নজরুল ইসলাম মানিক, সাভার ও আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি ঃআশুলিয়া সার্কেল সহকারী কমিশনার(ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ে এক অনন্য দৃষ্টান তৈরি করলেন আনোয়ার হোসেন। জনস্বার্থে ও সরকারীসার্থে আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেল, সহকারী কমিশনার(ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার হোসেন প্রতিনিয়ত অপেক্ষমান ভুমি সেবা প্রার্থীদের অপেক্ষায় না রেখে দাড়িয়ে শুনানী করে সমস্যার সমাধান করছেন। এতে কাজের সচ্ছতা বাড়ছে, জনদুর্ভোগ কমছে এবং দীর্ঘ দিনের ভুক্তভোগীদের সমস্যার সমাধান করছেন এই খোলামেলা গনশুনানীর মাধ্যমে। ২৬ ফেব্রুয়ারি রোববার বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেল, সহকারী কমিশনার(ভুমি) কার্যালয়ে এই দৃশ্যটি এই প্রতিবেদক ক্যামারায় বন্ধি করেন। সাবিনা আক্তার নামক ভুক্তভোগী হাস্যজ্জল মুখে বলেন, সরেজমিনে এসে দেখি স্যার নিজের অফিস রুমের চেয়ার ছেড়ে কখনো অপেক্ষমান রুম, কখনো সেবা রিসিপশন টেবিলে দাড়িয়ে শুনানী করছেন এবং দ্রুত সমস্যার সমাধান দিচ্ছেন। এরকম মন্তব্য করেছে প্রায় ৭৯ বছর বয়সী বৃদ্ধাসহ অনেক ভুক্তভোগীরা। যাহা অতিতের সমস্ত জনদুর্ভোগ নিমিশেই কেটে যাবে এবং সরকারী রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। এব্যাপারে জানার জন্য আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেল ভুমি সহকারী কমিশনার অফিসের অন্যান্য কর্মরতদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, এই স্যার কর্মরত অবস্হায় অযথা সময় নষ্ট না করে অপেক্ষমান গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় সেবা দিতে এবং সকল সমস্যার সমাধান দিতে এই কার্যালয়ে যখন তখন দাড়িয়ে সেবা দিয়ে আসছেন। এমনকি সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গ্রাহক সেবায় কোন ত্রুটি না থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসংগতঃ সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পুর্বে একটি নামজারী খারিজ মিসকেস, সংশোধন, বিয়োজন এর মামলা গুলো নিষ্পত্তি হতে যে সময় ব্যায় হতো এখন ২০% সময় লাগেনা। বর্তমানে সরকারের নির্দেশনায় ১০/১৫ কার্যদিবসে নামজারী মামলা নিষ্পত্তির জন্য আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেল, সহকারী কমিশনার(ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার হোসেন প্রতিনিয়ত তার অধিনস্থ কর্মকর্তাদেরকে তাগিদ দিয়ে যথাসময়ে নামজারী পর্চা ও ডিসিআর প্রদান করছেন এমনকি ভুমি সংক্রান্ত যেকোন মিসকেস মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করছেন। অভিজ্ঞ কানুনগো হাবিবুল্লাহ খান, সার্ভেয়ার আবুঅভিজ্ঞ কানুনগো হাবিবুল্লাহ খান, সার্ভেয়ার আবু বক্কর সিদ্দিক চৌধুরী, সার্ভেয়ার শফিকুল ইসলামসহ সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন জনসাধারনকে সার্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে নিরলস সেবা প্রদানের সুস্পষ্ট প্রমান করেছেন। যার কারনে দ্রুতগতিতে ভুমি সংক্রান্ত রাজস্ব আদায় হচ্ছে।