আজ রবিবার | ২৮শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১২ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১২ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ১১:৪৯
সব দলকে নিয়ে আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনে সরকার আন্তরিক- এমন বার্তা দিতেই ওয়াশিংটন যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। কাল ৭ই এপ্রিল ৫ দিনের যুক্তরাষ্ট্র সফরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়ে যাবেন তিনি। বুধবার রাজধানীর তারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন মন্ত্রী মোমেন। এ সময় তিনি জাতিসংঘের মূল্যায়ন রিপোর্টে থাকা বাংলাদেশের আগামীর বড় চ্যালেঞ্জ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রস্তুতি এবং ওয়াশিংটনে সফরে প্রদেয় বার্তার বিষয়ে কথা বলেন। এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, আমরা চাই স্বচ্ছ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন। আমেরিকাও তা-ই চায়। স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রশ্নে আমাদের দুই দেশের মধ্যে কোনো দ্বিমত নেই। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন নিয়ে জাপানি চিত্রকলা ‘মাঙ্গা’ ফর্মে কমিক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ওই হোটেলে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে নিজের যুক্তরাষ্ট্র সফর বিষয়ে ড. মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে দাওয়াত দিয়েছেন।
অবশ্যই বলবো আমরা খুব লাকি। আমরা পর পর তিনবার তার দাওয়াত পেলাম। তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়ন মহাসড়কের সঙ্গে আমেরিকা যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। আর আমাদের সম্পর্কেরও উন্নতি হয়েছে। দুই বছর কোভিডের জন্য আমাদের আনাগোনা কম ছিল। এখন তা অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে। পরশু (শুক্রবার) আমি যাবো। তাদের দাওয়াত আমি সানন্দে গ্রহণ করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমেরিকা আমাদের সবচেয়ে বড় বন্ধু দেশ। তারা আমাদের বড় বিনিয়োগকারী দেশ। সেদেশ আমাদের অন্যতম রপ্তানি গন্তব্য। আমেরিকা একমাত্র দেশ, যারা করোনাকালে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আমাদের ১০০ মিলিয়নের বেশি টিকা দিয়েছে। আমরা টিকা অন্য জায়গা থেকে কিনেছি। আর যুক্তরাষ্ট্র কেবল টিকা দেয়নি তারা তা পয়সা খরচ করে আমাদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে। রোহিঙ্গারা আসার পর যে দেশ সবচেয়ে বেশি পাশে দাঁড়িয়েছে, সেটি আমেরিকা। অন্য দেশও সহায়তা করছে। তবে আমি সেই দেশে যাচ্ছি, এসব কাজের অবশ্যই প্রশংসা করবো। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কী আলাপ হবে জানতে চাইলে মোমেন বলেন, বাণিজ্য যেন বাড়ানো যায়, তা নিয়ে আলাপ হবে। আমেরিকা চায় বাংলাদেশে যেন স্বচ্ছ, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন। আওয়ামী লীগের নীতিও নির্বাচন। আমরা নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতায় এসেছি। তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি। ৩০ লাখ লোক জীবন দিয়েছে গণতন্ত্র সমুন্নত করার জন্যই। সে কারণে আমাদের গণতন্ত্র শেখানোর প্রয়োজন নেই। এটা আমাদের অস্থিমজ্জায়। আমাদের রক্তে গণতন্ত্র। সরকার যে সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে আগ্রহী আমরা সেটা তাদের জানাবো। মন্ত্রী বলেন, আমরা স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স করেছি। আগে ভুয়া হতো। এখন যেন না হয়, সেজন্য আমরা স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছি। তারাই ইলেকশন করবে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হলো স্বচ্ছ-গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান। সরকার অবশ্যই কমিশনকে সাহায্য করবে। আর শুধু সরকার সাহায্য করলে হবে না। জনগণ, সব রাজনৈতিক দল, মিডিয়া সবাইকেই সাহায্য করতে হবে। সব রাজনৈতিক দলের সাহায্য ছাড়া সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন সম্ভব নয়। আমরা আমাদের শাসনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন করবো। কারও অন্য ধরনের কোনো চিন্তা থাকলে, তা ভুল চিন্তা। আমরা সংবিধান ও আইনের শাসনে বিশ্বাসী। সরকারের চেষ্টা থাকবে সবার অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন। ইতিমধ্যে সব দলকে নির্বাচনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আশা করছি, তারা সরকারের ডাকে সাড়া দেবে। উল্লেখ্য, আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো শিডিউল ঘোষণা হয়নি। তবে সেগুনবাগিচা আশা করছে আগামী ১০ই এপ্রিল মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি জে ব্লিনকেনের সঙ্গে বৈঠক হবে মন্ত্রী ড. মোমেনের।
বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন নিয়ে জাপানিজ ‘মাঙ্গা’ ফর্মে কমিক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন: ওদিকে এর আগে বাংলাদেশ-জাপান বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন নিয়ে জাপানি চিত্রকলা গ্রাফিকস নোবেল (জাপানিজ ‘মাঙ্গা’ ফর্মে) একটি কমিক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন ও জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি। ইন্টারকন্টিনেন্টালের ওই অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টির পরিচালক অধ্যাপক ফখরুল আলম। অনুষ্ঠানে জানানো হয়- জাপানিদের কমিক ও কার্টুন ধাঁচের চিত্রকলার একটি ধরন হচ্ছে মাঙ্গা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ সংগ্রাম এই মাঙ্গা ফর্মে তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে। বর্ণনা এবং ব্যতিক্রমী ছবিতে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবন তুলে ধরা হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের জন্মের কথা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। বইটি যৌথভাবে লিখেছেন স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এম ই চৌধুরী শামীম এবং শাইন পার্টনারস করপোরেশন জাপান-এর প্রধান নির্বাহী ইয়েমতো কিয়েতা। বইটি প্রকাশ করেছে এনআরবি স্কলার্স পাবলিশার্স বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা, ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বুয়েট গ্র্যাজুয়েটস ক্লাবের সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির সহ প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী দিলারা আফরোজ খান রূপা।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:07 PM |
Asr | 3:10 PM |
Magrib | 5:31 PM |
Isha | 6:50 PM |