আজ মঙ্গলবার | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | ভোর ৫:১৭
মনির হোসেন জীবন- রাজধানীর দক্ষিণখানে ১০তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সানজানা মোসাদ্দিকার (২১) আত্মহত্যার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এঘটনার পর থেকে সানজানার পিতা ও মামলার আসামী শাহীন আলম (৪৮) পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
রোববার রাতে শিক্ষার্থী সানজানার মা উম্মেসালমা বাদি হয়ে মেয়ের বাবা (স্বামী) শাহীন আলমের বিরুদ্ধে দক্ষিনখান থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।
জানা যায়, নিহত সানজানা ওরফে মোসাদ্দিকার ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন । দক্ষিনখানের দক্ষিন মোল্লারটেক বটতলা রোড নং ৪, ৫০ নং ধানসিঁড়ি এ্যাপার্টমেন্ট ফ্ল্যাট নং -৭/ এ বসবাস করতো সানজানার পরিবার। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সানজানা ছিল সবার বড়। তবে, আত্নহত্যার আগে ওই শিক্ষার্থী একটি চিরকুট লিখে গেছেন। চিরকুটে ওই ছাত্রী তার বাবাকে ‘পশু ও রেপিস্ট’ বলে উল্লেখ করেন। ইতিপূর্বে সে তার বাবার নামে দক্ষিনখান থানায় তাকে মারধর করার কারণে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিল।
আজ সোমবার ডিএমপি দক্ষিণখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো, মামুনুর রহমান রোববার রাতে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত শনিবার দুপুরে দক্ষিণখান থানার মোল্লারটেক বটতলা এলাকার একটি ১০তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন সানজানা মোসাদ্দেক। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রোববার সানজানার মা উম্মেসালমা মণি বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এতে ওই শিক্ষার্থীর বাবা শাহীন আলমকে আসামি করা হয়েছে।
দক্ষিনখান থানা পুলিশ জানায়, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে কাপড় শুকানোর জন্য বাসার সিকিউরিটি গার্ডের কাছ থেকে ছাদের চাবি নেন সানজানা। পরে ওই ছাত্রী ১০তলা ভবনের ছাদে ওঠে সেখান থেকে নিচে লাফিয়ে পড়েন। এতে সে গুরুতর আহত হলে প্রথমে তাকে স্হানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার আগারগাঁওয়ে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকেল সাড়ে চার টার দিকে সানজানাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
পুলিশ ও নিহতের পরিবারের লোকজন বলছে, সানজানার বাবা শাহীন আলম গত পাঁচ বছর আগে তাদেরকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে দুই পরিবারের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। এরপর সানজানার মা দুইমাস আগে স্বামীকে ডিভোর্স দেন। এরপর শাহীন আলম সানজানার বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টার ফিসসহ আনুষঙ্গিক খরচ দেওয়া বন্ধ করে দেন। পুলিশ একটি চিরকুট ও বেশ কিছু কাগজপত্র ইতিমধ্যে উদ্বার করেছে।
এদিকে, আত্মহত্যার আগে একটি চিরকুট লেখে গেছেন ওই শিক্ষার্থী । চিরকুটটি উদ্ধার করেছে দক্ষিণখান থানা পুলিশ। চিরকুটে লেখা রয়েছে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য আমার বাবা দায়ী। একটা ঘরে পশুর সাথে থাকা যায়। কিন্তু অমানুষের সাথে না। একজন অত্যাচারী রেপিস্ট যে কাজের মেয়েকেও ছাড়ে নাই। আমি তার করুণ ভাগ্যের সূচনা।
এদিকে, আজ সোমবার দক্ষিনখান থানার ওসি (তদন্ত) আজিজুল হক মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় আত্নহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে সানজানার মা উম্মেসালমা ওরফে মণি বাদি হয়ে গতকাল রোববার সানজানার পিতা শাহীন আলমকে অভিযুক্ত (আসামী) করে থানায় ৩০৬ পেনালকোড আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং-৫৮ বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |