আজ শনিবার | ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১১ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৪:১৯
নজরুল ইসলাম মানিক, সাভার ও আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি : সরকার দেশের গরীবসহ শ্রমজীবী মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। জীবনযাত্রার অসহনীয় ব্যয়বৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতির কারণে শ্রমিক মেহনতি মানুষের প্রকৃত আয় মারাত্মকভাবে কমে গেছে বলে শুক্রবার সকালে আশুলিয়া প্রেসক্লাবে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা জেলা শিল্পাঞ্চল কমিটির সম্মেলনের প্রধান অতিথি হিসাবে তিনি উপরোক্ত বক্তব্য করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির আশুলিয়া থানা কমিটির সভাপতি অরবিন্দু বেপারী অরবিন্দুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক জননেতা সাইফুল হক বলেছেন, , চরম কষ্টে তাদের জীবন কাটছে। বর্তমান মজুরিতে শ্রমিক পরিবারের ১৫ দিন পার করাও অসম্ভব হয়ে পড়েছে। স্বল্প আয়ের কোটি মানুষের খাদ্যগ্রহন কমে গেছে। তিনি বলেন, ভোটের অধিকার কেড়ে নেবার পর এখন ভাতের অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। চরম কর্তৃত্ববাদী জবাবদিহিহীন সরকারের শাসনে দেশের শ্রমজীবী – মেহনতী মানুষের জীবন – জীবিকার কোন নিরাপত্তা নেই।বিদ্যমান দুঃশাসনে দেশ ও জনগণের কোন ভবিষ্যৎ নেই। তিনি অধিকার ও বাঁচার দাবিতে গণজাগরণকে গণঅভ্যুত্থানে পরিনত করতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান। সম্মেলনের প্রধান বক্তা মাহমুদ হোসেন বলেন, এই সরকার দেশের কোটি কোটি মানুষকে পথে বসিয়ে দিয়েছে আরও ক্ষমতাহীন করেছে। সরকার দেশের মানুষের জীবন – জীবিকাকে বড় বিপদের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধির কারণে শ্রমিকদের প্রকৃত আয় মারাত্মকভাবে কমে গেছে।
বর্তমান মজুরিতে শ্রমিক পরিবারের মাসের ১৫ দিন পার করা কঠিন। অধিকার ও মুক্তি অর্জনে গণজাগরণকে গণঅভ্যুত্থানে পরিনত করার ডাক দিয়ে তিনি বক্তব্যে আরোও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মুল চাবি গার্মেন্টস শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানা আর এই গার্মেন্টস শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানা টিকিয়ে রাখার মালিক শ্রমিক। বাজারের দ্রব্রমুল্্েযর বৃদ্ধির কারনে আগুন লেগেছে । শ্রমিকরা যেই বেতন পাচ্ছে তা দিয়ে প্রতিদিন ২ বেলা কাবার খেতেও কষ্ট হচ্ছে । বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের দাবী অনুযায়ী শ্রমিক বাচতে হলে ন্যায্য বেতন ২৫ হাজার টাকা করতে হবে। এসময় বক্তারা আশুলিয়া থানা বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সম্মেলনে সরকারের দুর্নিতি, স্বেচ্চাচারিতা, দেশের অর্থ লুটপাটসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকারের নিকট নিরাপদ নয়। তাদের অবিলম্ভে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন দিতে হবে। আর বিনা ভোটের ও অবৈধ সরকারকে গদিতে রাখা যাবেনা। তারা ক্ষমতায় থাকলে দেশে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ চরম আকারে দেখা দিবে সেই সাথে দেশের প্রায় সারে ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে মারা যাবে। তারা আরোও বলেন আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসলেই দেশ দুর্ভিক্ষে পতিত হয়। ১৯৭৪ সালে আওয়ামীলীগ সরকারে ক্ষমতায় থাকা কালে দেশে দুর্ভিক্ষে লক্ষ লক্ষ মানুষ না খেয়ে মারা গেছে এবার ২৩ সালে আবার দুর্ভিক্ষ হবে বলে সরকারের এক মন্ত্রী বলেছেন। দুর্ভীক্ষ শুরু হয়ে গেছে কারন বর্তমানে বাজারে দ্রব্যমুল্য যে ভাবে বেড়েছে তাতে শ্রমিকরা শিল্প- কারখানায় যেই বেতন পায় তাতে ৫ সদস্যর একটি পরিবারের তিন বেলা খেতে ১৫ দিনের খাবার চলবে বাকি দিন না খেয়ে মরতে হবে। শিল্প-কারখানা শ্রমিকদের ন্যুনতম ২৫ হাজার টাকা বেতন দাবী করেছেন তবেই শ্রমিকরা তিন বেলা খেয়ে বেচে থাকতে পারবে। এসময় অন্যান্য বক্তারা বলেন, বিনা ভোটের সরকার, স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদী সরকার, মিথ্যাবাদী, দুর্নিতিবাজ, স্বেচ্চাচারি, দেশের অর্থ লুটপাটের সরকারকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেয়া যাবেনা তাদের আন্দোলনের মাধ্যমে পদত্যাগ করাইতে হবে। বক্তারা আরোও বলেন দেশ ও জনগনকে বাচাতে হলে এই সরকারকে গলায় গামছা লাগিয়ে ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে। শিল্প পুলিশের ব্যাপারে অভিযোগ তুলে বলেন, শিল্প পুলিশ শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা, নিরাপত্তা, প্রদান করার কথা থাকলে তারা এখন পুলিশ সন্ত্রাস ও রাষ্ট্রিয় সন্ত্রাস। তারা শিল্প মালিকের সাথে মিলে শ্রমিকদের কন্ঠরোধ, ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত, ক্রসফায়ারের ভিতি প্রদর্শনসহ শ্রমিকদের দাবিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এসময় সম্মেলনের সভাপতি অরবিন্দু বেপারি বিন্দু বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টিকে শ্রমিক মেহনতিদের মুক্তি অর্জনে তাদের লড়াই এর পার্টি হিসাবে গড়ে তোলার আহবান জানান। তিনি আগামী ৯-১২ ডিসেম্বর বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির দশম কংগ্রেস সফল করার আহবান জানান। পার্টির শিল্পাঞ্চল কমিটির সভাপতি শ্রমিক নেতা অরবিন্দু বেপারি বিন্দুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আনছার আলী দুলাল, শ্রমিকনেতা মাহমুদ হোসেন, সাইফুল ইসলাম, শহীদুল আলম নান্নু, শিল্পাঞ্চল কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মনোয়ার হোসেন, নাঈম খান, সজল হালদার, মোঃ আউয়াল, মোঃ শাহজাহান আলমগীর হোসেন।সংহতি বক্তব্য রাখেন গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক ওমর ফারুক, যুগ্ম সদস্য সচিব হুমায়ুন কবীর, নাসিরুদ্দিন,ফরহাদ হোসেন প্রমুখ। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সম্মেলনের র্যালী আশুলিয়ার রাজপথ প্রদক্ষিণ করে।
Dhaka, Bangladesh শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:29 PM |
Isha | 6:49 PM |