আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৪:২৬
বিশেষ প্রতিনিধি :নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের পাঁচতুফা এলাকায় নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা খুবেই পরিচিত একটি নাম । ১ নং চাতারপাইয়া ইউনিয়ন ৫ নং ওয়াড এর পাঁচতুফা পচ্চিম পাড়া এলাকা । এই ওয়ার্ড বিশেষ জনবহুল এলাকা ।এই এলাকার দুই ধারে রয়েছে পাঁচতুফা নাম একটি খাল । এই খাল এখন ভূমি খেকোদের দখলে চলে গিয়েছে । নিজেদের স্বার্থে খালটি ভরাট করে তারা রাতের বেলায় ট্রাক্টর করে বিভিন্ন জমি থেকে মাটি সংগ্রহ করে চলছে অনবরত ।এর ফলে খালের পানি আর প্রবাহিত হচ্ছে না ।
এলাকার মানুষ নানা ভাবে প্রশাসনের নজরে আনলেও তেমন কোনো প্রতিকার পায় নাই। বরং মাটি খেকো ভূমি দস্যুদের রোষানলে পড়তে হয়েছে অনেকের ।এইসব মাটি খেকো ভূমি দস্যুরা এক শ্রেণীর সুবিধাভুগী প্রশাসনের লোকজনকে ম্যানেজ করে এই সব অনৈতিক কর্মকান্ড করে যাচ্ছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে ।
একেই সাথে অনেক জমির মালিকও এসব মাটিখেকো ব্যবসায়ীদের ভয়ে কোনো প্রতিবাদ করতে পারছে না ।অন্যের জমি ক্ষতিসাধন করে এক জমি থেকে অন্যের জমির উপর দিয়ে তারা মাটি নিয়ে যাচ্ছে ।এদের অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে আছে ।
এলাকার মানুষ বলেন , প্রবাহমান একটি খালে মাটি ফেলে বাঁধ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে মাটি খেকো একদল সার্থন্নেষী মহল । এতে খালের এক পাশে কৃষিজমিতে আগামী বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে।
এ প্রসঙ্গে ক্ষোভ ঝেড়ে এলাকাবাসী বলেন, স্থানীয় মফিজ মিয়া এই বাঁধটি নির্মাণ করেছেন। গত বেশ কিছুদিন ধরে কৃষিজমি থেকে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে ট্রাক্টর দিয়ে অন্যত্র ভরাট করছে। শুষ্ক মৌসুম ছাড়া বছরের সাত-আট মাস খালে পানি থাকে। বর্ষাকালে এই খাল হয়ে চিলাদী, পাঁচতুপা, ছাতারপাইয়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ফসলি জমিতে পানি প্রবেশ করে। কিন্তু পাঁচতুফার সাইদুল হকের দোকানের সামনে বাঁধের কারণে চলতি বর্ষায় খালে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
বিভিন্ন জানা যায়, পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা না রেখে খালে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। ট্রাক্ট্রর দিয়ে বাঁধের ওপর দিয়ে কৃষি জমি থেকে মাটি বহন করে ভরাটের কাজ চলছে।
খাল ভরাট কারী মফিজ মিয়া এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ফোন নাম্বারে ফোন দিয়ে যোগাযোগ এর চেষ্টা করা হলে নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায় ।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, এলাকাবাসী থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তহশিলদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যে বাঁধ অপসারণ হয়ে যাবে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি লক্ষ করা যায় নাই ।
এদিকে ২০২৩ সালের ভূমি আইন :বাণিজ্যিক উদ্দেশে ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষি জমি থেকে বালু বা মাটি তোলা যাবে না; তবে কোনো ব্যক্তি নিজের প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে সীমিত পরিসরে বালু বা মাটি তুলতে পারবেন। এমন বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) বিল-২০২৩’ পাস হয়েছে।
এই সব আইনকেও তারা তোয়াক্কা করছে না ।এখনই জড়িয়েদের লাগাম টেনে ধরা না যায় তাহলে তারা পুরো এলাকাটাকে খেয়ে পেলবে এবং তাদের দৌরাত্ম দিন দিন বাড়তে থাকবে এমন বলছেন এলাককার জনগণ ।
বাণিজ্যিক উদ্দেশে ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষি জমি থেকে বালু বা মাটি তোলা যাবে না; তবে কোনো ব্যক্তি নিজের প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে সীমিত পরিসরে বালু বা মাটি তুলতে পারবেন।
এমন বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) বিল-২০২৩’ পাস হয়েছে।
তৎকালীন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বিলটি পাসের জন্য সেই সময় ( মঙ্গলবারদিন)সংসদে উপস্থাপন করেন। বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
বিলে বলা হয়েছে, “কোনো ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি থেকে বালু বা মাটি তোলা যাবে না যদি তা উর্বর কৃষি জমি হয় বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে হয় বা কৃষি জমির উর্বর উপরিভাগের মাটি হলে বা পরিবেশ প্রতিবেশ বা জীববৈচিত্রের ক্ষতি সাধিত হয় বা ড্রেজারের মাধ্যমে বা যদি অন্য কোনো কৌশলী প্রক্রিয়ায় বালু বা মাটি উত্তোলন করা হয়, যাতে এই জমিসহ পাশ্ববর্তী অন্য জমির ক্ষতি, চ্যুতি বা ধসের উদ্ভব হয়।”
“তবে কোনো ব্যক্তি বসতবাড়ি নির্মাণ বা নিজের প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে নিজের মালিকানাধীন জমি থেকে সীমিত পরিসরে বালু বা মাটি তুলতে পারবেন।”
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |