আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | দুপুর ২:৪৭
কামরুল হাসান বাবলু :-আজ ১৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবারও জামিন হয়নি কুয়েতে গ্রেফতার এমপি পাপুলের,সর্বশেষ পরবর্তী শুনানি আগামী ২৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছেন মহামান্য বিচারক।এদিকে কুয়েত সোলায়বীয়া কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আজ সকাল ৯ টায় কুয়েত সিটির মালিয়া কোর্টে নিয়ে আসে ।তবে দুপুরে ২ টায় ৪তলায় বিচারক আব্দুল্লাহ ওসমান এর এজলাসে হাজির করা হয় ।এই সময় তার আইনজীবীরা জামিন চাইলে বিচারক তা বাতিল করে ২৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন ।।যুক্তি তর্ক শেষ পর্যায়ে রয়েছে এমনটা জানিয়েছেন সূত্রটি।
এদিকে ১৫ জুন কারাগারে পাঠানোর পর গত ২৫জুন ও ৯জুলাই,১৯জুলাই,২৭জুলাই, ৯ আগস্ট ,২৩ আগস্ট,১৭ সেপ্টম্বর,২২ অক্টোম্বর, ৫ নভেম্বর,১২ নভেম্বর এবং আজ ১৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার পাপুলকে মহামান্য বিচারকের সামনে হাজির করা হয় ।এই নিয়ে মোট ১১ বার পাপুলকে আদালতে হাজির করা হলো ।
এদিকে মানব পাচার ও মানি লন্ডারিং মামলায় এমপি পাপুলের সাথে অভিযুক্ত কোনো আসামিকে জামিন না দিয়ে শুনানির সর্বশেষ পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করে পাপুলসহ সকলকে জেলে পাঠায় বিচারক ।
অন্যদিকে পাপুলকে বেশ বিমূর্ষ দেখা গিয়েছে ।পাপুলকে হেন্ডকাপ পড়ায়ে নিয়ে আসা হয়ে একেই সাথে পাপুলকে এক কালারের জেলখানার পোশাক পরিহিত দেখা যায় ।পাপুলের মামলা নাম্বার ৯২৪১/2020 .
লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কাজি শহিদ ইসলাম কুয়েতের রেসিডেন্ট পারমিটধারী একজন ব্যবসায়ীও। তার অবৈধ ব্যবসা এবং জাল-জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে গত ফেব্রুয়ারিতে। তখন তাকে আটকের জন্য কুয়েত সিআইডি অভিযানও চালিয়েছিল। তখন তার দুই সহযোগী গোয়েন্দা জালে আটকা পড়লে তিনি ঢাকায় পালিয়ে নিজেকে রক্ষায় সক্ষম হন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। পরবর্তীতে তিনি কুয়েত সিটিতে গেলে (গত ৬ জুন) সিআইডি টিম তাকে তাদের হেফাজতে নিয়ে নেয়।একনাগাড়ে ১০দিন রিমান্ডে থাকার পর জামিন না দিয়ে ১৪ জুন তাকে আদালতে উপস্থাপন করলে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। সেই থেকে তিনি কারাগারেই আছেন। দীর্ঘ সময় তিনি রিমাণ্ডে থাকাকালীন সময় তার সহযোগী দেশি-বিদেশি রাগব-বোয়ালদের বিষয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন।
অন্যদিকে বাংলাদেশেও পাপলুর বিরুদ্ধে দুদকের একাধিক মামলা পরিচালিত হচ্ছে।দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, তার শ্যালিকার অন্তত ৪৪টি ব্যাংক হিসাবে ১৪৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। অপরাধলব্ধ অর্থের বৈধতা দেয়ার জন্য পাপুল ও তার স্ত্রী ‘লিলাবালি’ নামক একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন বলে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে।
ওই প্রতিষ্ঠানের নামে শুধু এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকেই ৩৪টি এফডিআর রয়েছে বলে জানা যায়। ওই হিসাবে দুই কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৭ টাকা রয়েছে। এই টাকার কোনো উৎস নেই।
এ ছাড়া সেলিনা ইসলামের নামে ২৯৫টি এফডিআরে ২০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, জেসমিন প্রধানের নামে ২০টি এফডিআরে ১ কোটি টাকা, পাপুলের ২৩টি এফডিআরে ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা, বোনের মেয়ে ওয়াফা ইসলামের নামে ৪১টি এফডিআরে ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা রয়েছে।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |