আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ১০:২১
মুহাম্মদ জালাল উদ্দিন কুয়েতঃ-করোনা মহামারীর ফলে দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকার কারণে দেশে ছুটিতে গিয়ে প্রবাসী আটকে পড়েছে। ফিরতে পারছে না নিজ কর্মস্থলে সল্প সময়ের জন্য ছুটিতে দীর্ঘ সময় আটকে থাকার ফলে অর্থ কষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করছেন প্রবাসী পরিবার গুলো। করোনার কারণে বন্ধ থাকার পর অর্থনৈতিক ক্ষতির দিক বিবেচনা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনেক দেশ সীমিত পরিসরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট করেছে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে কুয়েত সরকার বাংলাদেশ,ভারত,পাকিস্তান,নেপাল,মিশর সহ ৩৪ দেশের নাগরিকদের প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা জারি করে।নিষিদ্ধ দেশের নাগরিকরা ৩৪ দেশ ব্যতীত অন্য কোন দেশ হয়ে কুয়েত প্রবেশে কোন বাধা নেই। সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ থাকার কারণে আরব আমিরাত সরকার ভিজিট ভিসা সহজ করে দেওয়ায় মিশর,ভারত,পাকিস্তানের নাগরিকরা ফিরছে কর্মস্থল কুয়েত। বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিজিট ভিসায় কর্মস্থল কুয়েতে আসতে হলে গুনতে দ্বিগুন খরচ, বাংলাদেশে বিমান বন্দরে কন্ট্রাক ছাড়া ভিজিট ভিসায় প্রবাসীদের বিভিন্ন অযুহাতে হয়রানি করা হয়। যারা দুবাইয়ের ভিজিট ভিসা জন্য সিন্ডিকেট অথবা ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে দুই লাখ থেকে তিন লাখ টাকায় কন্ট্রাক করে আসে তাদের বাংলাদেশে বিমান বন্দরে হয়রানির শিকার হতে হয় না। চট্টগ্রামের কুয়েত প্রবাসী সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি শুনেছি এয়ারপোর্ট কন্ট্রাক করতে হয় আমি করিনি। অন্য একজন লোকের মারফতে জানতে পারি বিমানবন্দরের ভিতরে সিন্ডিকেটের লোক আছে তাদের টাকা দিলে ছেড়ে দিবে। কুয়েতের উদ্দেশ্যে গত ৭ই নভেম্বর শাহ আমানত বিমান বন্দর হয়ে দুবাই এসেছি। প্রথমে বোর্ডং পাসের জন্য কাউন্টিারে লাইনে দাড়ানোর পর পর আমার কাগজপত্র দেখে ফিরিয়ে দেওয়া হয় এবং বলা হয় ১০ নাম্বর কাউন্টারে যোগাযোগ করতে সেখানে যাওয়া পর আবারও কাগজপত্র চেক করে আরও কাগজপত্র লাগবে বলে জানানো হয়।আমার সব কাগজ পত্র ঠিক থাকার পরও আমাকে বোডিং পাস দেওয়া হচ্ছে না । পরে আমি তাদের চাহিদার সেই অদৃশ্য কন্ট্রাকের টাকা দিতে রাজি হতে আমাকে বোডিং পাস দেওয়া হয়। নিচের স্থর হতে উপরের স্থর পর্যন্ত পুরো একটা সিন্ডিকেট এর সাথে জড়িত। আমার কোম্পানিতে ভারত পাকিস্তানের সহকর্মীরা এক লাখ থেকে দেড় লাখ টাকায় ভিজিট ভিসায় কুয়েতে পৌছেয়েছে । তাদের দেশে,দুবাই,কুয়েত কোন দেশে কোন ধরণের ঝামেলা হয়রানি শিকার হতে হয় না। আমরা কি দূর্ভাগা জাতি আমাদের নিজ দেশের বিমান বন্দরে হয়রানির শিকার হতে হয়। আমরা পরিবার প্রিয়জন ছেড়ে হাজার মাইল দূরে গিয়ে হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে রেমিট্রেন্স পাঠাই দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্রেন্স। সরকারের উচিত করোনা কারণে আটকে পড়া প্রবাসীদের কিভাবে কর্মস্থলে ফিরতে পারে সেটার ব্যবস্থা করা এবং বিমান বন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |