এদিকে অপর প্রান্তে জেলা প্রশাসকের হলরুমের পুর্বপাশে সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুর প্রস্তাবকারী বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের সদস্য মোঃ শরিফুল ইসলাম ও সমর্থনকারী কাশিপুর ইউুনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য সৈয়দ নওয়াব আলী বসে থাকা অবস্থায় হটাৎ করে সরদার আলমগীর হোসেনের লোকজন বাধন রায়,পারভেজ,জয়,সাদি সহ অনেকে আচমকা যেয়ে বেধড়ক মারপিট শুরু করে। এ সময় তারা জেলা প্রশাসকের হলরুমের চেয়ার ভাংচুর করে।
এ বিষয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু বলেন,আমার অনপস্থিতিতে আমার প্রতিক আনতে যান আমার প্রস্তাবকারী,সমর্থনকারী সহ আমার পক্ষের লোকজন। জেলার সর্বচ্চ নিরাপত্তাস্থল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আমার লোকজনকে মারপিট করেছে। এতে আমার প্রস্তাবকারী নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের সদস্য মোঃ শরিফুল ইসলাম ও সমর্থনকারী কাশিপুর ইউুনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য সৈয়দ নওয়াব আলী,নোয়াগ্রাম সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদুল কালু,শামুকখোলা গ্রামের কামাল কাজী,লাবু কাজী,জাকির কাজী আহত হয়েছেন। আমি মামলা করবো,এবং উপযুক্ত বিচার চাই।
এ বিষয়ে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী এ্যাডভোকেট সুবাস বোস বলেন, আমি আনারস প্রতিক চেয়েছি ওদিকে সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু ও আনারস চেয়েছে। তখন লিটুর লোকজন বলে ওঠে আমরা যদি আনারস না পাই তাহলে কেন এসেছি। এ কথা শোনার পরে আমার লোকজনের সাথে সামান্য হাতাহাতি ধাক্কাধাকী হয়।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন হামলা মারামারি ও ভাংচুরের ঘটনা স্বীকার করে বলেন,জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান স্যারের নির্দেশে কিছুু সময়ে প্রতিক বরাদ্দের কাজ বন্ধ রাখি। পরে আপোষ হলে কার্য্যক্রম সমাপ্তি করি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন,বলেন প্রাথমিক ভাবে কাউন্সিলর প্রার্থী ওবায়দুর রহমান ও খোকন কুমার সাহা কে শোকজ করা হবে এবং নির্বাচন কমিশনে জানানো হবে।
বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুর লোকজনের উপর হামলা ও হলরুমের চেয়ার ভাংচুরের বিষয়ে বলেন, প্রার্থী যদি লিখিত অভিযোগ করে তাহলে আমরা বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।