আজ শুক্রবার | ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৮:২৬
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউিটর পদ থেকে মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের পদত্যাগ দাবি করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ডাকসু’র সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। বৃহস্পতিবার বিকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মূল গেটের সামনে বিক্ষোভ মিছিলও করেন। গণঅধিকার পরিষদের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একই দলের রেজা কিবরিয়া অংশের দায়ের করা রিট আবেদনের শুনানিতে আইনজীবী হিসেবে তাজুল ইসলামের অংশগ্রহণের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ মিছিল করে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। নুরুল হক নুর নিজেই মিছিলে নেতৃত্ব দেন। তবে চিফ প্রসিকিউটর পদে থেকে অন্য মামলার শুনানিতে অংশগ্রহণে আইগত কোনো বাধা নেই বলে দাবি করেন চিফ প্রসিকিউটর এডভোকেট তাজুল ইসলাম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চিফ প্রসিকিউটর এডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, চিফ প্রসিকিউটর পদে থেকে অন্য মামলার শুনানিতে অংশগ্রহণে আইগত কোনো বাধা নেই। রেজা কিবরিয়া আমার পুরনো ক্লায়েন্ট। এই মামলার শুরু থেকেই আমি শুনানিতে ছিলাম। চিফ প্রসিকিউটর হওয়ার পরে মামলা নেইনি। তাজুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মতো স্পর্শকাতর গুরুত্বপূর্ণ জায়গার সামনে এসে নুরুল হক নুর ও তার দলের নেতাকর্মীরা যে ধরনের আচরণ করেছেন এটা অনাকাক্সিক্ষত। এজন্য তার ক্ষমা চাইতে হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল সোয়া চারটার দিকে ট্রাইব্যুনালের মূল ফটকের সামনে দুই থেকে আড়াইশ’ নেতাকর্মী নিয়ে হাজির হন নুরুল হক নুর। এ সময় তারা চিফ প্রসিকিউটরকে উদ্দেশ্য করে নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। পরে সাড়ে চারটার দিকে সেখান থেকে হাইকোর্টের দিকে চলে যান তারা। বিক্ষোভ মিছিল শেষে নুর বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদায় নিয়োগ পাওয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম ষড়যন্ত্রকারীদের পক্ষ নিয়ে তাদের নিবন্ধন পাইয়ে দিতে আইনজীবী হিসেবে শুনানি করেছেন। তিনি সরকারি পদে থেকে এবং জুলাই বিপ্লবে গণহত্যার বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান সরকারি আইনজীবী হয়েও বিচারকার্যকে প্রভাবিত করতে সরকারি পদকে ব্যবহার করছেন। সরকারি পদে থেকে কোনোভাবে আরেকটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তিনি আইনজীবী হতে পারেন না। ষড়যন্ত্রকারীদের আইনজীবী হিসেবে রিট শুনানি করতে হলে তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে পদত্যাগ করতে হবে।
নুরুল হক নুর আরও বলেন, ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে যিনি নিয়োগ পেয়েছেন, তিনি একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। আমরা সবাই জানি তার একটি বিতর্কিত রাজনৈতিক আদর্শ আছে। এরইমধ্যে তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে, জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও আমরা তথ্য পেয়েছি। যেহেতু আমরা সরকারেরই পার্ট, তাই আমরা এ বিষয়ে কথা বলতে চাইনি। কিন্তু তার কর্মকাণ্ড আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে তিনি তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে টাকা কামাই করতে ব্যস্ত আছেন। নুরুল হক নুর আরও বলেন, গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি) একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হওয়া ও ড. রেজা কিবরিয়া দল থেকে অপসৃত হওয়ার কারণে একই নামে নিবন্ধন পাওয়ার জন্য তিনি হাইকোর্টে একটি রিট করেন। অথচ নির্বাচন কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনে স্পষ্ট বলা আছে, গণঅধিকার পরিষদের কাউন্সিল বৈধ। সে কারণেই আমরা নিবন্ধন পেয়েছি। কিন্তু একই নাম বা কাছাকাছি নামে নিবন্ধন পেতে ১০-১২ জনের একটি গ্রুপ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এখন রেজা কিবরিয়া নিজেও এই গ্রুপের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন।
নুর বলেন, যিনি কিছু টাকার লোভে এইভাবে যদি তার নীতি নৈতিকতা বিসর্জন দেন, আমাদের শঙ্কা তিনি গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের সঙ্গে আপস করে গণঅভ্যুত্থানের ফলাফলকে তিনি ভেস্তে দিবেন। আদালতকে বিতর্কিত করবেন। সরকারকে বিতর্কিত করবেন। তাই আমরা সরকারের কাছে দ্রুত দাবি জানাই তাকে অপসারণ করতে। তা করা না হলে আইনজীবী অধিকার পরিষদ সারা দেশের আইনজীবীসহ ছাত্র জনতাকে নিয়ে তাকে পদত্যাগ করাতে বাধ্য করবে। এই কোর্টেই সেই দৃষ্টান্ত রয়েছে। সূত্র:মানবজমিন
Dhaka, Bangladesh শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 4:55 AM |
Sunrise | 6:13 AM |
Zuhr | 11:43 AM |
Asr | 2:51 PM |
Magrib | 5:13 PM |
Isha | 6:31 PM |