আজ শুক্রবার | ২৬শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১০ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১০ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৫:৩০
বিডি দিনকাল ডেস্ক: ২৮শে অক্টোবর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার পর বিএনপি অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে গণমাধ্যমকে বক্তব্য দেয়া মিয়ান আরেফি কোনো গোয়েন্দা সংস্থা দ্বারা নির্দেশিত ছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন লে. জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী। পরদিন ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া মিয়ান আরেফি তাকে বিএনপি অফিসে নিয়ে যাওয়ার পেছনে হাসান সারওয়ার্দীর সংশ্লিষ্টতার কথা বলেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তিনি। বলেন, ওই ব্যক্তি (মিয়ান আরেফি) কোনো গোয়েন্দা সংস্থা দ্বারা তাড়িত হয়ে বা নির্দেশিত হয়ে এমনটি করেছেন বা করে থাকতে পারে বলে আমার মনে হয়। এখন ঐক্যের সময়। জাতিকে ধৈর্যের সাথে এ ঘটনা মোকাবিলা করতে হবে। কোনো মিয়ান আরেফি কিংবা কারো অপব্যাখ্যায় বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। গণতন্ত্রের জন্য ঐক্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য।
চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী বলেন, গত ২৮শে অক্টোবর গণতন্ত্রের জন্য জনগণের আন্দোলন দেখার জন্য আমি নয়াপল্টনে যাই। বেলা ২টা ৩০ মিনিটের পর গণতন্ত্রকামী মানুষ পুলিশের গুলি, টিয়ারগ্যাস ও নির্যাতনের শিকার হয়।
অনেক লোক আহত হয়। শুনেছি পুলিশও নিহত হয়েছে। আমি দুর্বিষহ ঘটনার পরিস্থিতি দেখার মনোস্থির করি। এবং দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। বেলা ৩টার দিকে।
কথিত জনাব মিয়ান আরেফি সেপ্টেম্বরে বিদেশে অবস্থানরত আমার বন্ধুদের কাছ থেকে আমার নম্বর সংগ্রহ করে ২৭ তারিখে ঢাকায় আসার কথা জানান। ২৮শে অক্টোবর তিনি আমাকে জানান তিনি আহতদের দেখতে নয়াপল্টনে যেতে চান। আমি যেন তাকে সহায়তা করি।
এরপরের ঘটনা বর্ণনা করে সারওয়ার্দী বলেন, মিয়ান আরেফি বিএনপি অফিসে ইশরাকের সঙ্গে পরিচিত হয়ে আহতদের দেখার পরে হল রুমে বসেন। সেখানে আমাকেও কিছু লোক বসতে বলেন। সেখানে তিনি গণমাধ্যমের কাছে সমাবেদনা জানিয়ে তার বক্তব্য শুরু করেন। হঠাৎ ব্যাগ থেকে কিছু লেখা কাগজ তিনি বের করেন। এরপর মার্কিন সরকারের সঙ্গে তার বিশেষ সম্পর্ক ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রের সমস্যা নিয়ে কথা বলা শুরু করেন। এমনকি মার্কিন সরকারের নিষেধাজ্ঞাসহ স্পর্শকাতর কিছু বিষয়ে কথা বলা শুরু করেন। মার্কিন সরকার ও আন্দোলনরত বাংলাদেশিদের জন্য যেটি অত্যন্ত বিব্রতকর। এ জন্য আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না। তিনি দ্রুত তার বক্তব্য শেষ করেন এবং আমি সেখান থেকে বের হয়ে আসি।
আসার পথে নিচতলায় জনাব রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে তার(মিয়ান আরেফি) কথা হয়। এবং প্রায় ৩০ সেকেণ্ড কথা বলেন। এরপর আমি আমার বাসায় চলে আসি। ওই রাতে তিনি আমাকে ফোন করলে আমি দ্রুত বিষয়গুলো মার্কিন দূতাবাসে জানিয়ে তার অবস্থান ব্যাখ্যা করার অনুরোধ করি। তার লিখা একটি চিঠি মার্কিন সরকারের কাছে ঘটনাস্থল থেকে তিনি আমাদের পাঠান। কিন্তু ওই রাত থেকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত তিনি তার ফোন বন্ধ রাখেন। সন্ধ্যায় অনলাইন পত্রিকায় জানতে পারি তিনি বিমানবন্দরে আটক হয়েছেন। পরবর্তীতে ডিবি অফিসে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা পুরোপুরি মিথ্যা ও নিজেকে বাঁচানোর অপপ্রয়াস। তাকে কেউ জোর করে বক্তব্য দিতে বলেনি। স্বেচ্ছায় নিজের পরিচয় ও বক্তব্য দিয়েছেন। তাকে হুইল চেয়ারে লাঠি হাতে ছবি দেখেছি। যে ব্যক্তি লাঠিভর করে হাঁটেন তিনি কীভাবে বারিধারায় ডিওএইচএ মর্নিং ওয়াক করলেন আমাদের কারো সাথে তা অত্যন্ত হাস্যকর। সম্পূর্ণ বিষয়ে বিএনপি নেতৃত্ব এবং আমার নিজের, দেশের জনগণ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর এবং ক্ষতিকর।সূত্র:মানবজমিন
Dhaka, Bangladesh শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:29 PM |
Isha | 6:49 PM |