1. প্রচ্ছদ
2. প্রধান খবর
3. গতকাল দেশব্যাপী গণমিছিল করেছে বিএনপি:পঞ্চগড়ে বিএনপি’র গণমিছিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, নিহত ১

গতকাল দেশব্যাপী গণমিছিল করেছে বিএনপি:পঞ্চগড়ে বিএনপি’র গণমিছিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, নিহত ১

প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ৫:২৬ পূর্বাহ্ণ

সরকারের পদত্যাগ, ১০ দফা বাস্তবায়ন, বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে গতকাল দেশব্যাপী গণমিছিল করেছে বিএনপি। এ কর্মসূচি পালনকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের বাধা পাওয়ার অভিযোগ করেছে দলটি। কোথাও কোথাও পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পঞ্চগড়ে ১ জন বিএনপি নেতা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া গ্রেপ্তার হয়েছে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী।

পঞ্চগড়ে বিএনপি’র গণমিছিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, নিহত ১
পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, বিএনপি’র যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি গণমিছিলে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আব্দুর রশিদ আরেফিন নামের এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন। গতকাল পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে তিনি মারা যান। বিএনপি নেতাদের দাবি, গণমিছিলে পুলিশ গুলি করে আরেফিনকে হত্যা করেছে। পুলিশের এলোপাতাড়ি ছোড়া গুলি ও লাঠিচার্জে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। নিহত বিএনপি নেতার বাড়ি বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি এলাকায়।তিনি দীঘি ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপি নেতারা জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল দুপুরের পর থেকে গণমিছিলে অংশ নিতে খ- খ- মিছিল নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে হাজির হতে থাকেন। বিকাল ৩টার দিকে গণমিছিল বের করার ঘোষণা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ বাধা দেয়। এতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট ছোড়ে। বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদ আরেফিন গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেয়ার পথেই তিনি মারা যান।

জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু জানান, আমাদের শান্তিপূর্ণভাবে গণমিছিল শুরুর প্রাক্কালে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পুলিশ বাধা দিয়ে লাঠিচার্জ করে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়তে থাকে। এতে করে আমাদের একজন নেতা নিহত হন ও প্রায় দুইশ’ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ দুইঘণ্টা ধরে তা-ব চালায়। বাজারের বিভিন্ন অলিগলিতেও হামলা চালিয়েছে পুলিশ। শান্তিপূর্ণ গণমিছিলে পুলিশ হামলা করে একজনকে হত্যা ও নেতাকর্মীদের আহত করার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তৌফিক আহামেদ বলেন, আরেফিন নামে একজন রোগী হাসপাতালে আসার আগেই মারা গেছেন। তবে তিনি কীভাবে মারা গেছে তা এখনো নিশ্চত করে বলা যাচ্ছে না। পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর বলা যাবে।
জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেন, সারা দেশের মতো পঞ্চগড়েও গণমিছিল কর্মসূচি পালন করছিল। কিন্তু পুলিশ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেয়। এতে আমাদের বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি উইনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ আরেফিন মারা যান। বেশ কয়েকজনকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে।

পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা ও ইট-পাটকেল নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুর চালালে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় পুলিশের ১০-১২ জন সদস্য আহত হন। তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদ আরেফিন বেলা আড়াইটার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তা আমাদের নিশ্চিত করেছেন। এরপরও বিতর্ক এড়ানোর জন্য নিহত ব্যক্তির ময়নাতদন্ত করা হবে।

স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার থেকে জানান, মৌলভীবাজারে বিএনপি’র বিশাল গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকালে স্থানীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে জেলা বিএনপি সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমানের নেতৃত্বে কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা বিশাল গণমিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের পৌর ঈদগাহ প্রাঙ্গণে পৌঁছে প্রতিবাদী পথ সমাবেশ করে। প্রতিবাদী পথ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান, জেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক মেয়র ফয়জুল করিম ময়ুন, জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি আশিক মোশাররফ, ফয়ছল আহমদ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বকশী মিছবাহ উর রহমান, জেলা যুবদল সভাপতি ও সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন উজ্জ্বল।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক এম এ মুহিত, জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম রিপন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক জিএম মুক্তাদির রাজু, সদর উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহানসহ অন্যরা। গণমিছিলে নানা সেøাগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, কৃষকদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল, তাঁতী দলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। গণমিছিল চলাকালে শহরের প্রতিটি মোড়ে পুলিশের সতর্ক পাহারা ছিল লক্ষণীয়। অপরদিকে জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভিপি মিজানুর রহমান মিজানের নেতৃত্বে একটি অংশের নেতাকর্মীরা শহরের চাঁদনীঘাটস্থ মুক্তিযোদ্ধা চত্বর থেকে গণমিছিল শুরু করে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এম সাইফুর রহমান সড়ক হয়ে শহরের কুসুমবাগ এসআর প্লাজার সামনে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে গণমিছিল শেষ করে।

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর থেকে জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গাজীপুরে বিএনপি গণমিছিল করতে চাইলে পুলিশি বাধায় তা প- হয়ে যায়। এসময় আটক করা হয়েছে অন্তত ২০ জনকে। বিএনপি নেতৃবৃন্দ জানায়, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি সফল করতে গতকাল বিকালে রাজবাড়ী রোডের দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে খ- খ- মিছিল নিয়ে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করে দলীয় নেতাকর্মীরা। এতে পুলিশ ট্যাংকির পার, রথখোলা ও শিববাড়ি মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় বাধা দেয়। ধাওয়া- পাল্টা দেওয়া হয়। এসময় অন্তত ২০ জনকে আটক করা হয়। দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হলেও সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের জড়ো হতে বাধা দেয় পুলিশ। এরমাঝেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। জেলা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডাক্তার শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন জেলা সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান, স্থায়ী কমিটির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট মেহেদী হাসান এলিস।

উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি জানান, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ ১০ দফা দাবিতে পুলিশি বাধার মুখে গাইবান্ধায় বিএনপি সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। গাইবান্ধার ৭ উপজেলা, শহর, ইউনিয়ন থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে বিএনপি অফিসের সামনে জমায়েত হয়। দুপুরে সার্কুলার রোডে অবস্থিত বিএনপি অফিসের সামনে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি’র সভাপতি ডা. ময়নুল হাসান সাদিক, সাধারণ সম্পাদক রশিদুন্নবী টিটুল, শহীদুজ্জামান শহীদসহ অন্যরা। পরে বিক্ষোভ গণমিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে পৌর পার্কের সামনে এলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। সেখানে পুলিশের সাথে বিএনপি কর্মীদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে বিএনপি’র বিশাল মিছিল রেলগেট এলাকা থেকে ঘুরে বিএনপি অফিস চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

স্টাফ রিপোর্টার, পাবনা থেকে জানান, সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে বিশাল গণমিছিল করেছে পাবনা জেলা বিএনপি। একই দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গণমিছিল করেছে জেলা জামায়াতে ইসলামীও। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল দুপুরে পাবনা শহরে পৃথকভাবে এই কর্মসূচি পালন করে। বিএনপি নেতাকর্মীরা দুপুর ১২টার দিকে খ- খ- মিছিল নিয়ে শহরের গোপালপুরস্থ (লাহিড়ীপাড়া) জেলা কার্যালয়ে সমবেত হন। পরে শহরমুখী গণমিছিল শুরু হয়। মিছিলটি দলীয় কার্যালয় হয়ে শহরের আব্দুল হামিদ রোড, ট্রাফিক মোড়, চাঁপা মসজিদ, দই বাজার, নিউজ মার্কেট, রবিউল মার্কেটসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে জানান, বিএনপি’র ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, এই দেশ একটা অবৈধ সরকারের দখলে। এই সরকার শুধু মানুষকে নির্যাতন ও নিষ্পেষণ করতে জানে। জানে শুধু মামলা-হামলা।

এই সরকার একটি বর্বর সরকার। কেননা ডা-াবেড়ি পরে মানুষকে জানাজায় অংশ নিতে হয়। গতকাল দুপুরে কিশোরগঞ্জে বিএনপি’র গণমিছিল পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, প্রচ- গণআন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটানো হবে। এরপর প্রতিটি অন্যায় অবিচারের জন্য তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। এটা শুধু সরকারপ্রধান না, সরকারপ্রধানের অধীনে যারা বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে আছে, যারা জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, জনগণের উপর জুলুম করছে, তাদের প্রত্যেককেই আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। জেলা শহরের ঐতিহাসিক রথখোলা ময়দানে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপি সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল আলম।

এতে অন্যদের মধ্যে এনডিপি সভাপতি আবু তাহের, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল, জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, সহ-সভাপতি রুহুল হুসাইন, এডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন, এডভোকেট জালাল মোহাম্মদ গাউস ও এডভোকেট শরীফুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী ইসরাইল মিয়া, নাজমুল আলম ও আমিনুল ইসলাম আশফাক, যুববিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুমন, জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সুমন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. মারুফ মিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কিশোরগঞ্জে অনুষ্ঠিত গণমিছিলকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ।

লালমনিরহাট প্রতিনিধি জানান, রংপুর বিভাগীয় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর নেতৃত্বে লালমনিরহাটে বিএনপি’র গণমিছিল হয়েছে। গতকাল সকালে আলোরুপা মোড় দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে গণমিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন মোড় প্রদক্ষিণ শেষে মিশন মোড়ে সমাবেশ করে। গণমিছিলে রংপুর বিভাগীয় সাংঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, সরকার পতনে গণমিছিলের পর অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মো. হাফিজুর রহমান বাবলা, এ. কে, এম মমিনুল হক, আফজাল হোসেন, এডভোকেট রফিক, এডভোকেট আঞ্জুমান আরা শাপলা, এড. জিন্না ফেরদৈস রোজীসহ অনেকে। গণমিছিলে বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, দিনাজপুরে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী পৃথক পৃথক বিশাল গণমিছিল করেছে। গতকাল দুপুরে দিনাজপুর জেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে বিএনপি ও শহরের স্টেশন চত্বর থেকে জামায়াতে ইসলামী এই গণমিছিল বের করে। জামায়াতের মিছিলের আগে ও পরে ১৫ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

দিনাজপুর জেলা বিএনপি’র আয়োজনে বিএনপি’র হাজারো নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএনপি’র গণমিছিলে প্রধান অতিথি হিসেবে নেতৃত্ব দেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপি রংপুর বিভাগীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা বিএনপি’র সভাপতি এডভোকেট মোফাজ্জল হোসেন দুলাল, সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ কচি, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মোকাররম হোসেন প্রমুখ।

মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, মুন্সীগঞ্জে বিএনপি আয়োজিত গণমিছিলে পুলিশের বাধা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার মুক্তারপুর এলাকায় পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপি মিছিল বের করে। গোসাইবাগ সড়ক থেকে মূল সড়কে উঠতে গেলেই পুলিশের বাধার মুখে পড়ে গণমিছিলটি। এতে সেখানেই মিছিলটি শেষ হয়ে যায়। পরে পঞ্চসার ইউনিয়ন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে পথসভা করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এসময় বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত ছিল। দলীয় চেয়ারপারসনের মুক্তি ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, রুহুল কবীর রেজভী আহমদসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তি, নিত‍্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল‍্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও আগামী সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সহ ১০ দফা দাবি আদায় লক্ষ্যে নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সদর উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহম্মেদ প্রমুখ।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান, ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে ঝিনাইদহে গণমিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপি। গতকাল সকালে জেলা বিএনপি’র আয়োজনে ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে মিছিল বের করা হয়। শনিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা ঝিনাইদহ শহরে মিছিল নিয়ে জমায়েত হতে থাকে। দুপুর নাগাদ ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবের রাস্তা ও আশপাশের এলাকায় জনতার ঢেউ আছড়ে পড়ে। ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে বিএনপি’র মিছিলটি শহরে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। ফলে পুলিশের বাধা পেয়ে শহরের মডার্ন মোড়ে মিছিল শেষ হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে জেলা বিএনপি’র সাবেক আহ্বায়ক এসএম মশিয়ুর রহমান, জেলা বিএনপি সভাপতি এডভোকেট এম এ মজিদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, সহ-সভাপতি এডভোকেট মুন্সী কামাল আজাদ পান্নু, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, সহ-সভাপতি আক্তারুজ্জামানসহ নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।

Please follow and like us:

20

20