আজ রবিবার | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৪:৪৪
সরকার পতনের একদফা দাবিতে আজ বুধবার থেকে ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিএনপি। আজ দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এর আগে ফেসবুক লাইভে এসে ভোটবর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়ে বক্তব্য রাখেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এরপর ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের তরফ থেকে বলছি, যে অবৈধ সরকার জনমতের বিরুদ্ধে নির্বাচনের নামে তামাশা করতে যাচ্ছে- সেই সরকারকে সহযোগিতা করা কোনো দেশপ্রেমিক গণতন্ত্রকামী নাগরিকের জন্য উচিত হতে পারে না বলেই আমরা আজ এই মুহূর্ত থেকে এই অবৈধ সরকারকে অসহযোগিতা করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানাচ্ছি। এই লক্ষ্যে- ৭ জানুয়ারি ডামি ভোটের খেলা বর্জন করুন। ভোট গ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ দায়িত্ব পালনে বিরত থাকুন। সরকারকে সকল প্রকার ট্যাক্স, খাজনা, ইউটিলিটি বিল ও অন্যান্য প্রদেয় স্থগিত রাখুন। ব্যাংকগুলো সরকারের লুটপাটের অন্যতম মাধ্যম বিধায় ব্যাংকে লেনদেন যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ মিথ্যা ও গায়েবী মামলায় অভিযুক্তগণ মামলায় হাজিরা দেয়া থেকে বিরত থাকুন। জনগণের আন্দোলনের ফলে দেশে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হলে এইসব অসহযোগিতায় ক্ষতিগ্রস্তগণ যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং সুবিচার পাবেন।
স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে আমাদের অনেক সাথী জীবন দিয়েছেন, গুম হয়েছেন, বন্দী ও আহত হয়েছেন। কিন্তু গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াই চলছে ও চলবে। জনগণের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও লড়াইয়ের বিজয় অবশ্যম্ভাবী ও অনিবার্য।
অসহযোগ আন্দোলন নিয়ে পূর্ণ বিস্তারিত নিম্নে :
তারিখ : ২০ ডিসেম্বর ২০২৩
সংবাদ সম্মেলন
এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী-সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
সুপ্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা,
আসসালামু আলাইকুম। আপনাদের সকলকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা।
স্বাধীনতার গত ৫২ বছর পেরিয়ে এখন চূড়ান্ত ক্রান্তিকাল চলছে বাংলাদেশে। গনতন্ত্র, মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার, ভোটাধিকার, অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান, বেঁচে থাকার অধিকার, স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি, আন্দোলন-সংগ্রামের অধিকারসহ সকল অধিকার ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বর্বরতম-নিষ্ঠুর স্বৈরশাসক, একনায়ক শেখ হাসিনাতন্ত্রে মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশ। ১৮ কোটি জনগণকে বন্দুকের শাসনে পরাধীনতার শৃঙ্খলে বন্দী করা হয়েছে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-অস্তিত্ব আজ হুমকীর মুখে। বাংলাদেশকে একটি রাস্ট্রের স্যাটেলাইট স্টেট করার চক্রান্ত চলছে। এই ভয়াবহ অনিশ্চিত, অন্ধকারময় সময়ে দেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে অধিকার আদায়ে প্রানপণ লড়াই করছে বিএনপিসহ দেশের সকল দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল। গত দেড় দশকের মতোই আগামী ৭ জানুয়ারী ভোট ডাকাত, গণবিচ্ছিন্ন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা আরো একটি পাতানো একতরফা ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকার সীলমোহর নেয়ার পরিকল্পনা করেছে।
এই পরিস্থিতিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের সিপাহসালার, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান আজ এক যুগান্তকারী কর্মসূচী ঘোষনা করেছেন।
আমি জনতার নেতা তারেক রহমান এবং বিএনপিসহ সকল আন্দোলনরত দল মত জনগণের পক্ষ থেকে ঘোষনা করছি যে, প্রতিটি নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে/আজ থেকে ফ্যাসিস্ট হাসিনার অবৈধ সরকারকে/ সবধরণের অসহযোগিতা শুরু করার বিকল্প নেই। জনগণের ভোটে একটি অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক তথা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে/ আমি এই মুহূর্ত থেকে বর্তমান অবৈধ সরকারকে/ আর কোনো রকমের সহযোগিতা না করার জন্য প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী এবং গণতন্ত্রকামী দেশপ্রেমিক জনগণের প্রতি আহবান জানাই।
১. আপনারা আগামী ৭ জানুয়ারীর ‘ডামি নির্বাচন’ বর্জন করুন। ‘নির্বাচনের নামে’ ৭ জানুয়ারি’র ‘বানর খেলার আসরে অংশ নেবেন না। আপনারা কেউ ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। এটি আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার।
২. নির্বাচন কমিশন ৭ জানুয়ারি/কাকে এমপি ঘোষণা করবে/ গণগণভবনে সেই তালিকা তৈরী হয়ে গেছে। সুতরাং, ৭ জানুয়ারির ‘ডামি নির্বাচনে’ ভোট গ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা কর্মচারীগণ দায়িত্ব পালনে বিরত থাকুন।
৩. বর্তমান অবৈধ সরকারকে সকল প্রকার ট্যাক্স, খাজনা, ইউটিলিটি বিল এবং অন্যান্য প্রদেয় স্থগিত রাখুন।
৪. ব্যাংকগুলো এই অবৈধ সরকারের লুটপাটের অন্যতম মাধ্যম। সুতরা, ব্যাংকে টাকা জমা রাখা নিরাপদ কিনা সেটি ভাবুন।
৫. মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় অভিযুক্ত লক্ষ লক্ষ রাজনৈতিক নেতাকর্মী/ আপনারা আজ থেকে আদালতে মামলায় হাজিরা দেয়া থেকে বিরত থাকুন। আপনাদের প্রতি সুবিচার করার/ আদালতের স্বাধীনতা/ ফ্যাসিবাদী সরকার কেড়ে নিয়েছে।
সচেতন সাংবাদিক ভাই বোন বন্ধুরা/
এই অসহযোগ আন্দোলনের পটভূমি প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা তুলে ধরে দেশনায়ক তারেক রহমান বলেছেন,
মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশ/ ফ্যাসিবাদের কবলে। সাম্য-মানবিক মর্যাদা-সামাজিক সুবিচার/মুক্তিযুদ্ধের এইসব মূলমন্ত্র হারিয়ে/ দেশে এখন সর্বত্রই পাহাড়সম বৈষম্য-অমানবিকতা-আর অবিচার-অনাচার। একজন মাত্র ব্যক্তির অবৈধ ক্ষমতার লালসা মেটাতে দেশের রাজনীতি-অর্থনীতি ধ্বংসপ্রায়। সামাজিক মূল্যবোধের চূড়ান্ত অবক্ষয় ঘটেছে। দেশের প্রতিটি সাংবিধানিক, বিধিবদ্ধ এবং স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের চরিত্র নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। এবার সর্বশেষে পরিকল্পিতভাবে বিনষ্ট করে দেয়া হচ্ছে/ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা। সবকিছু ধ্বংস করে দিয়ে/ বিনাভোটে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে দুর্নীতিগ্রস্ত বণিক, আমলা, পুলিশ এবং ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীদের নিয়ে/ গড়ে তোলা হয়েছে একটি মাফিয়া চক্র। এই মাফিয়া চক্র দেশে এখন দুর্নীতি আর লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। দুর্নীতিবাজ লুটেরা চক্রকে প্রতিহত করে/জনগণের রাষ্ট্রে জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠার এখনই চূড়ান্ত সময়।
তিনি বলেছেন, মাফিয়া সরকারের দুর্নীতি অনাচারের কারণে/ দেশে বর্তমানে কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, স্বল্প আয়ের মানুষ লাঞ্ছিত, বঞ্চিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত। দুর্নীতিবাজদের উল্লাস নৃত্যের আড়ালে/ ঢাকা পড়ে যাচ্ছে মধ্যবিত্ত, নি¤œমধবিত্তসহ সকল মজলুমের হাহাকার-আর্তনাদ। দেশের কৃষকগণ তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেনা অথচ প্রতিদিন বেড়েই চলছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। মানুষ চাল কিনলে ডাল আর ডাল কিনলে চাল কেনার টাকা থাকেনা। ডিম কিনলে পেঁয়াজ আবার আবার পেঁয়াজ কিনলে কাঁচা মরিচ কেনার টাকা শেষ। এভাবে দেশের অধিকাংশ জনগোষ্ঠীকে অর্ধাহারে অনাহারে রেখেই উন্নয়নের নামে চলছে বলগাহীন দুর্নীতি। তাই আপামর জনগণের স্বার্থবিরোধী এই ফ্যাসিস্ট হাসিনার মাফিয়া সরকারকে/ প্রতিহত করে শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষের সরকার প্রতিষ্ঠার এখনই চূড়ান্ত সময়।
দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তারেক রহমান বলেন, পুঁজিবাজার, ব্যাংক বীমাসহ দেশের অর্থকরী প্রতিটি প্রতিষ্ঠান প্রায় দেউলিয়া। ডলারের অভাবে এলসি খোলা যাচ্ছেনা। ডলারের অভাবে অনেক শিক্ষার্থী বিদেশের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যন্ত পড়তে যেতে পারছেনা। দেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমান ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। ০ অপরদিকে খেলাপি কিংবা মন্দ ঋণের কবলে পড়ে/ দেশের ব্যাংকগুলো বন্ধ হওয়ার উপক্রম। লক্ষ লক্ষ প্রবাসীরা পরিশ্রম করে দেশে কোটি কোটি ডলার পাঠায় আর আওয়ামী দুর্নীতিবাজরা সেইসব বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে পাচার করে দেয়। ফ্যাসিস্ট হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতায়/ গত একযুগে দেশ থেকে পাচার করে দেয়া হয়েছে ১১ লক্ষ কোটি টাকা। আওয়ামী দুর্নীতিবাজ চক্র দেশের টাকা বিদেশে পাচার পাচার করে কানাডায় গড়ে তুলেছে বেগম পাড়া, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম। ইউরোপ, আমেরিকা, মালয়েশিয়া, দুবাইয়ে গড়ে তুলছে বিলাসবহুল বাড়ি গাড়ি- নিরাপদ আশ্রয়। টাকা পাচারকারীদের কবল থেকে দেশ উদ্ধার করে/দেশের ব্যাংকবীমাসহ অর্থকরী প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপদ করার এখনই সময়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, শেখ হাসিনার অপকর্মের বিরুদ্ধে যাতে কেউ প্রতিবাদ করতে না পারে/ এ জন্য বিএনপিসহ গণতন্ত্রের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চালানো হচ্ছে/ সীমাহীন অত্যাচার-মিথ্যাচার। বছরের পর বছর ধরে একদিকে খুন গুম অপহরণ গুপ্তহত্যা চলছে অপরদিকে লক্ষ লক্ষ মিথ্যা মামলা দিয়ে গণতন্ত্রকামী মানুষকে দমিয়ে রাখার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। গত ১৫ বছরে শুধুমাত্র সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় দেড় লক্ষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত মামলায় ৫০ লক্ষ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। প্রায় তিন হাজার মানুষ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাÐের শিকার। ৭০০ মানুষকে গুম করা হয়েছে। খুন করা হয়েছে অসংখ্য মানুষকে। কেড়ে নেয়া হয়েছে/ ভিন্ন দল ও মতের মানুষের বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা। জনগণের জন্য একটি নিরাপদ মানবিক বাংলাদেশ গড়তে/ক্ষমতালোভী রক্তপিপাসু ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার এখনই সময়।
তিনি আরো বলেন, দুদক এখন ক্ষমতাসীন দলের দুর্নীতিবাজদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। বিডিআর পিলখানা হত্যাকাÐের মাধ্যমে যেভাবে সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে দেয়া হয়েছে। একইভাবে একজন প্রধান বিচারপতিকে অস্ত্রের মুখে দেশ থেকে বের করে দেয়ার পর/সম্পূর্ণভাবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কবর রচিত হয়েছে। এরপর আর কোনো রাখঢাক না রেখেই বিচারবিভাগ এখন প্রকাশ্যেই ফ্যাসিবাদের দোসর। ক্ষমতাসীনদের অপকর্মের বিরুদ্ধে জবাব দেয়ার বৈধ হাতিয়ার ছিল/ জনগণের ভোটাধিকার। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে/ নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে জনগণের সেই অধিকারকেও কেড়ে নেয়া হয়েছে।
ডামি রাজনৈতিক’ দল দিয়ে ‘ডামি নির্বাচনে’র আয়োজনের কথা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, আবারো ঘনিয়ে এসেছে জাতীয় নির্বাচন। বিশ্বের গণতান্ত্রিক শক্তি এবং দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণের প্রত্যাশা ছিল/ বাংলাদেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ এবং সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে জনগণের প্রত্যাশিত একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। অথচ ফ্যাসিস্ট হাসিনা জনগণের প্রত্যাশিত নির্বাচনের পরিবর্তে/ ‘ডামি রাজনৈতিক’ দল দিয়ে ‘ডামি নির্বাচনে’র আয়োজন করেছে। চিহ্নিত ভোট ডাকাত হাসিনা/ এই ‘ডামি নির্বাচনে’ বানরের পিঠা ভাগের মতো নিজেদের মধ্যে পার্লামেন্টারি আসন ভাগাভাগি করেছে। এখন ‘বানর খেলা’র আসরের মতো লোক জমানোর জন্য রাষ্ট্রের প্রায় ২০০০ কোটি টাকা তসরুপ করে ‘নিজ দলেরই একজনের বিরুদ্ধে আরেকজনকে ‘ডামি প্রার্থী’ বানিয়ে নির্বাচনী আমেজ তৈরির অপচেষ্টা চলছে। সুতরাং, ‘ডামি নির্বাচন’ প্রতিহত করে বারোকোটি ভোটারের লুন্ঠিত ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার এখনই সময়।
তারেক রহমান জনগনের উদ্দেশ্য বলেন, ২০১৪ কিংবা ২০১৮ সালের নির্বাচন সরাসরি সংবিধানের ৬৫ এর ২, ১১, ৭ এর ক এবং ১৪৮ অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সুতরাং, ফ্যাসিস্ট হাসিনার বর্তমান সরকার সম্পূর্ণভাবে অবৈধ, অগণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক। এই অবৈধ সরকারের কোনো আদেশই প্রশাসন মানতে বাধ্য নয়। একইভাবে জনগণও ফ্যাসিস্ট হাসিনার অবৈধ সরকারকে সহযোগিতা করতে বাধ্য নয়। এমনকি অবৈধ এই গণবিরোধী সরকারকে/ জনগণ ট্যাক্স দিতেও বাধ্য নয়।
তারেক রহমান বলেন,দেশের কারাগারগুলোতে এখন উপচেপড়া ভিড়। সুতরাং, কাউকে আর কারাগারের ভয় দেখিয়ে কিংবা কেউ কারাগারকে ভয় পেয়েও লাভ নেই। ফ্যাসিস্ট হাসিনার লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীরা যদি গণতন্ত্রের পক্ষের একজন রাজনৈতিক কর্মী সমর্থককেও হয়রানি করে/দলীয় পরিচয়ের উর্ধে উঠে/ ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। ঐক্যবদ্ধভাবে এই অবৈধ সরকারকে অসহযোগিতা অব্যাহত রাখলে/ এরা আর কাউকে গ্রেফতার নির্যাতন হয়রানি করার সাহস পাবেনা। দেশে আজ জনগণের অধিকার নেই বলেই/ জনগণের লুন্ঠিত অধিকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে/ অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে আজ থেকে সর্বাত্মক আন্দোলন শুরু হলো। ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত চলমান এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। গণআন্দোলনের মাধ্যমেই পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে গণ-মানুষের অধিকার।
তিনি দেশের সকল জনগনের উদ্দেশ্যে বলেন, বিএনপিসহ দেশের সকল গণতন্ত্রের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে আমি আপনাদেরকে প্রতিশ্রæতি দিতে চাই, এই অবৈধ সরকারকে অসহযোগিতা করতে গিয়ে প্রশাসন কিংবা দেশপ্রেমিক জনগণ যারা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন, পরবর্তী গণতান্ত্রিক সরকার অবশ্যই সকল ক্ষতিগ্রস্থদেরকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেবে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আপনাদের ত্যাগের প্রতি সুবিচার করবে। একইসঙ্গে আমি আরো বলতে চাই, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং লুন্ঠিত ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনে বিএনপিসহ গণতন্ত্রের পক্ষের যারাই হতাহত হয়েছেন/ ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক সরকার তাদের অবদানও দলীয় এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে মূল্যায়ন করবে।
১৯৭১ সালে আমরা লাখো প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম। আর আজকের আন্দোলন, দেশ এবং জনগণের স্বাধীনতা রাখার আন্দোলন। চলমান এই আন্দোলন চূড়ান্ত সফলতায় পৌঁছুতে / দলীয় পরিচয়ের উর্ধ্বে উঠে দল-মত-ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে গণতন্ত্রকামী প্রতি মানুষকে বর্তমান অবৈধ সরকারকে অসহযোগিতা শুরু করুন। অপরকে অসহযোগিতা করতে উদ্বুদ্ধ করুন। এই আন্দোলনে বিজয় লাভ করেই/ ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে রেখে দেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ হাফেজ।PRESS BRIEFING OF BNP SR JOINT SEC GENERAL-20-12-2023
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |