আজ শনিবার | ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১১ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১২:২২
সখিপুর(টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি :টাঙ্গাইলের সখিপুরে এক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মারধর ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনেছেন এলাকাবাসী। তার অত্যাচারে ভুক্তভোগীরা মামলা দায়ের করেছে এবং বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ দাখিল করেছে।
এই আওয়ামী লীগ নেতার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে থানা, উপজেলা আওয়ামীলীগ ও ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এলাকাবাসী।
অভিযুক্ত আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ হারুন সরকার বহুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ওই এলাকার মোঃ আজিমুদ্দিনের ছেলে।
জানা যায়, হারুন সরকার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে মামলা- চাঁদাবাজি, ও ভয়ভীতি সহ অনেক অপকর্ম করে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করে রাখে এবং অসহায়দের উপর জুলুম ও অত্যাচার করে থাকে।
তার এমন অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ও এই অত্যাচার থেকে পরিত্রাণ পেতে এই হারুন সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সখিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে এলাকাবাসী।
প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার পাওয়া অসহায় বিধবা আমেনা বেগম বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমারে একটা ঘর বানাই দিছে, এখন হারুন আমার ঘরে শান্তিতে থাকতে দেয়না, আমার কাছে জমিনের টাকা চায়।
স্থানীয় বাসিন্দা মামলার বাদী মির্জা মকবুল হোসেন মহর বলেন, আমার জমিতে মাটি ফেলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করতে চাইলে সে আমার কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে অথবা দুইটি ঘরের জায়গা দিতে হবে বলে হুমকি ধামকি দিয়েছে। হারুন বিভিন্ন স্থানে বলে বেড়ায় এলাকায় যেকোনো উন্নয়ন মুলক কাজ করতে হলে আমাকে চাঁদা দিতে হবে কারন আমি অনেক টাকা খরচ করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছি। আর আমার কথা না শুনলে নানা রকম মামলা দিয়ে নাজেহাল করবো। আর আমার জমিতে মাটি ভরাটের সময়ও আমাকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শরবেশ আলী বলেন, হারুন এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা সব নষ্ট করে ফেলেছে, চাঁদাবাজি, অহেতুক মামলা করাসহ নানা ধরনের অপকর্ম করে চলেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ হেলাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হারুন আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে এলাকায় নানান জামেলা করে থাকে। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরের জন্যও সে চাঁদা দাবি করে।এলাকার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাঘাট উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাধা প্রদান সহ না অপকর্ম করে বেড়ায়। বহুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহোদয়ও তাকে সামাল দিতে ব্যর্থ হয়ে
ইউএনও, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রতি ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন।
বহুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, বিষয়টা শুনেছি। যাচাই করে ঘটনার সত্যতা পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহান জয় বলেন, এ বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবিষয়ে বহুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন সরকার তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।
Dhaka, Bangladesh শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:29 PM |
Isha | 6:49 PM |