আজ রবিবার | ২৮শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১২ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১২ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১:৪৮
বিডি দিনকাল ডেস্ক : ৭ নভেম্বর মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেনঃ-
বাণী
“৭ নভেম্বর জাতীয় জীবনের এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সৈনিক-জনতা এক অদম্য শক্তিতে রাজপথে নেমে এসেছিলো জাতীয় স্বাধীনতা সুরক্ষা ও হারানো গণতন্ত্র পুণরুজ্জীবনের দৃঢ় প্রত্যয় বুকে নিয়ে। তাই ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিপ্লবের গুরুত্ব অপরিসীম। স্বাধীনতাত্তোর রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা, তৎকালীন ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী নিজ স্বার্থে জাতীয় স্বাধীনতাকে বিপন্ন করে দেশকে এক অজানা গন্তব্যে ঠেলে দেয়। শুধুমাত্র নিজেদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে একদলীয় হিং¯্র শাসন-বাকশাল চালু করা হয়। ফলশ্রুতিতে মানুষের বাক-ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে গলাটিপে হত্যা করে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়, নিষিদ্ধ করা হয় দেশের সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলকে। এতে জনমনে চরম অশান্তি ও হতাশা নেমে আসে। বাকশালী সরকার চরম অগণতান্ত্রিক ও নির্দয় পন্থায় মানুষের সহজাত মৌলিক অধিকারগুলোকে হরণ করে। সেই চরম সংকটকালে ৭৫ এর ৩ নভেম্বর কুচক্রীরা মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে সপরিবারে ক্যান্টনমেন্টে বন্দী করে। শুরু হয় এক অরাজক পরিস্থিতি। এমতাবস্থায় ৭ নভেম্বর স্বজাতির স্বাধীনতা রক্ষায় অকুতোভয় দেশপ্রেমিক সৈনিক এবং জনতার ঢলে রাজপথে এক অনন্য সংহতির স্ফুরণ ঘটে এবং জিয়াউর রহমান বন্দী অবস্থা থেকে মুক্ত হন। এই অম্লান বিপ্লবে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত হয়। গণতন্ত্র অর্গলমুক্ত হয়ে বিকাশের পথে এগিয়ে যায়, এই দিন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়। মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে আসে। তারপরেও চক্রান্ত থেমে থাকেনি, বিদেশী শক্তির এদেশীয় অনুচররা তাদের উদ্দেশ্য সাধনের পথে কাঁটা মনে করে ১৯৮১ সালে দেশমাতৃকার বীর সন্তান রাষ্ট্রপতি জিয়াকে হত্যা করে। জিয়া শাহাদত বরণ করলেও তাঁর আদর্শে বলীয়ান মানুষ দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় এখনও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের পরাজিত গোষ্ঠী আবারো নব্য বাকশালী সরকার রাষ্ট্রক্ষমতাকে অবৈধভাবে আঁকড়ে আছে। সরকারের নতজানু নীতির কারণেই দেশের সার্বভৌমত্ব ক্রমাগত দুর্বল হয়ে পড়ছে। দেশীয় রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির স্বাধীন সত্ত্বাকে হরণের চেষ্টা থেমে নেই। দেশে এক ঘোর দুর্দিন বিরাজমান। জ¦ালানী তেলসহ দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিতে মধ্য ও নি¤œ আয়ের মানুষের জীবন এখন দুর্বিষহ। তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াকু নেতা-কর্মীদেরকে অবৈধ শাসগোষ্ঠী বিভৎস নির্মমতায় হত্যাসহ আহত করছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতারের হিড়িক চালাচ্ছে। নির্যাতনের এই অব্যাহত ধারায় ‘গণতন্ত্রের প্রতীক’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখনো বন্দী। গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারের জন্যই ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রীর মুক্তি অত্যন্ত জরুরী। তাই আমি মনে করি ৭ নভেম্বরের চেতনায় জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
আমি জাতীয় বিপ¬ব ও সংহতি দিবসে দেশবাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”
মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেনঃ-
বাণী
“মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আমি দেশবাসী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। তাদের সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি।
৭৫-এর ৭ নভেম্বর সৈনিক-জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমাদের দেশমাতৃকার স্বাধীনতা সংহত করেছিল। এই ঐতিহাসিক বিপ্লবে আমাদের মাতৃভূমি প্রভাবমুক্ত হয়ে স্বাধীন অস্তিত্ব লাভ করে এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা শুরু হয়। পরাজিত হয় বাকশালী চক্রের অশুভ ইচ্ছা। ১৯৭৫ সালের এ দিনে স্বাধীনতার চেতনায় আধিপত্যবাদী শক্তির নীল নকশা প্রতিহত করে এদেশের বীর সৈনিক ও জনতা। সম্মিলিত প্রয়াসে জনগণ নতুন প্রত্যয়ে জেগে উঠে। ৭ নভেম্বর বিপ্লবের সফলতার সিঁড়ি বেয়েই আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক মুক্তির পথ পেয়েছি। আইনের শাসন, বাক, ব্যক্তি ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরে এসেছিল। দেশ, জনগণ, স্বাধীকারসহ স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের চেতনা বিরোধী সুগভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার স্বত:স্ফুর্ত বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল, এই বিপ্লবের মাধ্যমে জাতি পেয়েছিল এক যোগ্য নেতৃত্ব জিয়াউর রহমানকে, যিনি ‘৭১ এ জাতির চরম ক্রান্তিলগ্নে মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার দিক-নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সফল রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদী রাজনীতির উন্মেষ ঘটিয়ে জাতিকে উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির মহাসড়কে উঠিয়েছিলেন। আর সেজন্যই আমাদের জাতীয় জীবনে এই বিপ্লবের তাৎপর্য মহিমাম-িত।
আজকের এই মহান দিনে আমি দেশবাসীকে আহবান জানাই-যে চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯৭৫ সালে আমরা স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম, সেই একই চেতনাকে বুকে ধারণ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র পূনঃপ্রতিষ্ঠা ও জাতীয় স্বাধীনতা রক্ষায় আবার সুদৃঢ় জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। বর্তমানে মানুষের জীবন-জীবিকা গভীর সংকটাপন্ন, আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতিতে দেশে এক ভয়ানক অরাজকতা বিদ্যমান। জ¦ালানী তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার অনেক দুরে সরে গেছে।
অবৈধ সরকারের চরম প্রতিহিংসার শিকার বন্দী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। দেশনেত্রীর মুক্তি এবং আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে আসতে হবে।
জাতীয় স্বাধীনতা সুরক্ষা, বহুদলীয় গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক মুক্তি, শান্তি, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদাই হচ্ছে ৭ নভেম্বরের চেতনা।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”
(এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী)
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।
Dhaka, Bangladesh শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:30 PM |
Isha | 6:50 PM |