অস্ট্রেলিয়ার সংবাদদাতা: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীদল বিএনপি অস্ট্রেলিয়া শাখার উদ্দ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা গত ৬ই নভেম্বর ২০২২ রবিবার সিডনির লাকেম্বাস্থ ধানসিড়ি ফাংশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় । পবিত্র কোরআন তেলোওয়াতে মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরুর পরপরই বাংলাদেশ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং বাংলাদেশে গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের স্বপ্নপুরুষ শহীদ রাষ্ট্রপতি মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনায়ক তারেক রহমানের শাররিক সুস্থাতার জন্য এক বিশেষ দোয়া করা হয়।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীদল বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি মো:মোসলেহউদ্দিন হাওলাদার আরিফের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক মোঃ কুদরত উল্লাহ লিটনের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার সিনিয়র সহ সভাপতি মোবারক হোসেন, সহ সভাপতি কামরুল হাসান আজাদ, খাইরুল কবির শান্ত,সাংগঠনিক সম্পাদক এএনএম মাসুম,সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুস সামাদ শিবলু,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইন্জিনিয়ার কামরুল ইসলাম শামীম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও যুবদলের সভাপতি খাইরুল কবির পিন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস.এম খালেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মৌয়াইমেন খান মিশু ,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম ডি কামরুজ্জামান , সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির আহম্মেদ,দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ জাকির হোসেন রাজু, প্রচার সম্পাদক গোলাম রাব্বী শুভ্র, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক পবিত্র বড়ুয়া, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন,তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মতিয়ার রহমান,জাসাস সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান মামুন,মোঃ শফিকুল ইসলাম বিথু, সারওয়ার শিকদার,মতিয়ুর রহমান,আব্দুল গফুর,মো আশিকুর রহমান,ডাঃ মোঃ ইউনুস,কল সুধন যোসেফ ক্রুশ,অসীত ফ্রান্সিস গোমেজ, রাশেদুল ইসলাম, মোঃ শাকিল হোসেন,মোহাম্মদ শাহজাহান, আব্দুল মালেক, মোহাম্মদ ইউসুফ প্রমুখ।
মো:মোসলেহউদ্দিন হাওলাদার আরিফ বলেন,৭ই নভেম্বর জাতীয় জীবনের এক ঐতিহাসিক দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সৈনিক-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল জাতীয় স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষার দৃঢ় প্রত্যয় বুকে নিয়ে।কিন্তু স্বাধীনতাত্তোর রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা, তৎকালীন ক্ষমতাসীন মহলের নিজেদের স্বার্থের অনুক‚লে দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা এবং ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য মানুষের বাক-ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে গলাটিপে হত্যা করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করা হয়।এই অরাজক পরিস্থিতিতে স্বজাতির স্বাধীনতা রক্ষায় অকুতোভয় দেশপ্রেমিক সৈনিক এবং জনতার ঢল রাজপথে এক অনন্য সংহতির স্ফুরণে ৭ নভেম্বর জিয়া মুক্ত হন। এই পটপরিবর্তনে রাষ্ট্রপতি জিয়ার নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা সুরক্ষিত হয় ও গণতন্ত্র অগ্রগতির পথে এগিয়ে যায়, বহুদলীয় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়। মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে আসে। কুদরত উল্লাহ লিটন বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমানের মেধা ও বিচক্ষণতায় বাংলাদেশ অরাজকতা ও বিশৃংখলতা থেকে রক্ষা পেয়েছে। সেনাবাহিনীতে চেইন অব কমান্ড প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জনগণ তাহের- ইনুদের ষড়যন্ত্র প্রত্যাখ্যান করেছে।তাহের-ইনু চক্র চেয়েছিলো জিয়াউর রহমানের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে।জিয়াউর রহমানের জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে নিজেদের রাজনৈতিক লক্ষ্যে পৌছতে চেয়েছিলো। কিন্তু অসম সাহসী বিচক্ষণ ও দেশপ্রেমিক জিয়াউর রহমান ইনু-তাহের চক্রের পাতা ফাঁদে পা দেননি। নিজেদের অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে ব্যর্থ হয়ে এরা এখন মিথ্যাচার ও ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে চায়। এএন এম মাসুম বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশে বিদেশে বিএনপি আজ ঐক্যেবদ্ধ, উনার যোগ্য নেতৃত্বে আরো একটি বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরে পাবে।