আজ বুধবার | ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ১১:৩৭
আবুবকর সিদ্দিক,জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃখাদ্যে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাট। আমন ধান, বোরো ধান কৃষকরা আবাদ করে চাল উৎপাদন করে , নিজে ও খায়, আবার ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় রপ্তানী করে।
কৃষকরা আমন ধান আবাদ কওে বর্ষা মৌসুমের পানি দিয়ে, কিন্তু আজ শ্রাবন মাসের ২ তারিখ ,জয়পুরহাটে বৃষ্টির দেখা নেই প্র্য়া গোটা আষাঢ় মাস ধরে। বৃষ্টি না থাকায় তীব্র গরমে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে জনজীবন। শুধুই কি তাই! এর বড় প্রভাব পড়েছে কৃষকদের জমিতে। বৃষ্টি না হওয়ায় তীব্র রোদের প্রভাবে গরম হাওয়ায় মাঠ একেবারে শুকিয়ে ফেটে চৌচির হয়ে পড়েছে। মনে হবে যেন কোন ধু-ধু চর। মাঠে পানি না থাকায় তাই কৃষকরা তাদের রোপা আমনের চারা রোপন করতে পারছেননা। দুই-এক এলাকায় গভীর নলকুপের মাধ্যমে সেচ দিয়ে চাষ শুরু হলেও বেশিরভাগ এলাকায় কৃষকরা রয়েছেন দুশ্চিন্তাই। বৃষ্টির আশায় প্রহর গুনছে তাদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিগত বছর গুলোতে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় আষাঢ় মাসের মাঝিমাঝি সময় থেকেই কৃষকরা রোপা আমনের চারা রোপন করতে শুরু করে। তবে এবার বৃষ্টি না হওয়ায় শুকিয়ে গেছে পুরো মাঠ। তাই বৃষ্টি হবে এমন আশায় পিছিয়ে পড়েছে ধানের চাষ। এদিকে নির্ধারিত সময়ে চাষ শুরু করতে না পারায় ধানের চারাগুলো বীজতলাতেই বড় হয়ে যাচ্ছে। অনেক চারা আবার শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে যেন দুশ্চিন্তার শেষ নেই কৃষকদের। বৃষ্টি না হওয়ায় কয়েকটি এলাকায় আবার শ্যালো বা ডিপ (গভীর নলকুপ) চালু করা হয়েছে।
সদর উপজেলার মীরগ্রাম এলাকার আনোয়ার হোসেন বলেন,আজ শ্রাবন মাসের ২ তারিখ এখনো বৃষ্টি না হওয়ায় মাঠে চাষ করতে পারছিনা। এজন্য ধান রোপনের সময় অনেক পিছিয়ে পড়েছে। বীজতলাতে ধানের চারাগুলোও বড় হয়ে গেছে।
কোমরগ্রামের এনামুল হক বলেন, বৃষ্টির আশায় থাকতে থাকতে ধানের চারাগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই শনিবার থেকে আমাদের এলাকায় ডিপ (গভীর নলকুপ) চালু করা হয়েছে।
একই গ্রামের রানা হোসেন বলেন, অনেক দিন থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় ধান রোপন নিয়ে অনেক দুশ্চিতাই ছিলাম। আজ থেকে ডিপ চালু হয়েছে। সেচ দিয়ে চাষ করার পর এখন ধান রোপন করতে পারবো।
আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুরের জাকির হোসেন সোহাগ বলেন, বৃষ্টির কারণে জমিতে ধান রোপন করতে পারছিনা। বৃষ্টির আশায় আছি। বৃষ্টি হলেই রোপন শুরু হবে।
পাঁচবিবি উপজেলার বাঁশখুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ধানচাষে কয়েক বছরের চেয়ে খরচ অনেক বেড়েছে। কীটনাশক, শ্রমিক সব কিছুরই দাম অনেক বেশি। তার উপর আবার সেচের জন্য ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বাড়তি দিতে হবে এবার।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, জেলায় চলতি মৌসুমে ৬৯ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আষাঢ় মাস শেষ হলেও আশানুরুপ বৃষ্টিপাত না হওয়ায় রোপা আমন চাষে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। এজন্য গভীর নলকুপের মাধ্যমে কৃষকদের সেচ দিতে বলা হচ্ছে। অনেক জায়গায় গভীর নলকুপ চালু করে কৃষকরা জমিতে সেচ দিয়ে চাষ শুরু করেছেন।।
Dhaka, Bangladesh বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:38 AM |
Zuhr | 11:59 AM |
Asr | 2:59 PM |
Magrib | 5:19 PM |
Isha | 6:40 PM |