আজ বুধবার | ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৮:৩৪
বিডি দিনকাল ডেস্ক :-শহীদ ডাঃ মিলন দিবস উপলক্ষে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেনঃ-
বাণী–:-
“শহীদ ডাঃ শামসুল আলম খান মিলন ‘৮০’র দশকে স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে একটি অবিস্মরণীয় নাম। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে ডাঃ মিলনের আত্মদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর তৎকালীন সরকারের লেলিয়ে দেয়া পেটোয়া বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন তিনি। তাঁর শাহাদৎ বার্ষিকীতে আমি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি।
স্বৈরাচারী শাসনের শৃঙ্খল থেকে গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে গিয়েই শহীদ হয়েছেন ডাঃ শামসুল আলম খান মিলন। সকল কর্তৃত্ববাদী, স্বৈরাচারী গণতন্ত্র বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে ডা: মিলন আমাদের প্রেরণার উৎস।
আমাদের কষ্টার্জিত ও রক্ত¯œাত গণতন্ত্র আবারও গভীর খাদের কিনারে গিয়ে পড়েছে। ৫ জানুয়ারীর ভোটারবিহীন নির্বাচন এবং গত ২৯ ডিসেম্বর নিশিরাতের নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় দু:শাসনের করাল গ্রাসে গিলে ফেলা হয়েছে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা। গণতন্ত্রের শত্রুরা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে ফেলেছে। মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা অপহরণ করা হয়েছে। মানুষের কথা বলা ও ভোটের অধিকার হরণ করে অতীত বাকশালের দু:স্বপ্ন এখন ভয়াল রুপ ধারণ করে বাস্তব রুপ লাভ করেছে। গণতন্ত্র ধ্বংসকারী অপশক্তিগুলোর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে ‘গণতন্ত্রের প্রতীক’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গণতন্ত্রকে মজবুত ভীতের ওপর দাঁড় করাতে হবে। আর তাহলেই ডাঃ মিলনের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদশ জিন্দাবাদ।”
শহীদ ডাঃ মিলন দিবস উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেনঃ-
বাণী:-
“শহীদ ডাঃ মিলন দিবস উপলক্ষে আমি ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের শহীদ ডাঃ শামসুল আলম মিলনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি।
। তাঁর আত্মদানের মধ্য দিয়ে নয় বছরের স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রাম চুড়ান্ত বিজয়ের দিকে ধাবিত হয়। স্বৈরাচার হটিয়ে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছিলো তাঁর দৃঢ় প্রতিজ্ঞা। বুকের রক্ত ঢেলে তিনি এদেশে গণতন্ত্র পূনরুদ্ধারের পথ প্রশস্ত করে গেছেন। যে পথ বেয়ে দেশে স্বৈরাচারের পতন ঘটে এবং গণতন্ত্র পূণ:প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্রের নবযাত্রা শুরু হয়।
বর্তমান সরকার বিগত ১১ বছর ধরে আবারও মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রকে সমাধিস্থ করেছে। দেশের মানুষ তাদের সকল অধিকার হারিয়ে ফেলেছে। জনগণের কাছ থেকে দেশের মালিকানা কেড়ে নেয়া হয়েছে। এখন গণতন্ত্রকে পূণ:রুদ্ধার ও প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দেয়ার মাধ্যমেই আমরা কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারি। সেজন্যই প্রথমে আমাদেরকে গণতন্ত্রের আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে স্বৈরাচারের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে হবে। সে লক্ষ্য অর্জনে শহীদ ডাঃ মিলনের আত্মত্যাগ আমাদেরকে প্রেরণা জোগাবে।
আজকের এই দিনে আমি ডাঃ মিলনসহ শহীদদের রক্ত¯œাত হারানো গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে সকলের প্রতি আহবান জানাই।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”(BANI OF BNP ACTING CHAIRMAN & BNP SEC GENERAL-26-11-20
Dhaka, Bangladesh বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:38 AM |
Zuhr | 11:59 AM |
Asr | 2:59 PM |
Magrib | 5:19 PM |
Isha | 6:40 PM |