আজ মঙ্গলবার | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১২:১৬
বিডি দিনকাল ডেস্ক :-শহীদ নুর হোসেন দিবস উপলক্ষে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেনঃ-বাণী:-”শহীদ নুর হোসেন দিবস উপলক্ষে আমি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের বীর শহীদ নুর হোসেনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। আমি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি।
আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে নুর হোসেন একটি অবিস্মরণীয় নাম। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের এক লড়াকু সৈনিক হিসেবে তিনি রাজপথে নেমে এসেছিলেন বুকে পিঠে ’গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ শ্লোগান লিখে। গণতন্ত্রের দাবিতে সোচ্চার এই যুবকের কন্ঠকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল স্বৈরাচারের বন্দুক। স্বৈরাচারের বুলেট বুকে বরণ করে নিয়েছিলেন নুর হোসেন। নুর হোসেনের সে অবদান বৃথা যায়নি। নুর হোসেনকে হত্যার মাধ্যমে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে চেয়েছিল স্বৈরশাসক গোষ্ঠী। কিন্তু নুর হোসেনের রক্তের ধারা বেয়েই ’৯০ এর গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসকের পতন ঘটে, মুক্ত হয় আমাদের গণতন্ত্র।
তবে যে স্বপ্ন চোখে নিয়ে নুর হোসেন জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তাঁর সে স্বপ্ন আজো পুরোপুরি সফল হয়নি। ১৯৯০ এর মুক্ত হওয়া গণতন্ত্র আবার শৃংখলিত হয়েছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরে একতরফা নির্বাচন করার মধ্য দিয়ে। ষড়যন্ত্র চলছে এদেশ থেকে গণতন্ত্রকে চিরতরে নির্বাসনে দেয়ার, একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে একদলীয় বাকশালী ব্যবস্থার নব্য সংস্করণ বাস্তবায়িত করা হচ্ছে।
আজকের এই দিনে আমি দল-মত নির্বিশেষে সকলের প্রতি আহবান জানাই-আসুন গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”
শহীদ নুর হোসেন দিবস উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেনঃ-বাণী:-”শহীদ নুর হোসেন দিবস উপলক্ষে আমি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের মহান শহীদ নুর হোসেনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে গিয়ে ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বৈরশাসকের তপ্ত বুলেটের শিকার হয়েছিলেন নুর হোসেন। সেদিন তাঁর আত্মত্যাগ এদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষকে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অনুপ্রাণিত করেছিলো। নুর হোসেনের আত্মদানের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালে সংঘটিত হয়েছিলো সফল ছাত্র গণঅভ্যুত্থান। পতন হয়েছিলো নির্দয় স্বৈরশাসকের, মুক্ত হয়েছিলো বহুদলীয় গণতন্ত্র। আজও গণতন্ত্র পুণ:রুদ্ধারের সংগ্রামে শহীদ নুর হোসেন আমাদের প্রেরণা। তাঁর দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে। আর এজন্য আমাদেরকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে।
নুর হোসেনের সেই আত্মদানকে আমরা বৃথা যেতে দিতে পারিনা। নব্বইয়ে অর্জিত গণতন্ত্রের পথচলাকে আবারো বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। গণতন্ত্র ও নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠিয়ে মাস্তানতন্ত্র কায়েম করা হয়েছে। গণতন্ত্র ও নির্বাচনের পথে সকল বাধা দুর করে মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের মালিকানা জনগণের কাছে বিকিয়ে দিয়ে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনশাসন কায়েম করতে হবে। নুর হোসেনের মতো সাহসিকতা নিয়ে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আন্দোলন, সংগ্রামের মাধ্যমে জাতির ওপর চেপে বসা চরম দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে হবে। আজকের এই দিনে এটাই হোক আমাদের শপথ।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |