আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:৪৯
মোঃ নাসির, নিউ জার্সি (আমেরিকা) প্রতিনিধিঃশর্তপূরণে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তবে আর্থিক স্বচ্ছতার আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের ন্যূনতম শর্ত পূরণকারী দেশগুলোর তালিকায় নেই বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে আর্থিক স্বচ্ছতার মানকে উন্নত করতে চার দফা সুপারিশ করা হয়েছে। তা হলো- এক. আন্তর্জাতিক নীতিতে গ্রহণযোগ্য বাজেট ডকুমেন্ট প্রস্তুত করতে হবে। দুই. সর্বোচ্চ নিরীক্ষা বা অডিট বিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতার মানদণ্ড পূরণ নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের থাকতে হবে পর্যাপ্ত জনবল। তিন. সময়মতো অডিট রিপোর্ট প্রকাশ করতে হবে। থাকতে হবে বাস্তব অনুসন্ধান তথ্য, সুপারিশ এবং বিস্তারিত নিরীক্ষা প্রতিবেদন। চার. প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণে সম্পাদিত চুক্তির মৌলিক তথ্যগুলো জনগণের সামনে প্রকাশ করতে হবে এবং অব্যাহতভাবে তাদের নাগালের মধ্যে রাখতে হবে। এতে বাংলাদেশের যেসব অসঙ্গতি আছে তাও তুলে ধরা হয়েছে। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আর্থিক স্বচ্ছতার আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের ন্যূনতম শর্ত পূরণকারী দেশগুলোর তালিকা প্রকাশ করে।এই প্রতিবেদনের শিরোনাম- ২০২২ ফিজক্যাল ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট (এফটিআর)। মোট ১৪১টি দেশের ওপর এই মূল্যায়ন উপস্থাপন করা হয়। বলা হয়, ওই দেশগুলোর মধ্যে ৭২টি দেশ আর্থিক স্বচ্ছতার ন্যূনতম শর্ত পূরণ করেছে। ৬৯টি দেশ তা পূরণ করতে পারেনি। তবে আর্থিক স্বচ্ছতার জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম শর্ত পূরণের জন্য উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে ২৭টি দেশ। তার মধ্যে আছে বাংলাদেশ।
>> যে দেশগুলো ২০২২ সালে ন্যূনতম শর্ত পূরণ করেছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- আলবেনিয়া, আর্জেন্টিনা, আর্মেনিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, বোতসোয়ানা, ব্রাজিল, বুলগেরিয়া, বুরকিনা ফাসো, ক্যাবো ভারডি, চিলি, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, আইভরিকোস্ট, ক্রোয়েশিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, এস্তোনিয়া, ফিজি, গাম্বিয়া, জর্জিয়া, ঘানা, গ্রিস, গুয়াতেমালা, গায়ানা, হন্ডুরাস, হাঙ্গেরী, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইসরাইল, জ্যামাইকা, জর্ডান, কোনিয়া, কসোভো, কিরগিজ প্রজাতন্ত্র, লাতভিয়া, লিথুয়ানিয়া, মালয়েশিয়া, মালটা, মার্শাল আইল্যান্ডস, মৌরিতিয়াস, মেক্সিকো, মাইক্রোনেশিয়া, মলদোভা, মঙ্গোলিয়া, মন্টিনেগ্রো, মরক্কো, নামিবিয়া, নেপাল, নাইজেরিয়া, নর্থ মেসিডোনিয়া, পানামা, প্যারাগুয়ে, পেরু, ফিলিপাইন, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, সামোয়া, সার্বিয়া, সিসিলি, সিঙ্গাপুর, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, তিমুর লেস্তে, টোগো, টোঙ্গা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, তিউনিশিয়া, তুরস্ক এবং উরুগুয়ে। এই তালিকায় রয়েছে এশিয়া মহাদেশের ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার নাম। অন্যদিকে বাংলাদেশ যাদের কাতারে আছে তার মধ্যে আছে পাকিস্তান, মালদ্বীপ, আফগানিস্তান ও মিয়ানমার। ২০১৪ সালে যেসব দেশকে আর্থিক স্বচ্ছতা বিষয়ক রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছিল, তাদের পারফরমেন্স রিভিউ করা হয় এতে।প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষসহ চলতি বছর ১৪১টি দেশের সরকারের মধ্যে ৭২টি আর্থিক স্বচ্ছতার ন্যূনতম শর্ত পূরণ করেছে। বাকি ৬৯টি দেশ ন্যূনতম শর্ত পূরণ করতে পারেনি। তবে এসব শর্ত পূরণে ২৭টি দেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এরমধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। এতে বাংলাদেশের আরও উন্নতির জন্য চারটি সুপারিশও করা হয়েছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, দক্ষিণ এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের এই আর্থিক স্বচ্ছতার মানদণ্ডে উন্নীত হয়েছে ভারত, নেপাল ও শ্রীলংকা। অন্যদিকে বাংলাদেশের কাতারে রয়েছে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও মালদ্বীপ। একই অবস্থা জান্তা পরিচালিত মিয়ানমার সরকারেরও। তবে এই চারটি দেশ শর্ত পূরণে অগ্রগতি করেনি।
>>
>> প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বিষয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার একটি যুক্তিসংগত সময়ের মধ্যে বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। নির্বাহী বাজেট প্রস্তাব ও পাশ হওয়া বাজেটের তথ্যও সরকার অনলাইনসহ অন্যান্যভাবে সহজ উপায়ে পাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। ঋণের দায়সংক্রান্ত তথ্যও পর্যাপ্ত পাওয়া যায়। তবে প্রতিবেদনে সরকারি আয়-ব্যয়ের নিরীক্ষায় বাস্তব চিত্র উঠে না আসাকে বাংলাদেশের আর্থিক অস্বচ্ছতার অন্যতম কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, সরকারি আয়-ব্যয়ের হিসাব পর্যালোচনা করে থাকে নিরীক্ষার দায়িত্বে থাকা সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান। তবে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদনে বাস্তব চিত্র প্রতিফলিত হয় না।
>>
>> বাংলাদেশের এ ধরনের সংস্থা হচ্ছে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় (সিএজি)। কিন্তু এ সর্বোচ্চ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানটির স্বাধীনতা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের নয় বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণে সম্পাদিত চুক্তির মৌলিক তথ্যগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয় না।
>>
>> প্রতিবেদনে বাংলাদেশের আর্থিক স্বচ্ছতা বাড়াতে চারটি সুপারিশ করা হয়েছে। সেগুলো হলো-আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নীতি মেনে বাজেটের কাগজপত্র প্রস্তুত করা। সিএজির স্বাধীনতার আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নিশ্চিত ও পর্যাপ্ত জনবলের ব্যবস্থা করা। বাস্তব চিত্র ও সুপারিশসহ বিস্তারিত নিরীক্ষা প্রতিবেদন যথাসময়ে প্রকাশ। প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণে সম্পাদিত চুক্তির মৌলিক তথ্যগুলো জনসমক্ষে এবং সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রকাশের ব্যবস্থা করা।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |