আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৬:২৭
ডেস্ক : মালয়েশিয়া অবৈধভাবে থাকা শ্রমিকদের কয়েকটি শর্তে দেশটির চারটি খাতে বৈধ হওয়ার একটি সুযোগ ঘোষণা করা হয়েছে। গত ১৬ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রম চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। বিবিসি বাংলা বলছে, দেশটিতে অবৈধভাবে থাকা তিন লাখের বেশি বাংলাদেশি এই সুযোগকে নতুন সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন।
অবশ্য কত শ্রমিক এই সুবিধা পাবেন, তাদের বেতন-ভাতা কী হবে সে সবকিছু বলা হয়নি। তবে সুবিধাটি পেতে হলে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
মালয়েশিয়ায় বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে পাঁচ লাখের বেশি বাংলাদেশি রয়েছেন। তবে বিশ্বব্যাংকের ২০১৭ সালের তথ্য অনুযায়ী, মালয়েশিয়ায় সব মিলিয়ে সাড়ে ১২ লাখ থেকে সাড়ে ১৪ লাখের মতো অবৈধ কর্মী রয়েছে।
শুধুমাত্র চারটি খাতে বিদেশি অবৈধ শ্রমিকদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দিয়েছে মালয়েশিয়া। সেগুলো হলো- কনস্ট্রাকশনস সেক্টর, ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টর, প্ল্যান্টেশন সেক্টর এবং এগ্রিকালচার সেক্টর।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনের একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুধু নিয়োগকর্তা বা কোম্পানি অবৈধ কর্মীদের নামসহ সরাসরি ইমিগ্রেশনে আবেদন করবে। নিজে নিজে ইমিগ্রেশনে গিয়ে বৈধ হওয়া যাবে না।
তবে শুধু বাংলাদেশিরাই নয়, বৈধ হওয়ার প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে পারবে মালয়েশিয়ার সোর্স কান্ট্রি হিসেবে তালিকাভুক্ত ১৫টি দেশের অনিয়মিত কর্মীরা।
এই সুবিধা পেতে হলে তাকে প্রমাণ করতে হবে যে, তিনি মালয়েশিয়ায় অন্তত বৈধ উপায়ে প্রবেশ করেছেন এবং পরবর্তীতে অবৈধ হয়ে গেছেন।
অবৈধ পথে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করে এই সুবিধা নেওয়া যাবে না। কোনো বিমানবন্দর বা সীমান্ত বন্দর দিয়ে বৈধ উপায়ে প্রবেশের প্রমাণ থাকতে হবে।
যারা আবেদন করবেন, তাদের পাসপোর্টে অন্তত ১৮ মাসের মেয়াদ থাকতে হবে। ফলে যাদের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে, তাদের দ্রুত নবায়নের জন্য আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশের হাইকমিশন।
অবশ্য মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের প্রধান সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, অভিবাসনজনিত অপরাধে কালো তালিকাভুক্ত হয়েছেন, এমন কর্মীরা এই সুবিধা পাবেন না।
বৈধ হতে সরকারিভাবে কত টাকা খরচ হবে, দেশটির অভিবাসন বিভাগ তালিকা প্রকাশ করেছে। ইমিগ্রেশনের তথ্য অনুযায়ী- ১. ডিপোজিট ফি – ৫০০ রিঙ্গিত, ২. কমপাউন্ড (জরিমানা) – ১৫০০ রিঙ্গিত, ৩. লেভি – ১৮৫০ রিঙ্গিত, ৪. করোনা টেস্ট – ৩৮০ রিঙ্গিত, ৫. মেডিকেল ফোমিমা – ১৮০ রিঙ্গিত, ৬. পারমিট (পিএলকেএস) – ২০৫ রিঙ্গিত, ৭. ইনস্যুরেন্স – ১৮০ রিঙ্গিত।
এছাড়া ইমিগ্রেশনের খরচ ৪৭৯৫ রিঙ্গিত যা বাংলাদেশি টাকায় ৯৫, ৯০০ টাকা। নিয়োগদাতা কোম্পানির খরচ সম্পূর্ণ আলাদা।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |