এম, এ কাশেম, চট্টগ্রাম থেকে : পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির পানছড়িতে লোগাংয়ের অনিল এলাকায় গুলি করে ইউপিডিএফের ৪ নেতাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতরা হলেন-পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ পিসিপির সাবেক কেন্দ্ৰীয় সভাপতি ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, পিসিপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম নেতা লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সদস্য রহিন ত্রিপুরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা। তিনি বলেন, আজ ঐ এলাকায় গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের উদ্যোগে যুব সম্মেলন হওয়ার কথা ছিলো। সম্মেলনে যোগ দিতে এই চার নেতা সেখানে অবস্থান করছিলো। রাতে তাদের ওপর অর্তকিত ভাবে হামলা করে হত্যা করা হয়। তিনি এই ঘটনার জন্য ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) কে দায়ী করেছেন। এ ঘটনায় ইউপিডিএফ সংগঠক হরি কমল ত্রিপুরা, নীতিদত্ত চাকমাসহ তিন জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানান তিনি। নিহতদের মধ্যে বিপুল চাকমার বাড়ি চেঙ্গী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের করল্যাছড়ি বুদ্ধধন পাড়ায়। সুনীল ত্রিপুরার বাড়ি মাটিরাঙ্গা উপজেলার বড়নাল ইউনিয়নের সুরেন্দ্র রোয়াজা হেডম্যান পাড়ায়। লিটন চাকমার বাড়ি খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের দ্রোনচার্য্য কার্বারি পাড়ায় আর রুহিন বিকাশের বাড়ি ত্রিপুরা পানছড়ির উপল্টাছড়ি ইনিয়নের পদ্মিনী পাড়ায়। এ ঘটনায় আরও নিখোঁজ রয়েছেন ইউপিডিএফ সংগঠক নীতিদত্ত চাকমা, হরিকমল ত্রিপুরা ও সদস্য প্রকাশ ত্রিপুরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাংগঠনিক কাজের জন্য বিপুল চাকমাসহ উক্ত ৭ জন নেতা-কর্মী গতকাল সোমবার লোগাঙ এলাকায় যান। তারা রাতে অনিল পাড়া নামক গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় রাত আনুমানিক ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে দুর্বৃত্তদের একটি সশস্ত্র দল ওই বাড়িতে হানা দিয়ে সশস্ত্র হামলা চালায়। হত্যার পর দুর্বৃত্তরা সেখান থেকে চলে যায়। তবে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের সভাপতি শ্যামল চাকমা। তিনি বলেন, পাহাড়ে বেশ কয়েকটি সংগঠন রয়েছে। তারা এই ঘটনা ঘটাতে পারে। পানছড়ি থানার ওসি শফিউল আজম বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি চার জন নিহত হওয়ার ঘটনা আমাকে জানিয়েছে। আমরা সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।