আজ রবিবার | ১৪ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৭শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৬:১৭
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সারা দেশের মানুষ রাজপথে যে রকম করে নেমেছে, আন্দোলন যে রকম করে চলছে, তাতে সরকারের কোনো কৌশল টিকবে না।
সোমবার দুপুরে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। এরআগে সেগুনবাগিচা, নাইটিঙ্গেল মোড়, বিজয়নগর, পুরানা পল্টন ও প্রেসক্লাব এলাকায় মিছিল করে গণতন্ত্র মঞ্চ। মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, শেখ হাসিনার দল বলছেন, সব জায়গায় ডামি ক্যান্ডিডেট দিতে হবে। ডামি ক্যান্ডিডেট দেবেন কেনো? আবার বলেছেন, না স্বতন্ত্রও দাঁড়াবার সুযোগ আছে। সবাই বলছে, কি ব্যাপারটা কি? আমাদের দল থেকে টিকেট দেবে আবার দলই স্বতন্ত্র ক্যান্ডিডেট দেবে তাহলে ভোটটা কি হবে? এটা কি কোনো ভোট হবে? তখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলছেন, এটা আমাদের একটা কৌশল। আমি আবারও বলি, এদের সব কিছুই কৌশল, অপকৌশল মানে ফোরটোয়েন্টি। ভোট হবে? হবে না। এদের সবকিছুই কৌশল, অপকৌশল। সারা দেশের মানুষ রাজপথে যে রকম করে নেমেছে, আন্দোলন যে রকম করে চলছে, তাতে সরকারের কোনো কৌশল টিকবে না।
তিনি বলেন, জিজ্ঞাসা করেন মানুষ ভোট দিতে যাবে? সবাই বলবে না। ক্যাম্পিং করতে পারবেন কোনো কোনো পার্টি এখনই বলছে যে, কি মুশকিলে পড়ে গেলাম এই জোটে বা এই নির্বাচনে অংশ নেবার পরে এখন তো বাড়ি যাওয়ার পথই বন্ধ হয়ে গেছে মানুষের ঘৃণা এতো তীব্র।
দালালি করে যারা নিজেদেরকে বড় বানাতে চাই, নির্বাচনে নেতা বানাতে চায় তারা কিছু করতে পারবে না।
ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে মান্না বলেন, আমি একটা বিষয়ে হুঁশিয়ার করতে চাই, ওই অফিসে বসে বসে ফরম ফিলাপ করেন আমরা তো সেখানে গিয়ে প্রার্থীর ঘাড়ে ধরব না, সেটা আমাদের রাজনীতি নয়। আপনারা গোপনে গোপেন অনলাইনে আপনাদের মনোনয়নপত্র নির্বাচন কমিশনে জমা দেবেন সেটা ঠেকানোর পথ নাই। নির্বাচন কমিশন বলবে, এতোগুলো প্রার্থী আছে তারপরে কোনো ক্যাম্পেইন নাই তথাকথিত ভোটের দিনে রেজাল্ট ডিকলার্ড করে দেবেন এই তো।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কেউ নির্বাচনে যাচ্ছে না। তারা বলছে, স্বতন্ত্রও দাঁড়ানোর সুযোগ আছে। দলই মনোনয়ন দেবে, আবার দল থেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী দেবে। তাহলে এটা কি কোনো ভোট হবে?
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক করেছেন, গুরুত্বপূর্ণ কোনো মাফিয়া ও সিন্ডিকেট প্রধানকে এবার আওয়ামী লীগ মনোনয়নের বাইরে রাখেনি। দু-একজন নীতিভ্রষ্ট মানুষ ছাড়া বিরোধী শিবিরের কাউকে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে নিতে পারেনি। সরকারের মধ্যে বিরাট হতাশা তৈরি হয়েছে। ভেবেছিলো বিএনপিকে ভেঙে খানখান করে দেবে। বিএনপি নেই, তৃণমূল বিএনপি আছে। কথা বলে বিএনপি থেকে নেতা–কর্মীদের ভাগিয়ে আনবে। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি।
এসময় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:19 AM |
Sunrise | 6:40 AM |
Zuhr | 12:01 PM |
Asr | 3:01 PM |
Magrib | 5:21 PM |
Isha | 6:42 PM |