থের সব আন্দোলনে নেতৃত্বে দিয়ে ক্যারিশমেটিক লিডার হিসেবে জনমনে মর্যাদাপূর্ণ স্থান করে নিয়েছেন তিনি এমন মন্তব্য করেছেন আতিকুর রহমান রুমন ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ।
আলোচনা সভায় সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন ।
উল্লেখ্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ ভোরে বিনা ওয়ারেন্টে তাকে ঢাকার বাসভবন থেকে আটক করা হয়। পরবর্তিতে তার নামে ১৩টি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমুলক মামলা দেওয়ার পাশাপাশি ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ডিটেনশন দেওয়া হয়।
ছয় দফায় ১৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে অমানবিক শারিরীক নির্যাতনের পাশাপাশি মানসিক নির্যাতনও করা হয় তাকে। চাপ দেওয়া হয় দেশ ও রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার। দেশ ও দেশের জনগণের কথা ভেবে কুশীলবদের কোন প্রস্তাবেই রাজি হননি তিনি। সে বছরেরই ২৮ নভেম্বর আদালতের কাঠগড়ায় দাড়িয়ে বিচারকের অনুমতি নিয়েই তারেক রহমান তার ওপর করা অমানবিক নির্যাতনের বিবরণ তুলে ধরেন। তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে তার মুক্তির দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন।
উচ্চ আদালত থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামিনে মুক্তি পেয়ে ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তিনি বিদেশ যাওয়ার সুযোগ পান। সেই থেকে অবস্থান করছেন লন্ডনে।
বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫ | |
ওয়াক্ত | সময় |
সুবহে সাদিক | ভোর ৫:৫৫ পূর্বাহ্ণ |
সূর্যোদয় | ভোর ৭:১০ পূর্বাহ্ণ |
যোহর | দুপুর ১:০৮ অপরাহ্ণ |
আছর | বিকাল ৪:৩২ অপরাহ্ণ |
মাগরিব | সন্ধ্যা ৭:০৬ অপরাহ্ণ |
এশা | রাত ৮:২১ অপরাহ্ণ |