আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১২:০০
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, “ইসকন কি কোনো সংগঠন? এর কি অনুমোদন আছে? যেটার অনুমোদনই নেই, সেটাকে আবার নিষিদ্ধ করার কী প্রয়োজন?” আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আকরম খাঁ মিলনায়তনে প্রফেসর কে. আলী ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ: যেভাবে বাংলাদেশ আগাচ্ছে এবং নাগরিক প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আলোচনা সভায় প্রফেসর ড. শেখ আকরাম আলীর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর আবুল লতিফ মাসুম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান এ কে এম রেজাউল করিম, ড. ফয়জুল হক, গণঅধিকার পরিষদের ফারুক হাসানসহ আরও অনেকে।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “আমরা শুধু ক্ষমতার জন্য লড়াই করছি না, আমরা দেশের সামগ্রিক পরিবর্তন চাই। সেই পরিবর্তনের জন্যই আমরা সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি। ড. ইউনূস সরকারকে অন্তত কেউ তুলি না। বিএনপি এক সময় আওয়ামী লীগের নির্যাতনের শিকার ছিল, এখন তারা বলছে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে। পরিবর্তন আসতে হলে অপেক্ষা করতে হয়।”
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, “সেনাবাহিনী দিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ঠিক করা সম্ভব নয়। পুলিশ যদি ঠিক না হয়, তাহলে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে না। বিশৃঙ্খল পরিবেশে নির্বাচনও সম্ভব নয়।”
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ এত অন্যায় করেছে যে, ভারতে আশ্রয় নিলেও তারা ছাড় পাবে না। দমন-পীড়নের অভিযোগে যদি মিয়ানমারের সেনাপতিকে আন্তর্জাতিক আদালতে ডাকা হয়, তবে শেখ হাসিনাকেও ডাকা হবে। তিনি তার থেকে কম মানুষ হত্যা করেননি।”
তিনি বলেন, “দেশের অর্থনীতি যখন ভঙ্গুর অবস্থায়, তখন বিদেশি রাষ্ট্রগুলো সহায়তা দিতে সাহস পাচ্ছে না। কিন্তু ড. ইউনূস রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক সহায়তা চলে আসছে।” তিনি আরও বলেন, “কেউ বলছে, আগে সংস্কার তারপর নির্বাচন, আবার কেউ বলছে, আগে নির্বাচন। কিন্তু সংস্কারও চলমান প্রক্রিয়া। ভোটও হবে, সংস্কারও হবে, তবে সরকারের মিনিমাম কিছু সংস্কার করা দরকার, বিশেষ করে পুলিশ বাহিনীতে।”
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান এ কে এম রেজাউল করিম বলেন, “ফ্যাসিবাদ এখনো বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে। ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে। বর্তমান প্রজন্মকে বোকা ভাবা যাবে না।”
তিনি বলেন, “২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বায়তুল মোকাররমে খুনি হাসিনা মানুষের হত্যা করে ফ্যাসিবাদের সূচনা করেছিলেন। বিডিআর হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে হাসিনা তার ফ্যাসিবাদ কায়েম রেখেছিলেন। তবে জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা রাজপথে নেমে ফ্যাসিবাদকে নির্মূল করেছে।”
এ কে এম রেজাউল করিম আরও বলেন, “আমরা ফেরাউন, নমরুদ বা হিটলারকে দেখিনি, তবে খুনি হাসিনাকে আমরা দেখেছি। জুলাইয়ের গণহত্যার পর তিনি বা তার দোসররা কোনো অনুশোচনা দেখাননি, বরং অহংকার ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন। ছাত্র-জনতা বুকের রক্ত দিয়ে দেশে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছে, সেই দেশ আর ফ্যাসিবাদ মেনে নেবে না।”
তিনি আরও বলেন, “অনেক পুলিশ এখনও কাজে যোগ দিচ্ছে না, তাদের বাদ দেওয়া কেন হচ্ছে না? আমরা এখনও কেন ব্রিটিশি কলোনিয়াল রাষ্ট্রব্যবস্থা রেখে দিয়েছি? সমাজে সব সময় ফ্যাসিবাদ থাকে। বর্তমান দুর্বল রাষ্ট্রব্যবস্থা ফ্যাসিবাদ বিদায় নিতে দিচ্ছে না।”
অধ্যাপক ড. শেখ আকরাম আলী বলেন, “আমাদের আইন ও বিচার ব্যবস্থা রয়েছে, তবে ক্ষমতায় গিয়ে মানুষ খারাপ কাজ করে। আমাদের মনে হয়, মানুষের মধ্যে কিছু সমস্যা রয়েছে। আমাদের সমাজে বৈষম্যহীনতা আনতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার বর্তমানে ছয়টি কমিশন গঠন করেছে। তাই সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।”
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |