- প্রচ্ছদ
-
- প্রধান খবর
- লড়াই করছি এ দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে: মির্জা আলমগীর
লড়াই করছি এ দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে: মির্জা আলমগীর
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায় করতে সবাইকে রাজপথে নামতে হবে
প্রকাশ: ৮ জুন, ২০২৩ ১০:২৩ পূর্বাহ্ণ
বাবুল তালুকদারঃ বিএনপি মহাসচিব মির্জা আলমগীর বলেন, লড়াই করছি এ দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে। এ দেশের মানুষ, সংগ্রাম করে দাবি আদায় করতে জানে। নির্বাচন হবে নিশ্চয়, কিন্তু সেটি যেন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হয় সে দাবি আদায় করতে আমাদের সবাইকে রাজপথে নামতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ডাইভারশন খুব ভালো জানে। দৃষ্টি ফেরাতে সবসময় অন্য কিছু করে। বিদ্যুৎ থেকে দৃষ্টি সরাতে। তাই আওয়ামী লীগ নেতা আমীর হোসেন আমু ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য সামনে এনেছে । লক্ষ্য ডাইভার্ট করতে এই ইস্যু তৈরি। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ছাড়া কোন বিকল্প নেই। পদক্ষেপ নেন তত্ত্বাবধায়ক দিন, পরে দেখা যাবে কি করতে হবে। কারণ, একটি দল আরেকটি দলকে বিশ্বাস করে না। কেউ এসে কিছু করতে পারেনি। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার দরকার।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ -ইউট্যাব আয়োজিত ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র সংকট উত্তরণ প্রয়াসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা’ শীর্ষক আলোচনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিদ্যুতের জন্য হাজার হাজার টাকা খরচ করছে অথচ এখন কেন এই অবস্থা। সব ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়েছে। টাকাগুলো গেল কোথায়, কেন কয়লা আনতে পারেন না। অর্থনীতিবিদরা বলছেন সরকারের টাকা নাই ডলারও নাই বলে সংকট তৈরি হয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, যে দলটি গণতন্ত্রের কথা বলেছে স্বাধীনতার কথা বলেছে তারা গণতন্ত্র হরণ করেছে। একে একে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। মানুষ যা চায় আওয়ামী লীগ তার উল্টো কাজ করে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে গণতন্ত্র যায় না। ভাষা প্রকাশ মতপ্রকাশে উগ্র তারা। তারা নিজেরা নিজেরা লড়াই করে, তাদের কোন কিছুই গণতান্ত্রিক না। তবে বিএনপি এই ধ্বংসাত্মক মতবাদে বিশ্বাসী না। সকলে এক প্লাটফর্মে আনার চেষ্টা করতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ তাদের নেতা মওলানা ভাসানীকে দল থেকে বের করে দিয়েছে, স্পিকার শাহেদ আলীকে পাকিস্তান জাতীয় সংসদের ভেতর পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। তারা এখনও এগুলোই করছে।
মির্জা আলমগীর বলেন, আজকে বাংলাদেশের সংকট হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা না থাকা। ২০১১ সালে শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করা হয় তখন বেগম খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলনে করে বলেছিলেন, আজকে এ ঘটনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে চিরস্থায়ী সংকট, সংঘাত শুরু হলো।
তিনি বলেন, আমরা আজকে সবাই একটু সাহস করে দাঁড়াই, না হয় আমাদের দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ হবে না।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আজ যেভাবে জাতীয়তাবাদী শক্তির উন্মেষ হচ্ছে, একনায়কতন্ত্রের স্বৈরাচার টিকবে না। আজকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকুরিচুত্য করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, আর কিন্তু বেশি দিন নাই, শেখ হাসিনার কথা অসংলগ্ন। শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের যাবে না বলে দিয়েছে তাকে চলে যেতে হবে। শেখ হাসিনার দুঃশাসন আর থাকবে না।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, সাংবাদিক কাদের গণি চৌধুরী, অধ্যাপক নুরুল আমীন বেপারী,অধ্যাপক কামরুল আহসান, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, অধ্যাপক শামছুল হক সেলিম, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক লুৎফর রহমান প্রমুখ।
Please follow and like us:
20 20