আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৪:২০
ডেস্ক:-ঢাকার রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র নাইমুল আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন। অভিযোগ গঠনের ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। একইসঙ্গে কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হককে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত। আগামী ১৪ই ডিসেম্বর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।
মামলায় অন্য যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে তারা হলেন প্রথম আলোর হেড অব ইভেন্ট অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন কবির বকুল, নির্বাহী শাহপরাণ তুষার, নির্বাহী শুভাশীষ প্রামাণিক, কিশোর আলোর জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক মহিতুল আলম, ডেকোরেশন ও জেনারেটর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের জসীম উদ্দিন, মোশাররফ হোসেন, সুজন ও কামরুল হাওলাদার।
আদালতে প্রথম আলোর সম্পাদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী ও প্রশান্ত কুমার কর্মকার। অপরদিকে বাদীপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ওমর ফারুক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল।
প্রথম আলোর সম্পাদকসহ বিবাদীরা আদালতের কাছে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। পরে আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা মতিউর রহমানসহ অপরাপর আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছিলাম। যেদিনকার ঘটনায় এই মামলা, সেদিন প্রথম আলোর সম্পাদক ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। তাই আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম তিনি অব্যাহতি পাবেন। আমরা অভিযোগ গঠনের এই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করবো।
এহসানুল হক সমাজী বলেন, নাইমুল আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটি টর্ট আইনে বিচারযোগ্য। কোনোভাবেই ফৌজদারি অপরাধের মধ্যে পড়ে না। নালিশি মামলার ক্ষেত্রে সাক্ষীর তালিকা একান্ত প্রয়োজন। অথচ এই মামলার আরজিতে কোনো সাক্ষীর তালিকা নেই। নালিশি মামলায় শুধু প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানকে আসামি করা হয়। অথচ সেদিন তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না।
গত বছরের ১লা নভেম্বর ঢাকার রেসিডেনসিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে কিশোর আলোর বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান হয়। সেদিন মাঠে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় নাইমুল আবরার। এ ঘটনায় নাইমুলের বাবা মজিবুর রহমান গত বছরের ৬ই নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে নালিশি মামলা করেন। এরপর চলতি বছরের ১৬ই জানুয়ারি প্রথম আলো সম্পাদক, কিশোর আলো সম্পাদকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ। এরপর ১৩ই অক্টোবর অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ হয়। ওইদিন প্রথম আলো, কিশোর আলোর সম্পাদকসহ আটজনের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করা হয়। এরপর আদালত ২৭শে অক্টোবর আদেশের দিন ধার্য করেন। পরে আবার আদেশের দিন ধার্য করেন ১২ই নভেম্বর। সে অনুযায়ী গতকাল অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |