গতকালএসময় ঝাপুটি তে ব্যাঙ ছেড়ে গীত পরিবেশন করা হয়, কাজল ফোঁটা, আলপনা অংকন সহ নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে গ্রামের মানুষ পালন করেছে ঝাপুটি আয়োজনের। তাদের বিশ্বাস এই ঝাপুটির মাধ্যমে বৃষ্টি আসবে, সুজলা সুফলা হবে ধরিত্রী।
কলা গাছের ছায়ামণ্ডপ করে তার মাঝে করা হয় গর্ত, গর্তের চারপাশ জঙ্গলের লতাপাতা দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। মাটির হাঁড়ি বা ডুঙ্গিতে দেওয়া হয় কাজল আর চালের গুড়ার সাদা ফোঁটা। এই কাজল ফোঁটা হল আকাশের কালো মেঘের প্রতীক । যেখান থেকে পাতালে বৃষ্টি নামে। তার পর গর্তের পাশে রাখা হয় ডুঙ্গি বা হাঁড়ি। গর্তে পানি ঢেলে তাতে ছেড়ে দেয়া হয় ব্যাঙ। গাওয়া হয় গীত।
অনেককাল ধরেই বৃষ্টির জন্য জাতিভেদে নানা কৃষ্টি বিদ্যমান। ভরা শ্রাবণে যখন বৃষ্টির দেখা মেলা ভার কোথাও কোথাও মহান রবের দরবারে দুহাত তুলে ফরিয়াদ করেছে অনেক মানুষ। আবার জয়পুরহাটের হিন্দা গ্রামে ঝাপুটি অনুষ্ঠানেরও দেখা মিলল।