আজ মঙ্গলবার | ৩০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৪ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১৪ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৯:৩৩
বিডি দিনকাল ডেস্ক :- বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাড. রুহুল কবির রিজভী আহম্মেদ আজ দলের পল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন , সাজানো পাতানো ভাগ বাটোয়ারার নির্বাচনী প্রহসনের মাধ্যমে গঠিত আওয়ামী ডামি সরকার বিএনপিকে দমন করতে গিয়ে বাংলাদেশকে পরাজিত করে ফেলেছে। জনগণের কথা শোনার কেউ নেই। । আওয়ামী সিন্ডিকেট কবলিত দ্রব্যমূল্যের চরম উর্ধগতিতে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। মানুষ চরম কষ্টে দিনাতিপাত করছে, সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে, ধার—দেনায়ও সংসার চালাতে পারছে না। কাঁচা মরিচ থেকে সোনাদানার বাজারদর আকাশ স্পর্শ করেছে। গ্যাস সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। গ্যাসের অভাবে একদিকে বাসাবাড়িতে চুলায় আগুন জ্বলছেনা, অপরদিকে একের পর এক শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। লোডশেডিং সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। গ্যাসের অভাবে গাজীপুরে অর্ধেক শিল্প কারখানা বন্ধ হওয়ার সংবাদটি আজকের গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। চট্টগ্রামের অবস্থা আরও ভয়াবহ।
একদিকে অর্ধাহার অনাহার, অপরদিকে হাড় কাঁপানো তীব্র শীতের যাতনা। অবৈধ ক্ষমতার দাপটে ফ্যাসিবাদী সরকার উষ্ণতা অনুভব করলেও শীত কাতর, খাদ্য—বস্ত্র—বাসস্থানহীন মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। জনগণের প্রতি দখলদার সরকারের ন্যুনতম ভ্রূক্ষেপ নেই। যেহেতু নিপীড়ক শেখ হাসিনা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, এ কারণেই তিনি জনগণকে বন্দী, পরাধীন এবং বেঁধে রাখতে চান স্বৈরশৃঙ্খলে।
আপনারা জানেন, বাজারদরের ভয়াবহ অবস্থা। সম্ভবত প্রতারনার ডামি ভোট বর্জনের কারণে জনগণকে শায়েস্তা করতে নির্বাচনের পরই দেশের মানুষকে ঘুষখোর, মুনাফাখোর, দুর্নীতিবাজ, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের হাতে নতুন করে সমর্পন করেছেন শেখ হাসিনা। ডামি সরকারের শপথের পরদিনই চালসহ কিছু নিত্যপণ্যের দাম হঠাৎ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করা অভিসন্ধিপ্রসূত। ভরা মৌসুমে শীতকালীন সবজির দাম বেড়ে তিন গুণ হয়েছে। প্রতিদিন কোনো না কোনো পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। প্রতি কেজি চালের দাম গত এক সপ্তাহে বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা। দশ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়ানোর কথা বলে একসময় ভোট চাইলেও বর্তমানে মোটা চালের দামও ৫৫—৬৫ টাকার নীচে নয়। অন্যান্য চাল ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সিন্ডিকেটের লোকেরা ভোট ডাকাতির নির্বাচনে সহযোগিতা করে এখন ফায়দা নিতেই চালের দাম বৃদ্ধি করেছে। যাকে খাদ্যমন্ত্রী করা হয়েছে তিনি চাল মিলের মালিক। খাদ্যমন্ত্রী চাল সিন্ডিকেটের কাছে আত্মসমর্পন করেছেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, চালের দাম সর্বোচ্চ ৬ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ৫ দিন আগে খাদ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের আলটিমেটাম দিয়েছিলেন চার দিনের মধ্যে চালের দাম কমিয়ে আনতে। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন। বাজারে দায়সারা তদারকির নামে চুনোপঁুটি ধরতে ব্যস্ত প্রশাসন। রাঘব বোয়ালরা ধরা ছেঁায়ার বাইরে। বাস্তবতা হলো—কোন চেষ্টায় কাজ হবে না। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙবে না। ডামি সংসদের প্রায় সবাই ব্যবসায়ী। মজুতদার, মিল মালিক, লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ী, লাইসেন্সবিহীন ব্যবসায়ী সব সরকারের লোক।
সরকারের টপ টু বটম সিন্ডিকেট করে দেশ লুটেপুটে খাচ্ছে। জনগণ চরম অসহায়। দ্রব্যমূল্য না কমলে মানুষ বাঁচবে না। কারণ আয় বাড়েনি, যে শ্রমিকের বেতন ৩০০ টাকা ছিল, এখন ৭০০ টাকা দিলেও তাদের পোষায় না। তারা বাজারে গিয়ে জিনিসপত্র কিনতে পারেন না। তারা ইলিশ মাছ—গরুর মাংস খেতে পারে না। বেগুন খাবে, সেটাও হয় না। এক দেড় বছর আগে চিনির দাম ছিল ৮৮—৯০ টাকা, এখন তা ১৪০—১৪৫ টাকা, ডিমের হালি এখন ৪৮—৫২ টাকা, রসুনের দাম বেড়েছে ২২৯ শতাংশ। শীতের বাজারে ভরা মৌসুমেও সব্জি উৎপাদন বেশী হলেও ১০০ থেকে ১৫০ টাকার নীচে কোন সব্জি পাওয়া যাচ্ছে নাা। আগে তারা বলেছিল আলু খেতে, কিন্ত এখন চালের চেয়েও আলু’র দাম বেশী।
গরুর মাংস, ব্রয়লার মুরগি, রুই মাছ সবকিছুর দাম বেড়েছে। নির্বাচনের আগে গরুর মাংস কেজি ৬০০—৬৫০ টাকা করা হয়েছিল ভোটারদের তুষ্ট করতে। কিন্তু এখন সেই গরুর মাংশ ৭ জানুয়ারীর নির্বাচনের পর দিনই এক লাফে ৭০০—৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাহলে একদিনেই হাটে—খামারে গরুর দাম বেড়ে গেল ? সিন্ডিকেট করে যে সব কিছুর দাম বাড়ানো হয় গরুর মাংস তার বড় উদাহরণ। কত রকমারি প্রতারনা জানে এই ডামি সরকার। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পর থেকেই অত্যাচারী আর অনাচারী হয়ে ওঠা একটা রাজনৈতিক দল।
এই সরকার যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই শেয়ার বাজার লুট করে। এই সরকার ৯৬, ২০১০ শেয়ার বাজার কারসাজি করে লক্ষ কোটি টাকা লোপাট করেছে। লাখ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীকে পথের ফকির করেছে। শেয়ার বাজারের হতাশায় বহু বিনিয়োগকারী আত্মহত্যা করেছে। এরই মধ্যে আবার শুরু হয়েছে কারসাজি। আবারও শেয়ার বাজারে ধ্বস নেমেছে। দীর্ঘদিন মার্কেটকে ধরে রাখা ফ্লোর প্রাইস হুট করে তুলে দেয়া হয়েছে কাউকে কাউকে বিশেষ সুবিধায় শেয়ার ক্রয়ের জন্য। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পুঁজি নেই, কিন্তু লুটপাটের টাকা আছে শেখ হাসিনার উপদেষ্টাসহ আওয়ামী নেতাদের কাছে। বিএসইসি’র এই ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়ার হঠকারী সিদ্ধান্তে আবারও অসংখ্য বিনিয়োগকারীকে পথে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। বিএসইসি’র এই সিদ্ধান্তে তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই এবং অবিলম্বে ফ্লোর প্রাইস পুনর্বহালের জোর আহবান জানাই।
সুপ্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
দেশের জনগণকে উপেক্ষিত রেখে জনপ্রতিনিধিত্বহীন একনায়ক সরকার যেকোনো উপায়ে বিদেশী রাষ্ট্রের সমর্থন জোগাড় করতে ব্যস্ত। দেশে দেশে ধর্না দিয়ে কাকুতি মিনতি করছেন। ডামি ভোটের নকল সরকার হীনম্মন্যতায় ভুগছে। ধর্না দিয়ে অভিনন্দন বার্তা আনা দেশের জন্য সম্মানজনক নয়। লুটের টাকায় ক্রয়কৃত অভিনন্দনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার বৈধতা পাওয়ার চেষ্টা বড় হাস্যকর। বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ আওয়ামী লীগের এই একদলীয় পাতানো নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়নি, ভোট কেন্দ্রে না যাওয়াটাই সেটির প্রমাণ। “আমরা আর মামু”দের ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত দ্বিতীয় বাকশাল সরকারের বৈধতা পাওয়ার প্রশ্নই আসে না। জনগণ এই নির্বাচন, এই অবৈধ সংসদ কখনও মেনে নেবে না। জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে এই ডামি সরকারের পতন ঘটাবে।
সারাদেশে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশ বাহিনী কতৃর্ক হামলা, মামলা ও গ্রেফতারের বিবরণ ঃ
মৃত্যু ঃ
ঢাকা জেলাধীন দোহার উপজেলার অন্তর্গত মাহমুদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ—সভাপতি মোঃ হারুন মেম্বারকে বিনা কারণে গত ২০ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর পুলিশী নির্যাতনে অসুস্থ অবস্থায় ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ জামিনে মুক্ত হওয়ার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৫ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা রিমান্ডের নামে এই ধরণের অমানবিক নির্যাতন ও ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং নিহত হারুন মেম্বারের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
গ্রেফতার ঃ
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের চকবাজার থানাধীন ৩১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ—কোষাধ্যক্ষ ফিরোজ হোসেন চীনা, কলাবাগান থানাধীন ১৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ নাসির গাজী ও ওয়ার্ড বিএনপি নেতা শাহীনসহ কয়েকজন নেতাকমীর্কে গত ২০ জানুয়ারি রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলা, হামলা ও আহত ঃ
মৌলভীবাজার জেলাধীন শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল আলম সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাজ উদ্দিন তাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক সিহাব উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক মোঃ তুহিন চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ মামুন আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আইন উদ্দিন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সোহেল আহমেদ, পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক জয়নাল চৌধুরী, পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ শামীম আহমেদ, সাবেক সদস্য মুসাব্বির আলী মুন্না, সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ নুর ইসলাম, আশিদ্রোন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ সামছুল হক, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাজা মিয়া, সিন্দুরখান ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নানু মিয়া, মির্জাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ সুফি মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ আব্দুল মুহিত নিলু, বিএনপি নেতা মোঃ আব্দুল মতিন, কলাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দিপলু আহমেদ টিক্কা, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুশাহিদুর রহমান, ভুনবীর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ আব্দুল মতিন তালুকদার (মহারাজ) ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু মিয়াসহ উপজেলার প্রায় সকল নেতাকমীর্দের বাড়িতে পুলিশ একতরফা নির্বাচানের পরেও তাদেরকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করার উদ্দেশ্যে দিনে ও রাতে হানা দিচ্ছে এবং তাদেরকে বাড়িতে না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের হুমকি—ধামকি দিচ্ছে এবং দূর্ব্যবহার করছে।
এপর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যনুযায়ী গত ৫ দিনে সারাদেশে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের—
মোট গ্রেফতার : ১২ জনের অধীক নেতাকমীর্।
মোট মামলা : ০২ টি
মোট আসামী : ১৮৬ জনের অধীক নেতাকমীর্ (এজাহার নামীয়সহ অজ্ঞাত)
মৃত্যু : ০১ জন।
এপর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যনুযায়ী গত ১৫ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ নির্বাচনী একতরফা তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত—
মোট গ্রেফতার : ১৩৫১১ জনের অধীক নেতাকমীর্।
মোট মামলা : ৫০৯ টি
মোট আসামী : ৫৩০৮৫ জনের অধীক নেতাকমীর্ (এজাহার নামীয়সহ অজ্ঞাত)
মোট আহত : ২০৮২ জনের অধীক নেতাকমীর্।
মোট মৃত্যু : ১৭ জন
২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মহাসমাবেশের ৪/৫ দিন পূর্ব থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত মোট
গ্রেফতার : ২৫৫২৬ জনের অধীন নেতাকমীর্
মোট মামলা : ৭৮০ টির অধিক
মোট আহত : ৪৩০৫ জনের অধিক নেতাকমীর্
মৃত্যু : ৩০ জন (সাংবাদিক ১ জন)
গত ২৮ ও ২৯ জুলাই ২০২৩ তারিখ হতে অদ্যাবধি বিএনপি’র কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সারাদেশের প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ঃ—
মোট গ্রেফতার : ২৭৫০৭ জন
মোট মামলা : ১১৮২ টির অধিক
মোট আসামী : ১০৫৪৬৭ জন
মোট আহত : ৯৭০৯ জনের অধীক নেতাকমীর্
মোট মৃত্যু : ৩০ জন (সাংবাদিক ০১ জন)
মিথ্যা মামলায় সাজা : মোট ৮৪ টি মামলায়ঃ ৯ জনের মৃত্যুদন্ডাদেশ ও প্রায় ১২৯৪ জনের অধিক নেতাকমীর্কে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
কর্মসূচি ঃ
দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন উর্ধ্বগতি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি, সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অবৈধ সংসদ বাতিলসহ ১ দফা দাবী আদায়ে কালো পতাকা মিছিল
* আগামী ২৬ জানুয়ারী ২০২৪, শুক্রবার দেশের সকল জেলা সদরে।
* একই দাবীতে আগামী ২৭ জানুয়ারী, ২০২৪, শনিবার দেশের সকল মহানগরে।
আল্লাহ হাফেজ। PRESS BRIEFING OF BNP SR JOINT SECRETARY GENERAL-21 JAN 2024
Dhaka, Bangladesh মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:07 PM |
Asr | 3:11 PM |
Magrib | 5:32 PM |
Isha | 6:52 PM |