আজ মঙ্গলবার | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৮:৩০
আবুবকর সিদ্দিক:-১৯৭১সালের-মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫১ বছর পেরিয়ে গেলেও শহীদ পরিবারের স্বীকৃতি পাইনি। কেউ আমাদের খবরও রাখেনি। পরিবার পরিজন নিয়ে অর্থাভাবে দিনাতিপাত করছি। শত বছর বয়সেও সরকারি কোনো সহযোগিতা পাইনি।আক্ষেপের সঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন জয়পুরহাট পৌরসভার গারিয়াকান্ত গ্রামের বিধাবা জায়েদা, বেগম,।রাহেলা,হাসিনা,ও মরিয়ম বেওয়া। গত ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে তাদের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। ঁ জয়পুরহাট পৌরসভার গারিয়াকান্ত গ্রামের, সবচেয়ে বয়স্ক বিধবা –জায়েদা বেগম বয়স (১০৫) স্মৃতি এখনও প্রখর, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চারণ করে বলেন, ১৯৭১ সালে ২৩ শে এপ্রিল রবিবার আমার স্বামী ময়েনউদ্দিনকে পাক সেনারা বাড়ীতে এসে উর্দুতে বলে মুক্তি যোদ্ধারা রেল লাইন তুলে ফেলা হয়েছে তা লাগাতে হবে , বলে তাকে ধরে নিয়ে যায়। আরএকজন শহীদ আবুল কাসেমের স্ত্রী রাহেলা বেগম, বয়স ১০২ বছর বিভিন্ন রোগ বাসাবেধেছে শরীওে, কিন্তু কথা এখনও টনটনা তিনি জানালেন বিছানায় শুয়ে বললেন তার দুখের কথা। তার স্বামীকে ১৪ থেকে ১৫ জনএর ১টি পাক সেনার দল এসে বললেন বাড়ীতে কেকে আছে বের হও , তার স্বামী নাস্তা খাওয়ার জন্য কেবল তৈরি হচ্ছিল, সেএই সময় তাকে ও তার দেবরকে ও বোন জামাইকে তুলে নিয়ে যায়।এরকম, হাসিনা বেগমের স্বামী মফিজ উদ্দিন,মরিয়ম বেওয়ার স্বামী জামাল উদ্দিনকে ধরে নিয়ে গিয়ে জয়পুরহাট সীমেন্ট ফ্যক্টরীর মাঠে লাইন কওে ঐ গ্রামের ৩২ জনের সঙ্গে আমাদের স্বজনকেও পাখির মতো গুলি করে মেরে ফেলে।আজ পর্যন্ত আমাদেও কেউ খবর রাখেনি।পাইনি কোনও সনদ বা স্বীকৃতি।বড় দুখ: ও বেদনা কান্না জড়িত কন্ঠে বল্লেন বেঁচে থাকা বিধবারা।
আমরা শহীদ পরিবারের সন্তানেরা এতিমখানায় কেউবা পরের বাড়ী কামলা খেটে পেটের ভাত যোগাড় করছি। স্বাধীনতার ৫১ বছর পেরিয়ে গেলেও শহীদ পরিবারের স্বীকৃতি তো পাইনি বরং আমাদের খবরও কেউ রাখেনি, পাইনি একটি সনদ ও।।
ভাঙ্গা ঘরে অর্থাভাবে বাস করছেন তারা। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের পরিবারের সকল সদস্যকে হত্যা করে পাক সেনারা। তিনি বলেন, ভাঙ্গা ঘর আর অর্থ ও খাদ্যকষ্টে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। শুনেছি বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধে জীবন দানকারীদের জন্য অনেক সহযোগিতা করছেন। তাহলে আমরা কেন বঞ্চিত?’ কথাগুলো বলতে বলতে চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে আসে শহিদ পরিবারেরবিধবা ও তাদেও সন্তানদের।
স্বাধীনতার ৫১ বছর পরও কোন স্বিকৃতী মিলেনি স্বীকার করলেন সদও উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আফসার আলী।
আর্থিক অভাবে তারা চিকিৎসা করাতে পারছেনা।শহরের গারীয়াকান্ত গ্রামের শহীদ পরিবারের সেক্রেটারী আবু খায়ের জানালেন তার দুখ: ও না পাওয়ার বেদনার কথাগুলো ।
স্বাধীনতা যুদ্ধে এতো গুলো প্রান দিলো কিন্তু স্বাধীনতার অর্ধশত বছর পেরিয়ে গেলেও শহীদ পরিবার হিসাবে কোনো স্বীকৃতি পায়নি। শত বছর বয়সে এসে আর্থিক সংকটের মধ্যে দিনাতিপাত করছে তারা
এই বিষয়ে খবর নিয়ে ওই পরিবারগুলোর জন্য ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার দাবী এলাবাসীর।
Dhaka, Bangladesh মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:38 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |