আজ শনিবার | ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১১ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ১০:৫৩
আবুবকর সিদ্দিক, জয়পুরহাট:-জয়পুরহাট জেলার কালাই,ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর এ তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন জয়পুরহাট-২ নির্বাচনী এলাকা। জয়পুরহাট ২ আসনে আওয়ামীলীগের ২ জন, আর বিএনপির এই জয়পুরহাট ২ আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ২জন , বর্তমান জাতীয় সংসদেও হুইপ ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আর একজন সাবেক আক্কেলপুর ফৌর মেয়র গোলাম মাহফুজ অবসর চৌধুরী।
বিএনপি থেকে, সাবেক এমপি ও হুইপ আবু ইউছুফ মোহাম্মদ খলিলুর রহমান, সাবেক এমপি ইনজিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা সিরাজুল ইসলাম বিদুৎ, জাসাসের কেন্দ্রীয় নেতা .জাহেদুল আলম হিটো, ও স্থানীয় তৃনমুল বিএনপি নেতা ওব্য়াদুর রহমান সুইট। মোট ৬ জন প্রার্থী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে\
পূর্বে এ আসনটি বিএনপি’র দুর্গ হিসেবে পরিচিত ছিল কিন্তু গত প্রায় ১৫ বছরে এ আসনটি আওয়ামীলীগের দখলে থেকে তৃণমূল থেকে জেলা র্পযন্ত সংগঠনটি অনেক শক্তিশালী হয়েছে। বর্তমানে এ আসনের সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন জাতীয় সংসদের হুইপ, আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ায় ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ অতীতের চেয়ে অনেক বেশি শক্ত অবস্থানে আছে। তবে বিএনপি তার নিজেদের দুর্গকে পূনরুদ্ধার করতে সবদিক দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কার দখলে থাকবে এ আসনটি তা জানতে হলে আমাদের আগামী জাতীয় সংসদেও ভোটের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে।
জয়পুরহাটের কালাই,ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর এ তিন উপজেলা নিয়ে জয়পুরহাট-২ আসন। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৫ হাজার ২৯০ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৬ হাজার ১৯৮ জন ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯১ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ ভোটার ১ জন।১৯৭৯ সালে জয়পুরহাট-২ আসনের এমপি নির্বাচিত হন বিএনপি থেকে প্রয়াত আবুল হাসনাত চৌধুরী মতি চৌধুরী। এরপর ১৯৮৬ সালে এমপি নির্বাচিত হন আওয়ামীলীগ থেকে প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ। ১৯৯১ সালে এ আসনে এমপি হিসাবে জয়লাভ করেন বিএনপি থেকে আবু ইউসুফ মোঃ খলিলুর রহমান। এরপর ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত একটানা ৩ বার এ আসনটি দখলে রাখে বিএনপি’র এমপি ও জাতীয় সংসদেও হুইপ আবু ইউসুফ মোঃ খলিলুর রহমান। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়পুরহাট-২ আসনে বিএনপি’র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন । এ সকল নির্বাচনের ফলাফলকে মাথায় রেখে বিএনপি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হিসাব-নিকাশ করছে। ২০১৪ সালে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি জয়ী হন। তিনি আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, জাতীয় সংসদের হুইপ নির্বাচিত হন। প্রত্যন্ত গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান, রাস্তাঘাট সংস্কার ও মেরামত, আইএইচটি সহ নানা উন্নয়ন মূলক দৃশ্যমান কাজের জন্য জেলায় আওয়ামীলীগের ভোট বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ। আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে বড় দুই দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে গনসংযোগ শুরু করেছেন পুরোদমে। বিএনপি’র ঘাঁটি হওয়ার কারনে ধানের শীষ প্রতীক পাওয়া গেলেই এমপি হওয়া যায় এটি যেমন বিএনপির নেতা-কর্মীদের আকৃষ্ট করে, তেমনি বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় এমপি হওয়া যাচ্ছে এমন ধারনা জেকে বসেছে আওয়ামীলীগ তথা মহা জোটের নেতা-কর্মীদের মধ্যে। তবে হুইপ ও সাংগঠনিক সম্পাদকের আসন হওয়ায় আওয়ামীলীগের প্রার্থী চোখে না পড়লেও জয়পুরহাট-২ আসনে বিএনপি’র সাম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় নতুন মূখের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আওয়ামীলীগের দলীয় কোন্দল দীর্ঘদিনের, প্রকাশ রুপ পায় সার্কিট হাউসে জয়পুরহাট ১ আসনের এমপিকে হেনস্থা করার মাধ্যমে। এখন প্রকাশ্য ২ টি গ্রæপে বিভক্ত, একটি হুইপ আবুসাঈদ আল মাহমুদ স্বপন পন্থী,তাদেও দলে আছে জয়পুরহাট পৌরসভারমেয়র, মোস্তাক, পাচবিবি পৌরসভার মেয়র হাবিবুর রহমান হাবিব,কালাই উপজেলা চেয়ারম্যান মিনফিজুর রহমান মিলন,মোটামুটি কালাই ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর এলাকার সভাপতি সম্পাদক সহ স্বপন গ্রæপের সমর্থক।
এ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা জনসংযোগ চালানোর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে লবিংও করেছেন মনোনয়নের আশায়। ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন আগামী নির্বাচনে আবারও প্রার্থী হচ্ছেন এটি চিন্তা করে এ আসনে ক্ষমতাসীন দলের তেমন কোন প্রার্থী নেই বললেই চলে। তবে আওয়ামীলীগ থেকে বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, আক্কেলপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও রুকিন্দিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর নিজেকে আগামী নির্বাচনে এমপি প্রার্থী হিসাবে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন স্থানে নিজেকে প্রার্থী হিসাবে প্রচার করছেন। তিনি এলাকার বিভিন্ন দলীয় কর্মীদের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তহবিল হতে বিভিন্ন অনুদান এনে বিতরন করছেন। ইতিমধ্যে এরুপ এক অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে তার ব্যক্তিগত গাড়ীর পেছনের গøাস ভাংচুরের মত ঘটনাও ঘটেছে।
অবসর চৌধুরী বলেছেন, নেত্রী আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছে, আমার মাথা আর কেউ নোয়তে পারবেনা ইনশাাল্লাহ। অপরদিকে অবসর চৌধুরী অল্প কিছু কর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় প্রচার-প্রচারনা চালাচ্ছেন। তিনি কেন্দ্রের নির্দেশে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান আমাকে নেত্রী মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছে । আমার মাথায় আঘাত করার ক্ষমতা কারও নেই।
হুইপ স্বপন তার নিজ নির্বাচনী এলাকায় যথাযথভাবে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন পুনরায় মনোনয়ন পাওয়ার আশায়।
গত ১৪ বছর এ আসনে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ দৃশ্যমান হয়েছে। আঞ্চলিক সড়কসহ বিভিন্ন সড়কগুলোর সংস্কার করে চলাচলের নতুন দিগন্ত সম্প্রসারিত হয়েছে। কালাইয়ে আইসিটি পার্ক স্থাপনের কাজ চলছে। আক্কেলপুরে ইন্সিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি স্থাপন সমাপ্তি হলেও ক্ষেতলালের বটতলীতে ইন্সিটিউট অব মেডিকেল টেকনোলজি স্থাপন সমাপ্তির পথে। জয়পুরহাট জেলা আওয়ামীলীগের দ্বন্দ মিটিয়ে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে পারলে এই আসনে জয়লাভ অনেকটা সহজ হবে বলে আওয়ামীলীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মনে করেন। জয়পুরহাট-২ আসনটি বিএনপির শক্তিশালী ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত হলেও ২০১৪ সালের নির্বাচনে না যাওয়ায় আসনটি তাদের হাতাছাড়া হয়ে যায়। রাজনীতির বিভিন্ন সমিকরনের কারনে বিএনপি’র ভোট কমেছে। পুরো জেলায় আওয়ামীলীগ সরকারের ব্যাপক উন্নয়নমূখী কর্মকান্ডের জন্য আওয়ামীলীগের ভোট বেড়েছে বলে মনে করেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন মন্ডল।
১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত জয়পুরহাট-২ আসনটি বিএনপির দখলে ছিল। সে সময়ও দলে বিভাজন ছিল। পরবর্তীতে ২০০৮ এর নির্বাচনে ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা এ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হলে দলের মধ্যে গ্রæপিং বৃদ্ধি পায়।
মরহুম মোজাহারআলী প্রধান এর এক দল, আর ইন্জিনীয়ার গোলাম মোস্তফার ১ দল। দলীয় কোন্দলে এলাকার ত্যাগী ও প্রবীণ নেতারা ছিল উপেক্ষিত। একপক্ষে ছিল ত্যাগী ও প্রবীণ নেতারা অপরপক্ষে ছিল গোলাম মোস্তফার অনুসারীরা। এ নিয়ে বিএনপির দু’গ্রæপের মধ্যে সংর্ঘষ হয়েছে একাধিকবার। আগামী নির্বাচনে জয়পুরহাট-২ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিয়ে এমপি প্রার্থী হবেন সাবেক এমপি বর্তমান বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা।
তাই তিনি ৩ উপজেলার সকল ইউনিয়ন, থানা ও ওয়ার্ড কমিটিগুলো নতুন করে তৈরী করে বিএনপিকে গতিশীল করার চেষ্টা করছেন, তাকে সহযোগীতা করছেন ফয়সল আলিম, মমতাজ মন্ডল, অনুসারীরা। বিগত সময়ের বিএনপির চাইতে বর্তমানের বিএনপি অনেক শক্তিশালী হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। বিএনপির বিভিন্ন মিছিল মিটিং এ সাধারন নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি সেটাই প্রমান করে। এছাড়া এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হতে কাজ করে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান চন্দন, তাকে সহযোগীতা করছেন জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক গোলজার হোসেন,। তিনি কেন্দ্রীয় নেতা হওয়ায় তার পক্ষে মনোনয়ন পাওয়া সহজ হবে বলে মনে করছেন তিনি। এদিকে জাসাসের সাবেক নেতা কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক লায়ন সিরাজুল ইসলাম বিদ্যুৎ তিনিও মনোনয়ন পাওয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন, গতবার তিনি পোস্টার ও সাটিয়েছিলেন ও মনোনয়ন চেয়েছিলেন।
আরএকজন কেন্দ্রীয কমিটির জাসাসের সহসভাপতি জাহাংগীর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুখোর ছাত্র নেতা জাহেদুল আরম হিটো। তিনি বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। এবার বিএনপি সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহনের জন্য গনসংযোগ শুরু করায় ঝিমিয়ে পড়া বিএনপি চাঙ্গা হচ্ছে। বিএনপির হাত-ছাড়া হওয়া আসনটি উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন বিএনপি’র তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। ২০১৩-১৪ সালে সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় সহিংস ঘটনার কারণে বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে শত শত মামলা রয়েছে। এসব মামলা নিয়ে বিএনপির নেতারা অনেকটা নাজুক অবস্থায় রয়েছেন। সেই সঙ্গে রয়েছে অভ্যন্তরীণ দ্ব›দ্ব-বিবাদের ঘটনা। এসব মিটিয়ে ফেলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী না দিলে জয়লাভ অনেকটা কঠিন হবে বলে মনে করছে স্থানীয় বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। জেলা বিএনপির আহŸায়ক অধ্যক্ষ সামছুল হক জানান, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও দলীয় প্রভাবমুক্ত হলে এ আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিএনপি প্রার্থী জয়ী হবেন। তবে আগামী নির্বাচনের আগে ১৮ দলীয় জোট বা মহাজোট যেটাই থাকনা কেন শেষ পর্যন্ত নিজেদের দুর্গ হিসাবে পরিচিত জয়পুরহাট-২ আসনটি নিজেদের দখলে রাখতে চায় বিএনপি ।
অপরদিকে আওয়ামীলীগের সঙ্গে নির্বাচনী জোট হলে জোটের প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করবেন জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য আবুল কাশেম রিপন। আর জোট না হলেও জাতীয় পাটির একক প্রার্থী হবেন তিনি। গত নির্বাচনের মতো এবারের নির্বাচনও মহাজোটের ব্যানারে হবে এমন প্রত্যাশার কথা জানান জেলা জাপা’র সভাপতি হেলাল উদ্দিন। জয়পুরহাট-২ আসনে ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে জাতীয়পার্টি থেকে প্রার্থী হিসাবে আবুল কাশেম রিপনকে ঘোষনা দেন। সে সময় তিনি আওয়ামীলীগ প্রার্থীকে ছেড়ে দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী পুনরায় মহাজোটের প্রার্থী হলে তিনি মনোনয়ন থেকে ছিটকে পড়েন। তবে শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে জাতীয়পার্টি এককভাবে নির্বাচন করবেন না মহাজোটের সাথে থাকবেন এ বিষয়ের সিদ্ধান্তের জন্য ।
নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ ও বিএনপি উভয় দলের জন্য বর্তমানে বড় সমস্যা হচ্ছে আভ্যন্তরীন কোন্দল। জেলা আওয়ামীলীগের মধ্যে দ›দ্ব প্রকট। দুই এমপি দুই দিকে অবস্থান। প্রকাশ্যে কেউ মুখ না খুললেও যে কোন মিটিং মিছিলে এক গ্রæপ থাকলে অপর গ্রæপ থাকেনা। এক গ্রæপ বড় শোডাউন করলে অপর গ্রæপ বড় শোডাউন করে নিজেদের জানান দেয়। দলের মধ্যে চরম দ্ব›েদ্বর বহি:প্রকাশ হিসাবে একাংশের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব, কাউকে বহিস্কার করার জন্য কেন্দ্রিয় কমিটিতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে এসব চিঠির প্রেক্ষিতে তেমন কোন কার্যকরী ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত নিতে দেখা যায়নি। অপরদিকে জেলা বিএনপি’র কমিটি ঘোষনা নিয়ে ক্ষুব্ধ একাংশ। জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক বর্তমান ধলাহার ইউনিয়ন পরিষদেও চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হোসেন বলেন আমি এবারও িিবপুল ভোটে চেয়ারম্যান হয়েছি , কিন্তু আমাকে জেলা কমিটির সদস্যও তারা রাখেনি। তবুও আন্দোলন সংগ্রামে আমি আছি থাকব। ২৫ সদস্যেও একটি আহবায়ক কমিটি তারা আজ পর্যন্ত একটা মিটিং করতে পারেনি। ২ বছর পার হলো আজও কোন ইউনিয়ন কমিটি, উপজেলা কমিটি , শহর কমিটি করতে পারেনি। শুধু পকেট কমিটি করার ধান্দা নিয়ে তারা ২ জন এই কাজ কওে যাচ্ছে। আন্দোলন সংগ্রামে যদি একতাবদ্ধ না হওয়া যায় , তাহলে কপালে আমাদেও দুখ আছে।
তারা বিএনপির যেকোন দলীয় কর্মসুচি আলাদাভাবে আলাদা স্থানে পালন করেন। জয়পুরহাটের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় দু’দলেই আভ্যন্তরীন কোন্দল ও দ্ব›দ্ব আছে। তবে এসব মিটিয়ে সকলে এক হয়ে কাজ করলে আশানুরুপ ফলাফল করতে পারবে বলে তৃণমূল পর্যায়ে নেতা কর্মীরা মনে করছেন।
Dhaka, Bangladesh শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:30 PM |
Isha | 6:50 PM |