উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:নড়াইল পৌরমাতা আঞ্জুমান আরা। নড়াইল পৌরসভার উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। নিজের জীবনের সুখ শান্তি তুচ্ছ করে, পৌরবাসির খেদমতে সার্বক্ষনিক কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। চলমান রয়েছে অনেকগুলি প্রকল্প। আবার নতুন করে আরোও বেশ কিছু প্রকল্পের জন্য ছুটাছটি করছেন।
নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা একেবারেই ভিন্নধর্মী জনপ্রতিনিধি। তিনি এসি রুমে বসে কাযক্রম পরিচালনায় বিশ্বাসী নন। তিনি রাজনীতির মাঠে অবদান রেখে জনপ্রতিনিধি হয়েছেন দলীয় নেতা-কর্মী ও ভোটারদের মন জয় করে। ঠিক তেমনি মেয়র হওয়ার পর প্রকৃতপক্ষে মানবিক গুনাবলি নিয়ে অত্যন্ত ধৈর্য়ের সাথে মানবিক কার্যক্রম ও উন্নয়ন করে চলেছেন। পৌরসভার কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে প্রত্যেকটি প্রকল্প সঠিক ও সুন্দরভাবে বাস্তবায়ন করছেন। আর এসব কাজ করতে গিয়ে তিনি রাত-দিন ছুটে বেড়াচ্ছেন পৌর এলাকার এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্তে। ছোট বড় সকল প্রকল্প ও ঠিকাদারের মাধ্যমে হওয়া প্রত্যেকটি কাজ নিজেই তদারকি করছেন। প্রায়ই তাকে দেখা যায় বিভিন্ন রাস্তা, কালভার্ট ও ড্রেনের কাজ দেখায় ব্যস্ত রয়েছেন। গভীর রাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে আছেন, সেই সময় রাতের ঘুম হারাম করে পৌরসভার পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। আবার ছুটে যাচ্ছেন রাস্তার কাজ দেখতে।
সোমবার (২০মার্চ) তাকে দেখা যায় পৌরসভার উজিরপুর এলাকার একটি রাস্তার কাজ দেখছেন। তিনি নিজেই সবকিছু দেখভাল করায় কাজের মান পূর্বের তুলনায় অনেক ভালো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পৌর এলাকার সচেতন মহল। ঠিকাদার সহ সংশ্লিষ্ট সকলেই তাঁর আন্তরিকতা ও প্রশাসনিক দক্ষতার জন্য সবসময় তটস্থ থাকেন। তিনি কোন সময় কাজের গুনগত মানের ব্যাপারে আপোষ করেন না। পৌরসভার কাজ সুন্দর করার স্বার্থে কাউকেই ছাড় দেন না। প্রত্যেকটি কাজ স্বচ্ছতার সাথে সম্পন্ন করে চলেছেন। পৌরসভাকে অত্যাধুনিক মডেল পৌরসভা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। আর তা করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় ও দপ্তর সমুহে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। তিনি ব্যক্তিগত ইমেজ, রাজনৈতীক প্রজ্ঞা ও প্রশাসনিক দক্ষতা দিয়ে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের কর্তা ব্যক্তিদের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছেন। তারা মনে করছেন এ রকম একজন সৎ , দক্ষ পৌর মেয়রের পক্ষেই পৌরসভার সার্বিক উন্নয়ন করা সম্ভব। তাই তারা তাকে সার্বিক সহযোগিতা ও প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেয়ার জন্য আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।
পৌরসভার রাস্তা দিয়ে চলাচল করলেই বোঝা যায়, তার হাতে পৌরসভার উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে। তিনি খুব সীমিত সময় বিশ্রাম নেন। দিন-রাতের বেশির ভাগ সময় ব্যস্ত থাকেন পৌরবাসির ভাগ্যের উন্নয়নের কাজে। অবশ্য এ কাজ করতে গিয়ে তিনি ইতোমধ্যে অনেকের চক্ষুশুল হয়েছেন। সকল রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে তিনি সততার সাথে সকল কাজ করে নড়াইল পৌরসভাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে পৌরবাসির মধ্যে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেছে মেয়র আঞ্জুমান আরা’র মাধ্যমেই পৌরবাসির দীর্ঘ দিনের দুঃখ দুর্দশা দুর হতে চলেছে। তাঁর সেবামুলক আচরন ও কার্যক্রম দেখে পৌরবাসি খুবই খুশি। একজন জনপ্রতিনিধিকে ভোট দেয়ার পর সাধারণ জনগনের যে প্রত্যাশা থাকে,তার বাস্তব প্রতিফলন ঘটাতে পেরেছেন মেয়র আঞ্জুমান আরা। নড়াইল পৌরবাসি উন্নয়ন ও ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের ভোটের কাংখিত মূল্যায়ন পেয়েছেন। এ কারনে তাঁর প্রতি সকলের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। অনেকেই মন্তব্য করেছেন একজন জনপ্রতিনিধি’র যে দ্বায়িত্ব তার শতভাগ পালন করে দেখিয়েছেন নড়াইল পৌরসভার নারী মেয়র আঞ্জুমান আর। তাঁর উন্নয়ন ভাবনা পৌরবাসিকে আশার আলো দেখিয়েছে। তাঁর প্রশাসনিক দক্ষতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দেখে তাঁর প্রতি সকলের আস্থা আরোও বেড়ে গেছে। নড়াইলকে এগিয়ে নিতে তাঁর মত রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধি খুবই প্রয়োজন।
একজন নারী হয়েও নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা সমানে দলীয় কর্মসূচী ও পৌরসভার প্রত্যেকটি কার্যক্রম সুচারু ভাবে পরিচালনা করছেন। যা দেখে নড়াইলবাসি বিস্মিত। নড়াইল পৌরবাসি গর্বের সাথে বলতে পারছেন।
পৌরভবনে গিয়ে কাউকে হয়রানী হতে হচ্ছে না। যে কোন সমস্যার ব্যাপারে মেয়র আন্তরিক ভাবে কাজ করছেন। কেবলমাত্র পৌরসভার চেয়ারে বসে ,সভা সেমিনার করে,ফিতা কেটে,বিভিন্ন সভায় যোগদান করে এবং ফাইলে স্বাক্ষর করে পৌরসভা পরিচালনা করছেন না। তিনি সশরীরে ছুটে যাচ্ছেন পৌরসভার প্রতিটি রাস্তার কাজ দেখতে। নিজে দেখে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীকে দেখিয়ে কাজের মান নিশ্চিত হয়ে বিল দিচ্ছেন।