আজ শনিবার | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | দুপুর ১:২৩

শিরোনাম :

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ও সদর উপজেলায় পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন নিহত দেশের সব জায়গায় সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়া ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম ঢাবি ফজলুল হক মুসলিম হলে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় ৫ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত মোহাম্মদপুরে সৈকত এর শোকাহত পরিবার এর বাসায় আমরা বিএনপি পরিবার সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম,ও সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি হেনরীসহ পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধানকে অপহরণ, গুম ও হত্যার উদ্দেশে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আদালতে মামলার আবেদন কোনোরকম মব জাস্টিস, আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া,গণপিটুনি দেয়ার মতো ঘটনা কোনোভাবে গ্রহণ করা হবে না:ড. আসিফ নজরুল আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই,‘একজন অন্যায় করলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করেন:স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব যারা ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত অবশ্যই তাদর বিচারের আওতায় আনা হবে: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম শ্যামল দত্ত,মোজাম্মেল হক বাবু,শাহরিয়ার কবিরের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত

বিডিআর বিদ্রোহে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত ঘটনা জনগণ জানতে পারেনি:মইন ইউ আহমেদ

প্রকাশ: ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ৬:২১ পূর্বাহ্ণ

রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দফতরে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি নির্মম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বিডিআর বিদ্রোহে ওই সময় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে কথা বলেছেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) মইন ইউ আহমেদ।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অবস্থানরত মইন ইউ আহমেদ গত বৃহস্পতিবার তার নিজের ‘মইন আহমেদ’ নামের ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিও বার্তায় হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তুলে ধরেন। বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে মইন ইউ আহমেদ বই লিখেছেন এবং তা শিগগিরই প্রকাশিত হবে বলে ওই ভিডিও বার্তায় উল্লেখ করেন তিনি।

ভিডিওর শুরুতেই ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসের নিহতদের মাগফিরাত ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রার্থনা করে বলেন, সরকার-ছাত্রজনতা যেভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

বিডিআর বিদ্রোহে হত্যাকাণ্ড নিয়ে তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডটি নিয়ে ১৫ বছরে শুধু বিগত সরকারের কথা শুনতে হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা অনেক কিছুই জানা নেই। জনগণও জানতে পারেনি।

তিনি বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় সেনাবাহিনী ও তৎকালীন সেনাপ্রধানের ভূমিকা অনেকের জানা নেই। অনেকে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করছেন। ভূমিকা কী ছিল, তা তিনি জানাতে চান।

মইন ইউ আহমেদ বলেন, সেনাবাহিনীর অব্যবহৃত কিছু অস্ত্র বিডিআরকে দেওয়া নিয়ে বাহিনীটির তৎকালীন মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের (হত্যাকাণ্ডে নিহত) সঙ্গে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে তার কথা হয়। তিনি অস্ত্রগুলো নিতে রাজি হন। তখন পর্যন্ত বিদ্রোহ সম্পর্কে তিনি (বিডিআরের ডিজি) কিছুই জানতেন না বলেই সাবেক সেনাপ্রধানের বিশ্বাস।

একটি বৈঠকে থাকার সময় ওই দিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পিলখানায় কিছু একটা ঘটার তথ্য জানতে পারেন বলে উল্লেখ করেন মইন ইউ আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘আমার প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি কর্নেল ফিরোজ রুমে প্রবেশ করেন এবং আমাকে কানে কানে বলেন, পিলখানায় গণ্ডগোল হচ্ছে। আপনার দিকনির্দেশনা প্রয়োজন।’

মইন ইউ আহমেদ বলেন, তিনি তখন ওই সভা স্থগিত করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও বিডিআরের ডিজির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। তাদের ফোন ধারাবাহিক ব্যস্ত ছিল। সামরিক গোয়েন্দারা তখন তাকে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানান। ভয়াবহতা উপলব্ধি করে তিনি তখন সময় বাঁচাতে কারও নির্দেশ ছাড়াই সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডকে অপারেশনের জন্য প্রস্তুত হতে নির্দেশ দেন। তারা তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধপ্রস্তুতি শুরু করে, যার নামকরণ করা হয় ‘অপারেশন রি-স্টোর অর্ডার’।

সকাল ৯টা ৪৭ মিনিটে বিডিআরের ডিজিকে ফোনে পাওয়া যায় বলে উল্লেখ করে সাবেক সেনাপ্রধান বলেন, ‘বিডিআর ডিজি এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন। তিনি (মহাপরিচালক) বলেন, দরবার চলাকালীন দুজন সশস্ত্র সৈনিক দরবার হলে প্রবেশ করে। একজন ডিজির পেছনে এসে দাঁড়ায়, অপরজন দরবার হল অতিক্রম করে বাইরে চলে যায়। তার পরপরই বাইরে থেকে গুলির শব্দ আসে। গুলির শব্দ শোনার সঙ্গে সঙ্গে দরবার হলে উপস্থিত সৈনিকেরা গণ্ডগোল শুরু করে দেয়। তারা দাঁড়িয়ে যায়। দরবার হল থেকে বের হয়ে যায়। মনে হলো সব পরিকল্পনার অংশ। পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়িত হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘অনেকে মনে করে, বিডিআর ডিজি সাহায্যের জন্য আমাকে কল করেছিলেন। এটা সত্য নয়। আমিই বিডিআর ডিজিকে ফোন করি এবং আমরা কী ব্যবস্থা নিচ্ছি, তা ওনাকে জানিয়ে দিই।’

তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ওই দিন সকাল ৯টা ৫৪ মিনিটে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় বলে উল্লেখ করে মইন ইউ আহমেদ বলেন, ‘এর মধ্যেই তিনি (শেখ হাসিনা) বিডিআর বিদ্রোহ সম্পর্কে অনেক তথ্য পেয়ে গিয়েছিলেন। এ সময় আমি তাকে অপারেশনের কথা জানালে তিনি জানতে চান, কতক্ষণ সময় লাগবে ব্রিগেডকে তৈরি করতে? আমি বললাম, সাধারণত ছয় ঘণ্টা লাগে। তবে তাড়াতাড়ি করে দুই ঘণ্টার মধ্যে তৈরি করা যায়।’

শেখ হাসিনা ৪৬ ব্রিগেডকে পিলখানায় যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন উল্লেখ করে মইন ইউ আহমেদ বলেন, ব্রিগেডটি এক ঘণ্টার মধ্যে যাত্রা শুরু করে। ৪৬ ব্রিগেডের তৎকালীন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাকিমের নেতৃত্বে ১০ জন কর্মকর্তা ও ৬৫৫ জন সৈনিক পিলখানার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। সকাল সাড়ে ১০টায় ব্রিগেডের অগ্রবর্তী দল জাহাঙ্গীর গেট অতিক্রম করে।

তিনি বলেন, ‘বেলা ১১টায় ৪৬ ব্রিগেডের প্রথম গাড়িটি পিলখানার মেইন গেটের কাছাকাছি পৌঁছালে বিদ্রোহীরা একটি পিকআপ লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালায়। এতে চালক ঘটনাস্থলেই মারা যান। চালকের পাশে বসা একজন গুরুতর আহত হন।’

সাবেক সেনাপ্রধান বলেন, ১০টা ৩৫ মিনিটের দিকে তার অফিস থেকে বিডিআরের মহাপরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। তবে তা সম্ভব হয়নি। হয়তো এর আগেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল। তিনি তৎকালীন লেফটেন্যান্ট কর্নেল শামসের বরাত দিয়ে বলেন, শামসের ধারণা অনুযায়ী, সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যেই অনেক অফিসারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সেনাবাহিনীর ব্রিগেড পৌঁছায় ১১টার পরে।

তিনি বলেন, ‘ক্যাপ্টেন শফিক তার নেতৃত্বে ৩৫৫ জন র‍্যাব সদস্য নিয়ে পিলখানায় পৌঁছান ১০টার আগেই। এ সময় তিনি তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে পিলখানায় প্রবেশের অনুমতি চাইলেও তা পাননি। তিনি অনুমতি পেলে হয়তো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সুবিধা হতো এবং এত ক্ষয়ক্ষতি হতো না। ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে পিএসও এএফডি (প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার–সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ) তাকে জানান, সরকার রাজনৈতিকভাবে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। বিদ্রোহীরা দাবি করেছে যে, কোনো আলোচনার আগে সেনাবাহিনীকে এই এলাকা থেকে চলে যেতে হবে। তাই সরকার আদেশ করেছিল, সেনাবাহিনীর সদস্যদের দৃষ্টির আড়ালে চলে যেতে হবে। অন্তত দুই কিলোমিটার উত্তরে চলে যাওয়ার জন্য বলা হয়। সমঝোতা না হলে তখন সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হবে।

আনুমানিক দুপুর ১২টায় পিএসও ফোন করে জরুরি ভিত্তিতে মইন ইউ আহমেদকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যমুনায় যেতে বলেন। তিনি সেখানে যান। মইন ইউ আহমেদ বলেন, ‘বেলা ১টার দিকে সাদা পতাকা নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজম আলোচনার জন্য পিলখানায় যান। এরই মধ্যে সরকার থেকে বলা হলো, সেনাবাহিনী পিলখানার প্রধান ফটক এলাকায় থাকবে। র‍্যাব ও পুলিশ আরও দুটি এলাকায়। ডেইরি গেট এলাকাটি অরক্ষিত ছিল।’

পিলখানা থেকে পালিয়ে আসা এক কর্মকর্তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জানতে পারেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যমুনায় গিয়ে তিনি অনেক লোককে দেখেন, যাদের কোনো কাজ ছিল না। কৌতূহলবশত এসেছিলেন। মন্ত্রিসভা বৈঠক করছিল। কোনো সিদ্ধান্ত আসছিল না। ওই সময় পিলখানা থেকে পালিয়ে আসা একজন কর্মকর্তার কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন, সেখানে অনেককে হত্যা করা হয়েছে।’

মন্ত্রিসভার পর আরেকটি ছোট বৈঠক করে তিন বাহিনীর প্রধানদের শেখ হাসিনা ডাকেন বলে উল্লেখ করে মইন ইউ আহমেদ বলেন, তিনি যাওয়ার দেড় ঘণ্টা পরে বিমান ও নৌবাহিনীর প্রধান সেখানে যান। শেখ হাসিনা তাদের জানান, রাজনৈতিকভাবে সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা চলছে। শেখ ফজলে নূর তাপস, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজম বিদ্রোহীদের একটি দলকে নিয়ে যমুনায় আসছেন এবং তারা (বিদ্রোহীরা) সাধারণ ক্ষমা চায়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) বলেন, বিদ্রোহীদের কিছু বলার থাকলে তিন বাহিনীর প্রধান যেন তাদের বলেন।

মইন ইউ আহমেদ বলেন, ‘তখন আমি তাকে (শেখ হাসিনা) বলি, “অনেকে নিহত হয়েছেন। তাদের কোনো দাবি মানা যাবে না। আপনি তাদের বলবেন, প্রথমত, অফিসার হত্যা এই মুহূর্তে বন্ধ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের সবাইকে এখনই মুক্তি দিতে হবে। তৃতীয়ত, অস্ত্রসহ বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণ করতে হবে এবং চতুর্থত, সাধারণ ক্ষমা দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।”

একটা পর্যায়ে শেখ হাসিনা বিদ্রোহীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বলে উল্লেখ করে মইন ইউ আহমেদ বলেন, ‘বৈঠকে শেখ ফজলে নূর তাপস, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজম ছিলেন। প্রথম পর্যায়ে আলোচনা তার (মইন) জানা নেই। পরের পর্যায়ে তাকে ডাকা হয়। সেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণের জন্য বলেন। বিদ্রোহীরা ৬টা ৩৭ মিনিটে যমুনা থেকে পিলখানার উদ্দেশে রওনা দেয়। সেখানে গিয়ে তারা ঘোষণা দেয়, সাধারণ ক্ষমার প্রজ্ঞাপন না হলে তারা আত্মসমর্পণ করবে না। তারা গোলাগুলিও শুরু করে। কর্মকর্তাদের খুঁজতে থাকে।’

মইন ইউ আহমেদ বলেন, রাত ১২টায় তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন, শেখ ফজলে নূর তাপস ও তৎকালীন আইজিপি (পুলিশের মহাপরিদর্শক) পিলখানায় যান আলোচনার জন্য। একপর্যায়ে বিদ্রোহীরা কিছু অস্ত্র সমর্পণ করে এবং আটটি পরিবারকে মুক্তি দেয়। শুধু তিনটি পরিবার ছিল সেনা অফিসারদের। সাহারা খাতুন জানতেন অফিসারদের বন্দী করে রাখা হয়েছে। তিনি তাদের মুক্তির ব্যাপারে উদ্যোগ নেননি, কোনো খোঁজও নেননি।

২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আবার গোলাগুলি শুরু করে বিদ্রোহীরা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে ডেকে নেন জানিয়ে মইন ইউ আহমেদ বলেন, তাকে জানানো হয় বিদ্রোহীরা আত্মসমর্পণ না করলে সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হবে। তিনি সাভার থেকে ট্যাংক আনার অনুমতি চান। সেটা দেওয়া হয়। তিনি ট্যাংক রওনা দেওয়ার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে নির্দেশ দেন। অন্য প্রস্তুতিও নেওয়া হয়।

মইন ইউ আহমেদ বলেন, সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি ও ট্যাংক আসার কথা শুনে বিদ্রোহীরা কোনো শর্ত ছাড়া আত্মসমর্পণে রাজি হয়। শেখ হাসিনা বেলা ২টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণের সময়সীমা বেঁধে দেন। সেই পরামর্শ তিনি (মইন) দিয়েছিলেন। সেনাবাহিনীর আক্রমণ প্রস্তুতি দেখে বিদ্রোহীরা আলোচনা ও আত্মসমর্পণের জন্য উদ্‌গ্রীব হয় এবং সাদা পতাকা টানিয়ে দেয়। রাতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি দল পিলখানায় প্রবেশ করে এবং বিদ্রোহীরা আত্মসমর্পণ করে। এর মাধ্যমে ৩৩ ঘণ্টার বিদ্রোহের অবসান হয়। প্রাণ হারান ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা, যাঁরা সেনাবাহিনীর মেরুদণ্ড ছিলেন।

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার তদন্ত নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় আমি যখন তদন্তের আদেশ দিই, তখন আমাকে বলা হয়- যখন সরকার এই বিষয়ে তদন্ত করছে, তখন আমাদের এর প্রয়োজনটা কী?’

মইন ইউ আহমেদ বলেন, প্রতিউত্তরে তিনি বলেছিলেন, এত সেনা অফিসার হত্যার কারণ তাকে বের করতে হবে। তারপর সরকার আর উচ্চবাচ্য করেনি। তবে তদন্তে সরকার তেমন সহায়তা করেনি। সেনাবাহিনীর তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (বর্তমান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা)।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কথা উল্লেখ করে সাবেক সেনাপ্রধান বলেন, ‘তিনি আশা করেন, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী তদন্ত কমিটি পুনর্গঠিত করে জড়িত ব্যক্তিদের বের করতে সক্ষম হবেন।’

নতুন সরকার গঠনের পর মুঠোফোনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) মইন ইউ আহমেদ।সূত্রঃ মানবজমিন

Please follow and like us:
error20
fb-share-icon
fb-share-icon20

এক্সক্লুসিভ জাতীয় প্রধান খবর প্রশাসন

আরও পড়ুন

গত ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ

  • আর্কাইভ

    লালবাগ বিভাগের সাবেক উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমানের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত

    সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি-দখলদারির বিরুদ্ধে ডেমরায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি

    স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর বিক্ষোভ মিছিল

    গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ

    খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ও সদর উপজেলায় পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন নিহত

    দেশের সব জায়গায় সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়া ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম

    কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে হত্যা চেষ্টার মামলায় ৩ পৌর কাউন্সিলর গ্রেফতার

    ঢাবি ফজলুল হক মুসলিম হলে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় ৫ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

    ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত মোহাম্মদপুরে সৈকত এর শোকাহত পরিবার এর বাসায় আমরা বিএনপি পরিবার

    সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম,ও সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি হেনরীসহ পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

    বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধানকে অপহরণ, গুম ও হত্যার উদ্দেশে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আদালতে মামলার আবেদন

    কোনোরকম মব জাস্টিস, আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া,গণপিটুনি দেয়ার মতো ঘটনা কোনোভাবে গ্রহণ করা হবে না:ড. আসিফ নজরুল

    আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই,‘একজন অন্যায় করলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করেন:স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

    আন্দোলন সংগ্রামে থাকা নেতাকর্মীদের পিছনে রাখার সুযোগ নেই : আমিনুল হক

    কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব যারা ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত অবশ্যই তাদর বিচারের আওতায় আনা হবে: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

    পিআইবি মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ

    শ্যামল দত্ত,মোজাম্মেল হক বাবু,শাহরিয়ার কবিরের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত

    ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় ৬ জনের মৃত্যু ,হাসপাতালে ভর্তি আরও ৮৬৫ জন

    ড. শাহদীন মালিক আউট , অধ্যাপক আলী রীয়াজ ইন

    ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী সৈকত’র শোকাহত পরিবারকে সমবেদনা জানাতে মোহাম্মদপুরে যাবে”আমরা বিএনপি পরিবার “

    আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের চেষ্টা করবো, এতটুকু বলতে পারি:সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্‌সি

    মোহাম্মদপুরের বছিলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার গণআন্দোলনে শহীদদের স্মরণে দোয়া-আহতদের ক্রেস্ট-কাওয়ালী জলশা অনুষ্ঠিত

    মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশন সংস্কারে এক কোটি টাকাও খরচ হচ্ছে না

    আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে সব সদস্য এখনও যোগ দেননি তারা অপকর্মের সাথে জড়িত:স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

    সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান

    অযৌতিক পদায়ন ও শিক্ষক লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও মানববন্ধন

    দেশ-বিদেশ থেকে নানা রকমের উস্কানিতেও জনগণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ হতে দেবে না:পল্টন জনসমুদ্রে তারেক রহমান

    নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক শোডাউন(ভিডিও সহ)

    বিএনপির সমাবেশে সাংস্কৃতিক দলের সভাপতির নেতৃত্বে অংশ গ্রহণ

    তিতাস গ্যাস পরিচালনা পর্ষদের পরিচালকের পদ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন মতিউর রহমান চৌধুরী

    • Dhaka, Bangladesh
      শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
      SalatTime
      Fajr4:31 AM
      Sunrise5:47 AM
      Zuhr11:51 AM
      Asr3:17 PM
      Magrib5:56 PM
      Isha7:11 PM
  • সম্পাদক ও প্রকাশক : কামরুল হাসান বাবলু
    ই-মেইলঃ dk.kamrul@gmail.com
    ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও: মনির হোসেন
    ই-মেইলঃ fsgtcc@gmail.com
    copyright @ বাংলাদেশ দিনকাল / বিডি দিনকাল ( www.bddinkal.com )
    বিডি দিনকাল মাল্টি মিডিয়া (প্রা:) লিমিটেড প্রতিষ্ঠান।